Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 21 November 2015

২১ আগস্টের মামলায় নিজের অবস্থান জানতে চান মুজাহিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট:
সংবাদ সম্মেলনে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদের পরিবার। ছবি: প্রথম আলো
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি হিসেবে নিজের অবস্থান জানতে চান একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আলী আহসান মোহাম্মাদ মুজাহিদ। মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই জাহান আজ শনিবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিষয়টি মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে লিখিতভাবে জানতে চাইবেন।
মুজাহিদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা করবেন কি না জানতে চাইলে তাঁর ছেলে আলী আহাম্মদ মাবরুর বলেন, তিনি নির্দোষ, নির্দোষ এবং নির্দোষ। এই মুহূর্তে তিনি ২১ আগস্টের মামলা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে চান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মুজাহিদের স্ত্রী তামান্না-ই জাহান বলেন, মুজাহিদ তাঁদের বলেছেন, ১৬ জুন আপিল বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার পর প্রশাসন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মুজাহিদকে উপস্থিত করা থেকে বিরত রাখতে পারতেন। কিন্তু এই মামলার সম্পূরক চার্জশিটে তাঁর নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষপর্যায়ে। মুজাহিদ বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে এই মামলায় নিজের পক্ষে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অধিকার রাখেন।
মুজাহিদের পক্ষ থেকে তাঁর স্ত্রী আরও বলেন, সম্পূরক চার্জশিটে নাম অন্তর্ভুক্ত করার কারণে জাতির সামনে একজন হত্যাকারী হিসেবে তাঁর (মুজাহিদ) নাম এসেছে। আর সে কারণেই তিনি আইনি লড়াই করে দায় থেকে মুক্তি পেতে চান। কেননা এ পর্যন্ত আদালতে হাজির হওয়া কোনো সাক্ষী এ ঘটনার সঙ্গে তাঁকে জড়িয়ে কোনো বক্তব্য দেননি। মুজাহিদ মনে করেন, বিশেষ ট্রাইব্যুনালে মামলা চলাকালে যদি অন্য কোনো মামলায় তাঁর দণ্ড কার্যকর করা হয় সেটি হবে নাগরিক অধিকারের লঙ্ঘন। মুজাহিদ দেশের একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে তাঁর সাংবিধানিক অভিভাবক মনে করেন। যেহেতু রাষ্ট্রপতি ব্যক্তিগত জীবনে একজন আইনবিদ তাই তিনি আশা করেন, রাষ্ট্রপতি নাগরিক হিসেবে মুজাহিদের আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার রক্ষায় কার্যকর ব্যবস্থা নেবেন।
সংবাদ সম্মেলনে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ ব্যাপারে কথা বলার জন্য আইনজীবীদের সঙ্গে মুজাহিদ দেখা করতে পারেননি। তবে তাঁরা আশা করেন, তিনি দেখা করার সুযোগ পাবেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে মুজাহিদের আরেক ছেলে আলী আহমেদ তাহকিন, খালা সাকিয়া তাসনীম, চাচা আলী আজগর মোহাম্মদ আসলাম, আরেক চাচা আলী আহম্মেদ মোহাম্মদ, আইনজীবী সাইদুর রহমান ও এস এম কামালউদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।