এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ছবি: এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ময়মনসিংহ: জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ন্যান্সি আত্মহত্যার
চেষ্টা করেছেন। প্রতিবেদনটি লেখা পর্যন্ত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
চিকিৎসাধীন এ শিল্পীর হুঁশ ফিরেছে, তিনি কথাও বলতে পারছেন।শনিবার রাত ৮টার দিকে খবর ছড়ায়, ন্যান্সি তার নেত্রকোনার বাড়িতে ৬০টি ঘুমের ওষুধ (স্লিপিং পিল) খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে ন্যান্সির স্বামী জায়েদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলানিউজের কাছে দাবি করেন, আমিও এ ধরনের খবর শুনেছি। এটা সত্য নয়, গুজব রটেছে। তারপরও আমি খোঁজ খবর নিচ্ছি।
পরে অবশ্য জায়েদের দাবির সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগের মিনিট পাঁচেক পরই ন্যান্সিকে নেত্রকোনা সদর হাসপাতাল থেকে ‘নেত্রকোনা আইডিয়াল হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড’র একটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়িয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
তবে এখানে নিয়ে আসার সময় জরুরি বিভাগের গেটে সাংবাদিকদের ভিড় দেখে ন্যান্সিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি গতিপথ পরিবর্তন করে মেডিকেলের কলেজ গেট দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে। সেই গেটটি বন্ধ দেখে ফের জরুরি বিভাগের গেট দিয়ে প্রবেশ করে।
এ সময় ন্যান্সির কোনো স্বজন বা চিকিৎসক সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি।
জনপ্রিয় এ সংগীতশিল্পীর আত্মহত্যার চেষ্টার খবরে ময়মনসিংহ মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সামনে ভিড় জমান স্থানীয় সাংবাদিক ও উৎসুক জনতা।
কিছুক্ষণ পর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা. জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ‘ন্যান্সি তাকে বলেছেন, তিনি দুপুর ১টার দিকে প্রথমে ৪০টি ও এর ঘণ্টাখানেক পর আরও ২০টি ট্যাবলেট খান।’
ন্যান্সির বর্তমান অবস্থা জানতে চাইলে ডাক্তার জানান, এ ধরনের ট্যাবলেটগুলো খাওয়ার তিন ঘণ্টার মধ্যে ওয়াশ করতে হয়। ঝুঁকি থাকে ৪-৫ ঘণ্টা পর্যন্ত। সময় বেশি গড়িয়ে যাওয়ায় ওয়াশও করা হয়নি, আর তিনি যেহেতু এতটা সময় ওভারকাম করে ফেলেছেন সেহেতু আর আপাতত ঝুঁকি নেই।
ডা. জাকির আরও জানান, ন্যান্সির এখন পুরোপুরি জ্ঞান আছে। তিনি কথাও বলতে পারছেন। তবে চোখে একটু ঘুম ঘুম ভাব দেখা যাচ্ছে।
ন্যান্সিকে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেলের ২৭ নং ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে এবং ইনডোর ম্যানেজমেন্ট বিভাগ তার দেখাশোনা করবে বলেও জানান ডাক্তার।
এ ব্যাপারে স্বজনদের সঙ্গে তাৎক্ষণিকভাবে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কথা বলা যায়নি।