কালের কণ্ঠ অনলাইন ‘মিসেস
ফানিবোনস’ নামে ব্লগ লেখেন মিসেস অক্ষয়কুমার টুইঙ্কল খান্না। তাঁর হিউমার,
ঠাসবুনোট
লেখার ভিতর মজার ফুলকিতে সাধারণ পাঠক থেকে বলিউডের সেলেবমহল
সকলেই হেসে ওঠেন। এবার তাঁর
তোলা ইস্যুতেও সহমত হয়েছে বলিউড। সাম্প্রতিক ‘এআইবি রোস্ট’ নিয়ে
শোরগোলের প্রেক্ষিতে টুইঙ্কলের মন্তব্য প্রতিবাদ
করার আরও অনেক বিষয় আছে, সেগুলোতে মন দেওয়া উচিত। বলি সেলেবমহল সায়
দিয়েছেন তাঁর এই মন্তব্যে।
ব্লগের
সাম্প্রতিক পোস্টটিতে টুইঙ্কল জানিয়েছেন, এ যেন সেই
প্রাচীনকালের রীতি চলছে। প্রচলিত এক কাল্পনিক গল্প মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। যেখানে জনা
ছয়েক আদিম মানুষ একটা ম্যামথ শিকার করতে গেল গোটা গোষ্ঠীর জন্য, জনা তিনেক আগুন আবিষ্কার করল, জনা চারেক
আবিষ্কার করল মুখের ভাষা, আর কিছুই করেনি
এমন জনা কয়েক সব দেখেশুনে গুহার দেওয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে গোঁসা করে রইল। সাম্প্রতিক
সময়েও যে সেই একই হাল চলছে তা জানাতেই এ গল্পের অবতারণা
করেন টুইঙ্কল।
‘এআইবি রোস্ট’-এ খারাপ ভাষার ব্যবহার নিয়ে সব হট্টগোলে জল ঢেলে দিয়ে তিনি বলেছেন, যেটা এমনিতেই প্রাপ্তবয়স্কদের শো, তাতে ভাষার ব্যবহার নিয়ে হইচইয়ের কী আছে৷ তাছাড়া যাঁরা শোয়ে ছিলেন তাঁরা হেসে বাড়ি চলে গেছেন অনেকদিন আগেই, বাকিরা এখনও তা নিয়েই পড়ে আছেন।
শোয়ে কালো গায়ের রঙ নিয়ে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতেও বর্ণবিদ্বেষের গন্ধ খুঁজেছেন অনেকে৷ তবে টুইঙ্কলের প্রশ্ন, কালো নিয়ে মজা করা হয়েছে বলেই কি এত প্রশ্ন, ফর্সা রঙ নিয়ে মজা করলে এত প্রশ্ন উঠত কি?
সব মিলিয়ে টুইঙ্কলের মত, অবান্তর কিছু প্রসঙ্গ নিয়েই তর্ক-বিতর্ক এবং প্রতিবাদ চলছে। তাঁর মতে প্রতিবাদের শক্তি যদি কাজে লাগাতেই হয়, তবে ভালো কিছুর জন্যই কাজে লাগানো উচিত৷ এখনও রোহটাকে গণধর্ষণ হয়েছে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাজেট কমিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্দ করা হয়েছে তা নিয়ে গলা তোলা উচিত, এমনকি স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান নন, একজন রাজনীতিক যখন ‘হারামজাদা’ বলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে কেন এফআইআর দায়ের করা হয় না, তা নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত। টুইঙ্কলের এই ভাবনার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে বলিউডের একাংশ। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে পরিণীতি চোপড়া, বিশাল দাদলানি, করণ জোহর তাঁর কলামের এবং মতামতের প্রশংসা করেছেন৷ হিউমারের সঙ্গে অপ্রিয় সত্যি কথাগুলোও যে খুব সহজে বলে ফেলা যায়, তাইই নতুন করে প্রমাণ করছেন টুইঙ্কল।
‘এআইবি রোস্ট’-এ খারাপ ভাষার ব্যবহার নিয়ে সব হট্টগোলে জল ঢেলে দিয়ে তিনি বলেছেন, যেটা এমনিতেই প্রাপ্তবয়স্কদের শো, তাতে ভাষার ব্যবহার নিয়ে হইচইয়ের কী আছে৷ তাছাড়া যাঁরা শোয়ে ছিলেন তাঁরা হেসে বাড়ি চলে গেছেন অনেকদিন আগেই, বাকিরা এখনও তা নিয়েই পড়ে আছেন।
শোয়ে কালো গায়ের রঙ নিয়ে যে মন্তব্য করা হয়েছে তাতেও বর্ণবিদ্বেষের গন্ধ খুঁজেছেন অনেকে৷ তবে টুইঙ্কলের প্রশ্ন, কালো নিয়ে মজা করা হয়েছে বলেই কি এত প্রশ্ন, ফর্সা রঙ নিয়ে মজা করলে এত প্রশ্ন উঠত কি?
সব মিলিয়ে টুইঙ্কলের মত, অবান্তর কিছু প্রসঙ্গ নিয়েই তর্ক-বিতর্ক এবং প্রতিবাদ চলছে। তাঁর মতে প্রতিবাদের শক্তি যদি কাজে লাগাতেই হয়, তবে ভালো কিছুর জন্যই কাজে লাগানো উচিত৷ এখনও রোহটাকে গণধর্ষণ হয়েছে তা নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত, স্বাস্থ্যক্ষেত্রে বাজেট কমিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্দ করা হয়েছে তা নিয়ে গলা তোলা উচিত, এমনকি স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান নন, একজন রাজনীতিক যখন ‘হারামজাদা’ বলেন তখন তাঁর বিরুদ্ধে কেন এফআইআর দায়ের করা হয় না, তা নিয়ে প্রতিবাদ করা উচিত। টুইঙ্কলের এই ভাবনার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করেছে বলিউডের একাংশ। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া থেকে পরিণীতি চোপড়া, বিশাল দাদলানি, করণ জোহর তাঁর কলামের এবং মতামতের প্রশংসা করেছেন৷ হিউমারের সঙ্গে অপ্রিয় সত্যি কথাগুলোও যে খুব সহজে বলে ফেলা যায়, তাইই নতুন করে প্রমাণ করছেন টুইঙ্কল।