ঢাকা, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৪ (বাসস) : আগামীকাল পল্লীকবি জসীম উদ্দীনের ১১২ তম জন্মবার্ষিকী। বাংলার পল্লী অঞ্চলের মানুষের জীবন,সংস্কৃতি,মানুষের মুক্তির সংগ্রামসহ নানা বিষয়ে লিখে এই কবি সৃজনশীলতার পরিচয় দেয়ার ফলশ্রুতিতে পল্লী কবির উপাধি লাভ করেন।
কবি জসীম উদ্দীন ছোটবেলা থেকেই সাহিত্য চর্চা করেন। লেখালেখির দীর্ঘ জীবনে তিনি একাধারে কবিতা,নাটক,কাব্যনাট্য,গান,উপন্যাস,সৃতিচারণ,গল্প,ভ্রমন সাহিত্যে,লোকসাহিত্য সংগ্রহে কাজ করেন। এ সব ক্ষেত্রে কবির অসংখ্য বই বাংলাসাহিত্যে অমর সৃষ্টি হিসেবে রয়েছে। তিনি ১০ হাজার লোক সংগীত সংগ্রহ করেন। এরমধ্যে অনেকগুলো জারি গান ও মুর্শিদী গানের সাথে সমন্বয় করেন।
কবি কলেজের ছাত্রবস্থায় লেখেন বিখ্যাত কবিতা ‘কবর’। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালীন এ কবিতাটি বাংলা পাঠ্যবইয়ে স্থান পায়। এই কবিতাসহ কবির শত শত কবিতা পাঠক সমাদৃত হয়। তাঁর ‘ নকশী কাথাঁর মাঠ’ কাব্যনাট্যটি এ দেশের নাটকের জগতে বহুল জনপ্রিয় নাটক। এ ছাড়া ‘ সুজন বাধিয়ার ঘাট ’ কবিতাটি বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়।
জসিমউদ্দীন ১৯০৩ সালে ফরিদপুর জেলার তাম্বুলখানা গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আনসারুদ্দীন মোল্লা ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক। মা আমিনা খাতুন ওরফে রাঙাছুট। ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার বিদ্যালয়ে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন। ১৯২১ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় পাশ করেন। ১৯২৪ সালে রাজেন্দ্র কলেজ থেকে আই এ পাশ করেন।কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বাংলায় ডিগ্রী এবং ১৯৩১ সালে এম এ পাশ করেন । পরে ১৯৩১ সাল থেকে ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত তিনি দীনেশ চন্দ্র সেনের সঙ্গে লোক সাহিত্য সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন।