Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 19 November 2014

যুক্তরাজ্যে নজরদারিতে ‘মুসলিম এইড’ ও ‘এইড কনভয়’

লন্ডন প্রতিনিধি | আপডেট:
উগ্রপন্থা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত-এমন সন্দেহে যুক্তরাজ্যভিত্তিক ৫৫টি মুসলিম চ্যারিটিকে (দাতব্য সংস্থা) নজরদারির তালিকায় রেখেছে দেশটির চ্যারিটি কমিশন। এর মধ্যে বাংলাদেশে বড় ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে এমন দুটি প্রতিষ্ঠান ‘মুসলিম এইড’ এবং ‘এইড কনভয়’-এর নামও আছে। এছাড়া আরও কয়েকটি দাতব্য সংস্থার নাম তালিকায় রয়েছে যেগুলো বাংলাদেশিদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, অযৌক্তিকভাবে মুসলিম দাতব্য সংস্থাগুলোকে টার্গেট করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যে মুসলিমদের বিভিন্ন বিষয়ে গবেষণা করে এমন একটি থিংক ট্যাক্ট ‘ক্লেস্টোন’ এর এক প্রতিবেদনে মুসলিম দাতব্য সংস্থাগুলোর ওপর নজরদারির খবর উঠে এসেছে। তথ্য অধিকার আইনের অধীনে প্রতিষ্ঠানটি এ তালিকা সংগ্রহ করে।
ক্লেস্টোনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চ্যারিটি কমিশন ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর থেকে দাতব্য সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নির্দেশের জন্য ‘এক্সট্রিমিজম এন্ড রেডিকেলাইজেশন’ (চরমপন্থা এবং উগ্রবাদ) নামে নতুন একটি কোড চালু করে। চলতি বছরের ৮ মে পর্যন্ত সর্বমোট ৫৫টি মুসলিম চ্যারিটিকে এ কোডের তালিকায় রাখা হয়েছে। এসব সংগঠনগুলোর অজান্তে এমন তালিকা করে গোপনে নজরদারি করছে কমিশন।
তালিকায় থাকা চ্যারিটি সংগঠনের মধ্যে ‘এইড কনভয়’সহ পাঁচটি দাতব্য সংস্থার বিষয়ে বিধিবদ্ধ অনুসন্ধানে নেমেছে কমিশন। বাকী সংগঠনগুলো হল, আল ফাতিহা গ্লোবাল, চিলড্রেন ইন নিড, হিউম্যান এইড এবং সিরিয়া এইড। এ পাঁচটি সংগঠন সিরিয়ায় বড় ধরণের কার্যক্রম পরিচালনা করে।
গত বছরের ৩০ আগস্ট এইড কনভয় এবং একই বছরের ২০ নভেম্বর মুসলিম এইডকে নজরদারির তালিকায় নেওয়া হয়। এ দুটি সংগঠনের বিষয়ে এখনো কমিশনের অনুসন্ধান চালু রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর নজরদারির কোনো ব্যাখা দেয়নি কমিশন। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ কিংবা উগ্রপন্থা ছড়ানোর কাজে লিপ্ত রয়েছে এমন সন্দেহে থাকা সংগঠনগুলোকে ‘এক্সিট্রিমিজম এন্ড রেডিকেলাইজেশন’ কোডের অধীনে রাখা হয়। এ কোডের অধীনে রাখার কারণগুলো তথ্য অধিকার আইনে অব্যহতি প্রাপ্ত।
এক লিখিত বিবৃতিতে মুসলিম এইড বলেছে, মানবিক ত্রাণ এবং উন্নয়ন সহায়তা প্রদানকারী সংগঠন হিসেবে মুসলিম এইড তার কাজের সচ্ছতায় বিশ্বাসী।
‘ক্লেস্টোন’ কমশিনের সমালোচনা করে তারা বলেছে, ‘এক্সিট্রিমিজম এন্ড রেডিকেলাইজেশন’ কোডে অন্তুভূ‌র্ক্ত করার জন্য কিংবা তার থেকে নাম প্রত্যাহার করার জন্য কোনো নীতিমালা কমিশনে নেই। মুসলিম চ্যারিটিগুলোর অভিযোগ, চ্যারিটি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান স্যার উইলিয়াম শক্রফ দ্বায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে মুসলিম চ্যারিটিগুলোকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। ‘ইসলামিক উগ্রপন্থা চ্যারিটিগুলোর জন্য বড় ধরণের সমস্যা’ এমন মন্তব্য করে শক্রফ দায়িত্ব নেওয়ার আগেই সমালোচিত হন।
যুক্তরাজ্যে ভিত্তিক চ্যারিটিগুলোর জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে গত মাসে প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন চ্যারিটি কমিশনের জন্য আট মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দের ঘোষণা দেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন, চ্যারিটিগুলো তাদের উত্তোলিত তহবিল কোথায় খরচ করছে সে বিষয়ে কমিশনকে নিশ্চিত হতে হবে। যুক্তরাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দেশটির চ্যারিটি কমিশন সন্ত্রাসবাদ নিমূ‌র্লে হয়ে কাজ করছে।