Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 2 June 2014

তারা ছিলেন নাদুসনুদুস: ওজন ঝরানো সাত সেলিব্রেটি !


বলিউড ধরা হোক, কিংবা হলিউড, এমন একটা প্রবণতা দাঁড়িয়ে গেছে যে তারকাদের অভিনয় গুণ থাকুক আর নাই থাকুক, স্বাস্থ্য সচেতনেতা থাকতেই হবে। সিক্স প্যাক আর সাইজ জিরো ফিগার চাই-ই চাই। পর্দায় তাদের পাতলা শরীর দেখেই সাধারণ দর্শকগণ নিজেদের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে সচেতন হতে শুরু করেন। তবে এই স্বাস্থ্য কিন্তু এমনি এমনি পাওয়া যায়না। এর জন্য ব্যায়ামাগারে কঠোর প্ররিশ্রমের পাশাপাশি নিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাসেরও প্রয়োজন হয়। তবে এতোসব তারকার ভীড়েও কিছু এমন তারকা রয়েছেন যারা শরীরটাকে বাগে আনার জন্য যাকে বলে একেবারে হাড়-ভাঙা প্ররিশ্রম করেছেন। এমনই কয়েকজনকে নিয়ে আমাদের এবারের প্রতিবেদন।
সোনাম কাপুর
সোনম কাপুর
সোনাম কাপুর

হালের জনপ্রিয় নায়িকা সোনাম কাপুরকে বলিউডে “স্টাইল আইকন” হিসেবে দেখা হয়। তার ফ্যাশন সচেতনেতা শুধু ভারত নয়, পুরো বিশ্বেই অনেক প্রসংশিত। তবে এমন শরীর পাবার জন্য সোনামকে হাড়-ভাঙা প্ররিশ্রমই করতে হয়েছে। অভিনয় জীবন শুরু করার পূর্বে সোনাম কাপুর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন। তবে অভিনেতা বাবার মেয়ে অভিনয়ে জড়াবেন না তাতো আর হতে পারেনা। সোনামও তাই অভিনয়ে মনযোগী হয়ে উঠেন। তাতে বাধ সাধে তার অতিরিক্ত ওজন। আর তাই নিজের অভিনয় জীবন শুরুর পূর্বে সোনামকে ৩০কেজিরও বেশী ওজন কমাতে হয়।
আলিয়া ভাট
পাল্টে যাওয়া
পাল্টে যাওয়া আলিয়া
গত বছর “স্টুডেন্ট অফ দ্যি ইয়্যার” ছবি দিয়ে অভিষিক্ত আলিয়া ভাটকে দুবলা-পাতলা শরীরের “সানাইয়া” চরিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য প্রায় ১৬কেজি ওজন কমাতে হয়।
আদনান সামি
আদনান সামি
মেদ ঝরাতে যেনো তপস্যায় নেমেছিলেন আদনান সামি
সাধারণত মানুষ নতুন কিছু শুরু করতে চাইলে প্রথমেই একটি আদর্শ খুঁজে বের করেন। এমন একটি উদাহরণ খুঁজে বের করেন যা থেকে প্রেরণা/উৎসাহ নিয়ে নিজেও সামনে এগিয়ে যেতে পারবেন। স্বাস্থ্য কমানোর জন্য আদর্শ হতে পারে আদনান সামির গল্পটি। যে মানুষটিকে চলা-ফেড়া করার জন্য একসময় হুইল চেয়ারের সাহায্য নিতে হতো, সেই আদনান সামিই ২০০৭ সালে ১০০কেজির বেশী ওজন কমিয়ে মিডিয়ার সামনে হাজির হোব এবং পুরো বিশ্বকে চমকে দেন।
কারিনা কাপুর খান
কারিনা কাপুর
জিরো সাইজের কারিনা
২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “ডন” ছবিটিতে কারিনা কাপুর একটি আইটেম গানে অভিনয় করেন। শাহরুখ খানের সেই ছবিটি সাফল্য পেলেও সমালোচকেরা কারিনা কাপুরের স্বাস্থ্যর কড়া সমালোচনা করেন। সেই সময় কারিনা কিছুটা মোটাসোটা  ছিলেন। তবে কারিনা কাপুর সমালোচনাটাকে ঠিক ভালো চোখে নেননি। আর তাই অনেকটা জেদ থেকেই তিনি নিজেকে এমন পর্যায়ে নিয়ে গেলেন যে বলিউডে সাইজ জিরো ফিগারের যুগ শুরু হয়ে গেলো। পুরোনোদের পাশাপাশি নতুন যেই অভিনয়ে আসছেন তাকে সাইজ জিরো ফিগার অর্জন করে তবেই আসতে হচ্ছে বলিউডের রুপালি পর্দায়।
পারিণীতি চোপড়া
পরিণীতী চোপড়া
পরিণীতী চোপড়া
বলিউডে আগে থেকেই একজন প্রতিষ্ঠিত বড় বোন থাকায় পারিণীতিকে কাজ পেতে খুব বেশী কসরত করতে হয়নি ঠিকই, তবে সে কাজের যোগ্য হিসেবে প্রমাণ করার জন্য ঠিকই কঠোর প্ররিশ্রমের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। অভিনয় জীবন শুরুর পূর্বে পারিণীতি যখন লন্ডনে পড়াশোনা করতেন তখন তাকে মোটা মানুষের কাতারেই রাখা হতো। এমনকি প্রথম ছবিতেই অনবদ্য অভিনয়ের পরও তাকে অতিরিক্ত ওজন নিয়ে কথা শুনতে হয়। তবে সমালোচনায় দমে না গিয়ে পারিণীতি নিয়মিত ব্যায়ামাগারে যেয়ে নিজেকে সাইজ জিরোদের কাতারে নিয়ে আসেন।
অর্জুন কাপুর
অর্জুন
আগে ও পরের অর্জুন
অতিরিক্ত ওজন কমানোটা সব সময়ই আনন্দের। এতে শরীর-মন যেমন উৎফুল্ল থাকে তেমনি কাজে কর্মেও একধরণের গতি চলে আসে। আর তার সুত্র ধরেই ধরা দেয় সাফল্য। তবে প্রযোজক বনি কাপুরের ছেলে, অভিনেতা আনিল কাপুরের ভাতিজা অর্জুন কাপুরের ক্ষেত্রে সাফল্য যেনো দুহাত ভরে এসে ধরা দিয়েছে। একসময়ের নাদুস-নুদুস শরীরের অধীকারি অর্জুন কাপুর ওজন কমিয়ে শরীর পুনঃর্গঠণের পর বলিউডে অভিনয়ের যেমন সুযোগ পান, তেমনি সুঠাম দেহের জন্য তুমুল জনপ্রিয়তাও অর্জন করেন।
জেরিন খান 
জেরিন খান
মেদ ঝরিয়ে জেরিন
স্বাস্থ্য নিয়ে জেরিন খানকে সবসময়ই সমালোচনার স্বীকার হতে হয়েছে। তবে সমালোচকদেরও যদি জেরিন খানের আগের ছবি দেখিয়ে দেয়া যায় তাহলে তারাও হয়তো জেরিন খানের সমালোচনা বাদ দিয়ে প্রসংশা করবেন। ছোটো-খাটো হাতি বলে সম্বোধন করলে জেরিন খান নিজেও আপত্তি করবেন বলে মনে হয়না। তবে সেই অবস্থা থেকে নিজেকে পুনঃর্গঠণ করে জেরিন খান আজকের যে অবস্থনে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার জন্য তাকে বাহবা দিতেই হবে।
http://adf.ly/?id=353839