Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Thursday 17 April 2014

নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত গ্রাম হচ্ছে ৯১টি

মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের উদ্যোগ

নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত গ্রাম হচ্ছে ৯১টি

নিজস্ব প্রতিবেদক | আপডেট: ১৯:০১, এপ্রিল ১৭, ২০১৪
দেশের ৯১টি গ্রামে পরিচালিত জরিপমতে, ৪৯ শতাংশ বিবাহিত নারী পারিবারিক নির্যাতনের শিকার। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ নারী শারীরিক নির্যাতনের শিকার। ১৫ শতাংশের বেশি নারী যৌতুক দিতে না পারার কারণে নির্যাতনের শিকার।
দাতা সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও ১৪টি সহযোগী সংগঠন এই ৯১টি গ্রামে নারীর প্রতি সহিংসতা দূর করার জন্য কাজ করছে। যেসব গ্রামে কোনো না কোনো সংগঠন অন্তত পক্ষে পাঁচ বছর ধরে কাজ করছে সে ধরনের গ্রামকেই এ জরিপের আওতায় আনা হয়েছে। এ গ্রামগুলোকে পুরোপুরি সহিংসতামুক্ত করা হবে।
১৫টি সংগঠনের জরিপমতে, ওই গ্রামগুলোতে ২১ দশমিক ৪ শতাংশ নারী অবমাননার শিকার। এ ছাড়া ১০ দশমিক ৬ শতাংশই তাঁদের প্রাপ্য খোরপোশ থেকেও বঞ্চিত।
আজ বৃহস্পতিবার ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জরিপের বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী।
মতবিনিময় সভায় জানানো হয়, এই ৯১টি গ্রাম হবে নারীর প্রতি সহিংসতামুক্ত গ্রাম। এ  ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে এসব এলাকার নারী নির্যাতনের চিত্র জানার জন্যই এ জরিপ চালানো হয়েছে। ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে জরিপের তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব তারিক-উল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর জরিপ অনুযায়ী, ৮৭ শতাংশ বিবাহিত নারীই জীবনের কোনো না কোনো সময় কোনো না কোনো ধরনের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে অনেক কাজ করার পরও যে চিত্র এসেছে, তা ভয়াবহ। সে তুলনায় ৯১টি গ্রামের নারী নির্যাতনের যে চিত্র, তা অনেক কম। বিষয়টি একটু স্বস্তি দিচ্ছে। তবে নারী নির্যাতন প্রতিরোধে যেতে হবে আরও বহু দূর।
সভার বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম বলেন, নির্যাতন করে এখন আর কেউ স্বস্তিতে থাকতে পারে না। এনজিও, গণমাধ্যম বা পুলিশ জেনে গেল কি না, তা নিয়ে ভয়ে থাকে। ৪০ বছরের নারী আন্দোলনের ফল এটি।
আয়শা খানম নারী নির্যাতন প্রতিরোধে পুরুষতান্ত্রিকতাকে মোকাবিলা এবং পাঠ্যসূচিতে নারীকে সম্মান করার মতো বিষয়গুলো সম্পৃক্ত করার সুপারিশ করেন।
সভায় সাবেক সচিব রীতি ইব্রাহীম এবং আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র (আইসিডিডিআরবি) বাংলাদেশের গবেষক রুচিরা তাবাসসুম নভেদ জরিপটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে করা হয়নি বলে উল্লেখ করেন।
মতবিনিময় সভার সভাপতি মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম জরিপ নিয়ে যেসব সুপারিশ এসেছে পরবর্তী সময় তা গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে উল্লেখ করেন। তিনি নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।