বৃহস্পতিবার
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণ শেষে সনদ বিতরণ
অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
অনলাইন ডেস্ক
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। ফাইল ছবি
তথ্যমন্ত্রী
হাসানুল হক ইনু বলেছেন, পঁচাত্তরের পর সংবিধান লঙ্ঘন করে মোস্তাক, জিয়া
এবং এরশাদ অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। দেশের আদালত তাদের ক্ষমতাকে অবৈধ
বলে রায় দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার
সকালে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশিক্ষণ
শেষে সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন বলে জানিয়েছে সরকারি বার্তা
সংস্থা বাসস।
জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের
মহাপরিচালক একেএম নেছার উদ্দিন আহমদ ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে সমাপনী ও সনদ বিতরণ
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রশিক্ষক ও পরিচালক মো. ফজলে রাব্বী,
প্রশিক্ষণার্থী বাংলাদেশ বেতারের কর্মকর্তা এস এম জাহিদ হোসেন ও তথ্য
অধিদফতরের কর্মকর্তা মাসুদা খাতুন।
এ সময় বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী
বলেন, "'৭৫-এর পর থেকে দেশে লুটপাট শুরু হয়। জিয়ার আমলে দেশের ব্যাংকের
সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা ব্যাংকের কুঋণ দেখিয়ে লুটপাট করা হয়। এরশাদ '৮২
সালে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা কুঋণ দেখিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন। তখন দেশের
বিদেশি অনুদাননির্ভর বাজেট ছিল মাত্র ৩০ হাজার কোটি টাকা।"
তিনি
বলেন, "আজকে দেশে যে গণতন্ত্র বিরাজ করছে তাকে আরো উন্নত করতে হবে।
গণমাধ্যম কর্মীদের এ ব্যাপরে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের সংবিধান
সম্পর্কে জ্ঞান থাকতে হবে। সংবিধানের মূলনীতি জানতে হবে। সংবিধানের মূলনীতি
সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয় না।"
মন্ত্রী
বলেন, "সংবিধান মেনে চললে গণতন্ত্র বিকশিত হবে। রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা
সংবিধান মানেন না বলেই দেশে দেশে স্বৈরাচার আসে। আর এ ব্যাপারে
প্রজাতন্ত্রের কিছু সংখ্যক কর্মচারী সহায়তা করে থাকে। আইনের শাসন মানতে
হবে। আর বিশেষ করে যারা গণমাধ্যমকে কাজ করেন, তাদের এ ব্যাপারে আরো এগিয়ে
আসতে হবে।"
হাসানুল হক ইনু বলেন, "আজ সংবিধান না
মেনে অনেকে ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে মিথ্যাচার করছেন। ইতিহাস বিকৃতির জন্য
গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে কেউ যেন গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে- সেজন্য
গণমাধ্যমে কর্মরতদের বিশেষ ভূমিকা থাকতে হবে।"
তিনি
বলেন, "সংবিধানে আমাদের সকলের অধিকার, দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বলা
আছে। আমরা যদি সংবিধান মেনে চলি তা হলে কেউ ইতিহাস বিকৃতি করতে পারবে না।
যারা ইতিহাসকে বিকৃত করছে তাদের বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা যেতে
পারে।"
তিনি বলেন, "দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
নবম শ্রেণি থেকে কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা হবে। বিশ্বের সাথে তাল
মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আগামী ৫ বছর পর কম্পিউটার জ্ঞান না থাকলে
কোনো কর্মী দেশ ব-দেশের কোথাও কোনো কাজ পাবে না।"
তিনি
বলেন, "প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২২ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার
প্রদানের মাধ্যমে দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের প্রযুক্তিনির্ভর দক্ষতা সম্পন্ন
করে গড়ে তোলার জন্য উদ্যোগ নিয়েছেন।
তিনি বলেন,
"নির্বাচিত সরকার স্বৈরাচার হয় সুবিধাবাদী প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের ধারা।
তাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিরাট ভূমিকা থাকে।"