Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Thursday 17 April 2014

৫০ হাজার শিক্ষকের সনদ জাল!

সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে 'পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ)'।
সাবি্বর নেওয়াজ
৫০ হাজার শিক্ষকের সনদ জাল!সারাদেশে মাধ্যমিক স্তরের প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষক জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে 'পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদফতর (ডিআইএ)'। এরই মধ্যে দেশের ৪৩টি জেলার শতাধিক কলেজ, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা পরিদর্শন করে মোট ১০৬ জন জাল সনদধারী শিক্ষক চিহ্নিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এ প্রতিষ্ঠানটি। গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তদন্ত করে ডিআইএর তদন্ত কমিটি চলতি মাসে এ প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাল সনদধারী হিসেবে চিহ্নিত ১০৬ শিক্ষক ৩ কোটি ৩৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭১৯ টাকা সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা তুলে নিয়েছেন। তাদের এসব টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,এ মুহূর্তে সারাদেশের ৩০ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী রয়েছেন ৫ লাখ। এর ১০ প্রায় শতাংশ শিক্ষকই জাল কিংবা ভুয়া সনদ দিয়ে প্রতিষ্ঠানে দিব্যি চাকরি করে যাচ্ছেন। সে হিসাবে কমপক্ষে ৫০ হাজার শিক্ষক রয়েছেন ভুয়া সনদধারী। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, জাল সনদধারী সব শিক্ষককে চিহ্নিত করতে সরকারি তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কমিটি তদন্ত চালাবে।
শিক্ষকতা পেশায় জাল সনদধারীদের ছড়াছড়িতে উদ্বিগ্ন শিক্ষাবিদরাও। তারা সার্বিকভাবে শিক্ষার মান নিম্নগামী হওয়ার জন্য ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের বড় ভূমিকা রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। শিক্ষাবিদ অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম সমকালকে বলেন, শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের নীতি-নৈতিকতা শেখান। তারা নিজেরাই যদি অনৈতিক পন্থায় এ পেশায় কর্মরত থাকেন, তাহলে শিক্ষার্থীদের কী নৈতিকতা শেখাবেন? ভুয়া সনদধারী শিক্ষকদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, যারা নিজেরাই পাবলিক পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি, ভুয়া সনদ বানিয়ে চাকরি করছেন; তাদের পক্ষে শিক্ষার্থীদের প্রকৃত বিদ্যা শেখানো আর পাস করানো কখনোই সম্ভব নয়। শিক্ষার মান প্রশ্নে সবচেয়ে বড় নিয়ামক হলেন যোগ্য শিক্ষক। তা না থাকলে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়ে যায়, তা কখনও পূরণ হওয়ার নয়।
ডিআইএর তদন্তকালে দেখা গেছে, কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৪-৫ জন শিক্ষকের সনদ জাল। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা কমিটির জ্ঞাতসারেও ভুয়া সনদধারীদের অনেকে চাকরি করছেন। এরই মধ্যে তদন্ত কমিটি নেত্রকোনায় ২, ফরিদপুরে ২, কিশোরগঞ্জে ৪, টাঙ্গাইলে ৩, গাজীপুরে ৪, রাজবাড়ীতে ২, পাবনায় ৫, ঠাকুরগাঁওয়ে ৩, লালমনিরহাটে ৫, সিরাজগঞ্জে ৮, নওগাঁয় ৫, কুড়িগ্রামে ৩, জয়পুরহাটে ২, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৩, যশোরে ৫, বরিশালে ২, ঝিনাইদহে ২, পিরোজপুরে ২, ভোলায় ২, নড়াইলে ৩ ও মেহেরপুরে ৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করেছে। এ ছাড়া ময়মনসিংহ, নরসিংদী, শেরপুর, শরীয়তপুর, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, গাইবান্ধা, দিনাজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, মাগুরা, সাতক্ষীরা ও কুষ্টিয়া জেলায় রয়েছে ১টি করে প্রতিষ্ঠান।
ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামেও সনদ :তদন্তকালে যেসব প্রতিষ্ঠানের সনদ জাল ও ভুয়া হিসেবে প্রমাণিত, সেসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও। এ ছাড়া, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ), জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) বগুড়া, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। এ ছাড়া এমন অনেক প্রতিষ্ঠানের সনদ চাকরিকালে শিক্ষকরা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটিতে দেখিয়েছেন, যেসব প্রতিষ্ঠানের সনদ ইস্যুর কোনো ক্ষমতাই নেই এবং যেগুলো অস্তিত্বহীন ও ভুয়া। এমন একটি প্রতিষ্ঠান রাজশাহীর 'সেন্টার ফর ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার্স'। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি বর্ণিত ঠিকানায় পাওয়া যায়নি। এমন আরেকটি প্রতিষ্ঠান 'কমার্শিয়াল কম্পিউটার সেন্টার'। এর অবস্থান দেখানো হয়েছে আবদুল হামিদ রোড, পাবনা। তদন্ত কমিটির সদস্যরা ওই ঠিকানায় গিয়ে প্রতিষ্ঠানটির কোনো খোঁজ পাননি।
ভুয়া সনদধারীর ছড়াছড়ি :তদন্তকালে ধরা পড়া শিক্ষকরা অনেকে পরবর্তী সময়ে সনদ জালের সত্যতা স্বীকার করে মার্জনা চেয়েছেন। জাল ও ভুয়া সনদে যেসব শিক্ষক শিক্ষকতা করছেন তারা হলেন_ নেত্রকোনা জনতা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মোহাম্মদ জাকারিয়া। ইনডেক্স নম্বর ১০৬৬০১৯। বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের ভুয়া সনদ নিয়ে তিনি শিক্ষকতা করছেন। এ পর্যন্ত সরকার থেকে তিনি ৮৯ হাজার ৩৩৮ টাকা ৬৪ পয়সা বেতন-ভাতা নিয়েছেন, যা তাকে ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ময়মনসিংহের রায়েরগ্রাম শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) নিগার সুলতানাও এনটিআরসিএ সনদ নিয়েছেন। তবে তিনি এমপিওভুক্ত হননি বলে সরকার থেকে কোনো বেতন-ভাতা নেননি। ফরিদপুরের শিয়ালদী আদর্শ আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মো. হাসান মৃধাও ভুয়া নিবন্ধন সনদ দেখিয়ে চাকরি নিয়েছেন। তার ইনডেক্স নম্বর ২০৩০৭২২। তাকে সরকারি কোষাগারে ১ লাখ ২৪ হাজার ৩৫৯ টাকা ৬৬ পয়সা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শরীয়তপুরের সখিপুর ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. সালাহউদ্দিনের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ সনদ জাল চিহ্নিত হয়েছে। তার ইনডেক্স নম্বর ১৬৬২৮৬। তাকে ৯ লাখ ৭৫ হাজার ১২৩ টাকা ৫৭ পয়সা ফেরত দিতে হবে সরকারকে। কিশোরগঞ্জের আলহাজ এমএ মান্নান মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (গণিত) জাহাঙ্গীর আলমও ভুয়া নিবন্ধন সনদ নিয়েছেন। তার ইনডেক্স নং ২০৯২৩৫২। তার কাছে সরকারের পাওনা ৭৫ হাজার ২৮৫ টাকা, যা তাকে ফেরত দিতে হবে। নেত্রকোনার গগড়া মোজাফফরপুর দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (শরীরচর্চা) মো. সাখাওয়াত হোসেনও ভুয়া নিবন্ধনধারী। তার এমপিও অনুমোদন সরকারি সিদ্ধান্তের অপেক্ষায়। কিশোরগঞ্জের আহমাদু জুবাইদা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার মৌলভী শিক্ষক ফাতেমা আক্তারও ভুয়া নিবন্ধনধারী। টাঙ্গাইলের কালিহাতী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. ইদ্রিস আলীও রয়েছেন এ তালিকায়। তিনিও ভুয়া নিবন্ধনধারী। ইনডেক্স নম্বর ১০৬৭১৩৯। তাকে সরকারি কোষাগার থেকে নেওয়া ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৫ টাকা ফেরত দিতে হবে। গাজীপুর পাবুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) নাসরিন সুলতানাও রয়েছেন এ তালিকায়। তবে তিনি এমপিওভুক্ত নন বলে সরকারি কোষাগার থেকে বেতন নেননি। তাই তাকে কোনো টাকা ফেরত দিতে হবে না। গাজীপুরের কীর্তনীয়া ইছর আলী ভুঁইয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মোহাম্মদ আশরাফ হোসাইনও জাল সনদে শিক্ষকতা করছেন। তবে তিনি এমপিওভুক্ত হননি বলে কোনো টাকা ফেরত দিতে হচ্ছে না। টাঙ্গাইলের ঘোনারচালা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) মারুফা আক্তারও ভুয়া নিবন্ধনধারী। তার ইনডেক্স নম্বর ১০৫৫৬৪২। তাকে সরকারি কোষাগার থেকে নেওয়া ২ লাখ ৭৬০ টাকা ফেরত দিতে হবে। এ তালিকায় রয়েছেন ফরিদপুর সিটি কলেজের টাইপ ল্যাব. অ্যাসিস্ট্যান্ট শামীমা আক্তার রোজি। তার ইনডেক্স নম্বর ৮৩২৫৬২। তিনি সনদ নিয়েছেন বগুড়া জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি থেকে। তিনি সরকারি কোষাগার থেকে বেতন-ভাতা নিয়েছেন ৪ লাখ ২০ হাজার ৬৮১ টাকা। তাকে এ টাকা পরিশোধ করতে হবে। নরসিংদীর আবদুল মান্নান ভুঁইয়া ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক (কম্পিউটার) আবদুস সাত্তার বগুড়ার ওই প্রতিষ্ঠানের সনদেই চাকরি নিয়েছেন, যা ভুয়া বলে প্রমাণিত। তার ৭ লাখ ৫১ হাজার ১৭৫ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। এ তালিকায় রয়েছে টাঙ্গাইল লোকমান ফকির মহিলা কলেজের প্রভাষক (সাচিবিক বিদ্যা) খন্দকার মাসুদুর রহমান। তাকে ৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬ টাকা ফেরত দিতে হবে। রাজবাড়ীর তেঁতুলিয়া দারুস সালাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জিয়াউর রহমানও ভুয়া সনদের তালিকায় রয়েছেন। তিনি নিবন্ধনধারী। তার ইনডেক্স নম্বর ২০০৩৫৮৭। তাকে ৬ লাখ ১ হাজার ৯২১ টাকা ফেরত দিতে হবে সরকারি কোষাগারে। শেরপুরের ধনাকুশা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মাহমুদা খাতুনের ইনডেক্স নম্বর ১০৪১৮৩৯। তাকে ২ লাখ ৮৫ হাজার ৮৫৫ টাকা ফেরত দিতে হবে। এ তালিকায় আরও রয়েছেন_ রাজবাড়ী শহীদ আবদুল হাকিম মহিলা দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক মো. দাউদ আলী, গাজীপুর সনমানিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. আশরাফুল আলম। তিনি মনোহরদীর জাতীয় উন্নয়ন ট্রেনিং সেন্টার থেকে সনদ নেন। সনদে প্রতিষ্ঠানটি নট্রামস অনুমোদিত বলা হলেও নট্রামস জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি তাদের অনুমোদিত নয়। কিশোরগঞ্জের মুন্সি আবদুল হেকিম কারিগরি মহাবিদ্যালয়ের ল্যাব সহকারী (কম্পিউটার) ও প্রদর্শক (কম্পিউটার) মো. হারুন-অর রশিদও রয়েছেন এ তালিকায়।
তদন্তে আরও যাদের নাম :এ ছাড়া রয়েছেন গাজীপুর পাবুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক নাসরিন আক্তার। তিনি দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগারিকের সনদ নিয়েছেন। জাতীয় কম্পিউটার প্রশিক্ষণ ও গবেষণা একাডেমি (নেকটার) বগুড়া থেকে সনদ নিয়ে আক্তার হোসেন শিক্ষকতা করছেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের হাজিরহাট উপকূল কলেজে। তিনি ওই কলেজের কম্পিউটার প্রভাষক। ফেনীর ফুলগাজী খাজুরিয়া মমতাজ উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত) মোহাম্মদ বদিউল আলমও এ তালিকায় রয়েছেন। আরও রয়েছেন_ মুরাদনগর শ্রীকাইল কৃষ্ণকুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (ইসলাম ধর্ম) মোহাম্মদ রবিউল হাসান, টেকনাফের হ্নীলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, একই বিদ্যালয়ের কম্পিউটার শিক্ষক মুহাম্মদ ছালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা কুটি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (সমাজ) মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, নাটোরের লালপুর মনিহারপুর রামকৃষ্ণপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ট্রেড ইন্সট্রাক্টর সাইদুর রহমান, পলাশবাড়ীর পাঁচপীরের দরগাহ দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (উদ্ভিদ) আবদুল কাইয়ুম, পাবনার সুধীর কুমার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রদর্শক (কম্পিউটার) নাছিমা খাতুন, পাবনা বি.পি. উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (গণিত ও বিজ্ঞান) মোহাম্মদ শাহীন আক্তার। ডিআইএ তদন্ত দল তার নিবন্ধন সনদ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।
জাল সনদের দায়ে পাবনার শহীদ এম মনসুর আলী কলেজের সাচিবিক বিদ্যার প্রভাষক মাসুমা বেগমকে ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪১১ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হবে। একই কলেজের কম্পিউটারের প্রভাষক মো. সাইদুল ইসলাম সনদ নিয়েছেন রাজশাহীর সেন্টার ফর ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অন ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড কম্পিউটার্স থেকে। তদন্ত দল ওই প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্ব খুঁজে পায়নি। একই অবস্থা ওই কলেজের ল্যাব. সহকারী আবদুল জলিলের। নাটোরের চক নাজিরপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারিক মলিনা খাতুন, লালপুরের মাজার শরীফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজের সহকারী গ্রন্থাগারিক আবুল কালাম, সিংড়ার ভাগনাগরকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (বাংলা) সাবিনা ইয়াসমিন, সিংড়ার আলহাজ আবদুর রহিম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (জীববিদ্যা) অনিতা প্রামাণিক, ঠাকুরগাঁও আসলে উদ্দিন প্রধান সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (বিজ্ঞান) আলমাস আলী, বালিয়াডাঙ্গি লোলপুকুর ডিএম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (হিন্দু ধর্ম) যশোদা বালা দেবী, হরিপুর তোরবা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. জসিম উদ্দিন, লালমনিরহাটের আদিতমারী নামুড়ী দারুস সুন্নাত দাখিল মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মো. রমজান আলী, হাতীবান্ধার দইখাওয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) রৌশনারা খাতুন, হাতীবান্ধা পূর্ব বেজগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) দিলীপ কুমার বর্মণ এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর সাতবাড়ীয়া ডিগ্রি কলেজের সহকারী লাইব্রেরিয়ান মোখলেছুর রহমান এ তালিকায় রয়েছেন।