তবে কারাগারটি স্থায়ী না সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
অনলাইন ডেস্ক
আবু গারাইব কারাগারের বন্দিদের মার্কিন সেনাদের নির্যাতনের ফাইল ছবি।
ইরাকের কুখ্যাত আবু গারাইব কারাগারটি নিরাপত্তাজনিত কারণে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে কারাগারটি স্থায়ী না সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, তা স্পষ্ট নয়।
মঙ্গলবার
দেশটির বিচার মন্ত্রণালয় অনলাইনে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, বাগদাদের
কেন্দ্রীয় কারাগার (সাবেক আবু গারাইব) পুরোপুরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বন্দিদের
অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
বুধবার বার্তা সংস্থা
এএফপি জানিয়েছে, কুখ্যাত আবু গারাইব কারাগারটি পশ্চিম বাগদাদে অবস্থিত। এটি
দেশটির অন্যতম সহিংস ও অনিরাপদ এলাকা। গত বছরের জুলাই মাসে কয়েকশ' সুন্নি
ইসলামপন্থি জঙ্গি আবু গারাইব ও তাজি কারাগারে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকশ'
বন্দিকে মুক্ত করে নিয়ে যায়।
ইরাকের আইনমন্ত্রী
হাসান আল- শাম্মারি জানিয়েছেন, আবু গারাইব কারাগারে সন্ত্রাসমূলক অপরাধে
গ্রেফতার বা দণ্ডিত ২ হাজার ৪০০ জন কয়েদি ছিলেন। তাদের অন্য কারাগারে সরিয়ে
নেয়া হয়েছে।
এএফপি'র প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ইরাকে সহিংসতা ক্রমে বেড়েই চলেছে। চলতি বছর সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন আড়াই হাজারেরও বেশি মানুষ।
উল্লেখ্য,
ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনের শাসনামলেই আবু গারাইব কারাগারটি
নির্যাতন কেন্দ্র হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করে। ২০০৩ সালে দেশটিতে
ইঙ্গ-মার্কিন বাহিনীর আগ্রাসনের পর কারাগারটিকে বন্দিনির্যাতন কেন্দ্রে
পরিণত করে মার্কিন সেনারা। লোমহর্ষক নির্যাতনের সেসব চিত্র ফাঁস হলে
বিশ্বব্যাপী তুমুল সমালোচনার ঝড় ওঠে।