আপডেট: ০০:৩৭, জানুয়ারি ৩০, ২০১৪
| প্রিন্ট সংস্করণ
|
‘ভাই, আমারে একটু ভেতরে যাইতে দ্যান। শুটিং দেখুম।’ একজনের আকুতি। কিন্তু দরজায় দাঁড়ানো লোকটি অনড়, ‘নিষেধ আছে।’
৪ নম্বর ফ্লোরের মূল দরজায় জটলা। ভেতরে ঢুকেই কপালে চোখ! পুরো স্টুডিও যেন বিয়েবাড়ি! গানের সঙ্গে নাচের প্রস্তুতি চলছে। হঠাৎ স্টুডিওর এক কোণে দেখি, মুঠোফোন হাতে শাকিব খান। কাছে যেতেই মগ্নতা ভাঙে তাঁর। বলেন, ‘ভাই, একা একা বসে গেম খেলছি। টানা কাজ করছি। এখন একটু রিল্যাক্স...এই আর কি। শুটিংয়ে আমার একমাত্র সঙ্গী মোবাইলের গেম।’ বলেই হা হা হাসি শাকিবের মুখে।
গেম খেলার ফাঁকে টুকটুাক কথা চলছে শাকিবের সঙ্গে। ‘সবাই প্রস্তুত?’ হঠাৎ চিৎকার। ঘুরে দেখি, পরিচালক শাফি উদ্দীন শাফি। শটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এবার কথা হলো তাঁর সঙ্গে। বললেন, এটি রেড ছবির সেট। অনেক সাধনার পর শাকিব খান খুঁজে পান অপুকে। দুজনের বিয়ের আগের প্রস্তুতি এই আনন্দ অনুষ্ঠান। এ দৃশ্যের শুটিং হবে এখন।
দৃশ্য ২
এফডিসির সব ফ্লোরেই জ্বলেছে শুটিংয়ের আলো। পুরো এফডিসি গমগমে। ৮ নম্বর স্টুডিও থেকে গানের শব্দ কানে আসছে। বাজছে ‘চাই মন ভালোবাসা, দুজনে ধীরে ধীরে কাছে আসা...।’ পুরো স্টুডিও যেন মঞ্চ! নানা রঙের আলো। ক্যামেরা চলছে। ববি ও বাপ্পীর সঙ্গে শ খানেক ছেলেমেয়ের নৃত্যে পুরো স্টুডিও উত্তাল! এর মধ্যে মনিটর থেকে মুখ সরিয়ে ‘লাইট লাইট’ বলে চিৎকার করলেন পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী।
‘সব গোল্লায় গেল। ওহ্! আরেকটু হলেই শট ওকে হয়ে যেত। তাড়াতাড়ি লাইট ঠিক করাও।’ দৃশ্যধারণের মাঝপথে আলো প্রক্ষেপণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিচালকের চিৎকার।
বেরিয়েছি সেখান থেকে। কড়ইতলায় দেখি, রাতারাতি ফাঁকা জায়গায় উঠেছে সারি সারি ঘরবাড়ি! ঘটনা কী? কাছাকাছি গিয়ে জানা গেল, শুটিং চলছে রানা প্লাজা নামে একটি ছবির। একটা ঘরের দরজা দিয়ে চোখে পড়ল মিটিমিটি আলো। ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে ফিসফাস। ক্যামেরার সামনে সাইমন ও পরিমনি। মনিটরে পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। পরিমনি সাইমনকে বলছে, ‘তুমি কেঁদো না। ঠিকই সুস্থ হয়ে যাবে।’
‘কাট...না, হলো না পরিমনি। তুমি কাঁদো, অঝোর ধারায় কাঁদো। চেষ্টা করো হয়ে যাবে।’ পরিচালকের কথা। অবশেষে দৃশ্যটি ধারণ করা হলো।
তখন রাত প্রায় ১০টা। রাতের বেলা মাঘের শীতের তেজ ক্রমেই বাড়ছে।
৪ নম্বর ফ্লোরের মূল দরজায় জটলা। ভেতরে ঢুকেই কপালে চোখ! পুরো স্টুডিও যেন বিয়েবাড়ি! গানের সঙ্গে নাচের প্রস্তুতি চলছে। হঠাৎ স্টুডিওর এক কোণে দেখি, মুঠোফোন হাতে শাকিব খান। কাছে যেতেই মগ্নতা ভাঙে তাঁর। বলেন, ‘ভাই, একা একা বসে গেম খেলছি। টানা কাজ করছি। এখন একটু রিল্যাক্স...এই আর কি। শুটিংয়ে আমার একমাত্র সঙ্গী মোবাইলের গেম।’ বলেই হা হা হাসি শাকিবের মুখে।
গেম খেলার ফাঁকে টুকটুাক কথা চলছে শাকিবের সঙ্গে। ‘সবাই প্রস্তুত?’ হঠাৎ চিৎকার। ঘুরে দেখি, পরিচালক শাফি উদ্দীন শাফি। শটের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এবার কথা হলো তাঁর সঙ্গে। বললেন, এটি রেড ছবির সেট। অনেক সাধনার পর শাকিব খান খুঁজে পান অপুকে। দুজনের বিয়ের আগের প্রস্তুতি এই আনন্দ অনুষ্ঠান। এ দৃশ্যের শুটিং হবে এখন।
দৃশ্য ২
এফডিসির সব ফ্লোরেই জ্বলেছে শুটিংয়ের আলো। পুরো এফডিসি গমগমে। ৮ নম্বর স্টুডিও থেকে গানের শব্দ কানে আসছে। বাজছে ‘চাই মন ভালোবাসা, দুজনে ধীরে ধীরে কাছে আসা...।’ পুরো স্টুডিও যেন মঞ্চ! নানা রঙের আলো। ক্যামেরা চলছে। ববি ও বাপ্পীর সঙ্গে শ খানেক ছেলেমেয়ের নৃত্যে পুরো স্টুডিও উত্তাল! এর মধ্যে মনিটর থেকে মুখ সরিয়ে ‘লাইট লাইট’ বলে চিৎকার করলেন পরিচালক ইফতেখার চৌধুরী।
‘সব গোল্লায় গেল। ওহ্! আরেকটু হলেই শট ওকে হয়ে যেত। তাড়াতাড়ি লাইট ঠিক করাও।’ দৃশ্যধারণের মাঝপথে আলো প্রক্ষেপণে সমস্যা দেখা দেওয়ায় পরিচালকের চিৎকার।
বেরিয়েছি সেখান থেকে। কড়ইতলায় দেখি, রাতারাতি ফাঁকা জায়গায় উঠেছে সারি সারি ঘরবাড়ি! ঘটনা কী? কাছাকাছি গিয়ে জানা গেল, শুটিং চলছে রানা প্লাজা নামে একটি ছবির। একটা ঘরের দরজা দিয়ে চোখে পড়ল মিটিমিটি আলো। ভেতর থেকে শোনা যাচ্ছে ফিসফাস। ক্যামেরার সামনে সাইমন ও পরিমনি। মনিটরে পরিচালক নজরুল ইসলাম খান। পরিমনি সাইমনকে বলছে, ‘তুমি কেঁদো না। ঠিকই সুস্থ হয়ে যাবে।’
‘কাট...না, হলো না পরিমনি। তুমি কাঁদো, অঝোর ধারায় কাঁদো। চেষ্টা করো হয়ে যাবে।’ পরিচালকের কথা। অবশেষে দৃশ্যটি ধারণ করা হলো।
তখন রাত প্রায় ১০টা। রাতের বেলা মাঘের শীতের তেজ ক্রমেই বাড়ছে।