জার্মানিতে পতিতাবৃত্তির বিরোধিতা পতিতাবৃত্তি আইন পুনর্বিবেচনা
পতিতাবৃত্তি
আইন পুনর্বিবেচনা করার পরিকল্পনা করছে জার্মানির ভবিষ্যত সরকার৷
রক্ষণশীল এবং সামাজিক গণতন্ত্রকামী যে দুটো দলের সমন্বয়ে জোট সরকার গঠনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তারাই আইনটি পুনর্বিবেচনার পক্ষে৷
বৈধ পেশা
জার্মানিতে
পতিতাবৃত্তি বৈধ৷ ২০০২ সালে সামাজিক গণতন্ত্রী এসপিডি এবং গ্রিন
পার্টি জার্মানিতে পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দিয়ে একটি আইন পাস করে৷ এরপর থেকে এটি একটি বৈধ ব্যবসায় পরিণত হয়েছে৷ যৌনকর্মীরা চাইলেই
সামাজিক বিমা পেতে পারে এবং কোনো খদ্দের অর্থ না দিলে
আদালতের দারস্থ হতে পারে৷
কোটি কোটি টাকার লেনদেন
জার্মান
কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জার্মানিতে
কেবল পতিতাবৃত্তিতেই লেনদেন হয় ১৫শ কোটি
ইউরো৷ তবে ঠিক কত নারী এই পেশায় জড়িত তা নির্দিষ্ট
করে বলা না গেলেও ধারণা করা হয় অন্তত ৪ লাখ নারী এ পেশায় জড়িত৷
অর্ধেক অভিবাসী
প্রায়
চার লাখ যৌনকর্মীর অর্ধেকই এসেছে বিভিন্ন দেশ থেকে৷ অর্থাৎ জার্মানিতে
তারা অভিবাসী৷ অনেককে পতিতাবৃত্তি করতে বাধ্য করা হয়েছে৷ এখন
তারা
আর চাইলেও সেখান থেকে বের হতে পারছে না৷ আবার কেউ রয়েছেন যারা কেবল অর্থ রোজগারের আশায় এই পথ বেছে নিয়েছেন৷
নিবন্ধিত না হওয়া
যৌনকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তাদের বেশিরভাগই নিবন্ধিত নন এবং তাদের কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই৷ কেন্দ্রীয় পেশাজীবী সংস্থা বলছে, শতকরা মাত্র ৪৪ জন যৌনকর্মী সামাজিক বিমা করেছেন৷নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি
নারী
অধিকার কর্মীরা বলছেন, বেশিরভাগ নারীই নিজের ইচ্ছায় এই পেশায়
আসেন না৷ ইউরোপের পূর্বাঞ্চল থেকে অনেক
নারীদের জোর করে এই ব্যবসায় নামানো হয়৷ তারা
এটাকে আধুনিক দাসপ্রথা হিসেবে উল্লেখ করে এই পেশায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন৷ সেইসাথে আইনটি পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন
তারা৷
ফ্রান্সের পতিতাবৃত্তি
ফ্রান্সে
গত কয়েক দশক ধরেই যৌন পল্লি এবং যৌন ব্যবসা দুটোই নিষিদ্ধ করা হয়েছে৷ খদ্দেরদের হাতেনাতে ধরতে পারলে ১,৫০০ ইউরো জরিমানা
ধার্য করে আইন করেছে সরকার৷ সমালোচকরা বলছেন,
এর
অর্থ নারীরা খদ্দেরদের সেবা দিতে প্রস্তুত,
কিন্তু
খদ্দেররা তা নিতে পারবে না৷ তাই বিলটি নিয়ে বেশ বিতর্ক চলছে৷
সুইডেনের আইনে ফ্রান্স
ফ্রান্স
এই আইন করেছে মূলত সুইডেনের আইন পর্যালোচনা করে৷ সেখানে ১৯৯৯
সাল
থেকে যৌন ব্যবসার খদ্দেরদের শাস্তির আওতায় আনা হয়৷ সেসময় সুইডেনে পতিতাবৃত্তির বৈধতা দেয়া হয়৷ তবে এর ফলে এইসব পতিতাদের উপর
নির্যাতন ও ধর্ষণের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে বলে
জার্মান পত্রিকা ডের স্পিগেলকে জানিয়েছেন
হাসপাতালের একজন নার্স৷