Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 6 January 2014

চাঁ পা ই ন বা ব গ ঞ্জ - ২ ভোটার ২৬২৪ দিলেন ২ জন!

চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার জামায়াত-অধ্যুষিত মুশরিভুজা গ্রাম থেকে ফলাফলের শিট নিয়ে গতকাল রোববার বিকেল পাঁচটায় শহরে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে হাজির হন মাহবুবুল হক। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের মুশরিভুজা উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ৪০ কিলোমিটার পথ পেরিয়ে মাহবুবুল হকের দ্রুত চলে আসার কারণ ছিল, তাঁর কেন্দ্রে দুই হাজার ৬২৪ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র দুজন। অথচ সারা দিন এখানে দায়িত্ব পালন করেছেন মোট ৩২ জন। এর মধ্যে নিরাপত্তা প্রহরী ১৩ জন, পোলিং কর্মকর্তা ১২ জন, সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ছয়জন ও একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা।
এই কেন্দ্রের কিছু দূরে মুশরিভুজা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের অবস্থাও ছিল একই ধরনের। এখানে অবশ্য দুই হাজার ৫৮৩ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১২ জন। জামায়াতের প্রভাব কম থাকায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের বাকি দুই উপজেলা গোমস্তাপুর ও নাচোলে ভোটার উপস্থিতি ছিল তুলনামূলক বেশি।
বেলা তিনটা পর্যন্ত দুটি উপজেলার বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রায় ৩৫ ভাগ ভোটার ভোট দিয়েছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী খুরশীদ আলম। এ ছাড়া বিএনএফের একজন প্রার্থী থাকলেও তাঁকে মাঠে দেখা যায়নি।
তবু ভোটারদের বিরাট একটি অংশ ভোট না দেওয়ায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের ১৪৯টির মধ্যে অধিকাংশ কেন্দ্রে ছিল না কোনো কোলাহল। কুয়াশাচ্ছন্ন সাতসকালে লাইনে দাঁড়িয়ে কাউকে ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষার প্রহরও গুনতে হয়নি। প্রতিদ্বন্দ্বী তিন প্রার্থীর পোলিং এজেন্টদেরও আদর-সমাদর-কদর তাই অনেকটা কমই পেয়েছেন ভোটাররা। নারী-পুরুষদের আলাদা লাইনে ভিড় না থাকায় বিক্ষিপ্তভাবে ভোটাররা এসে ভোট দেওয়ার কাজটুকু সেরে ফেলেছেন অল্প সময়ে।
সকাল সাড়ে ১০টায় গোমস্তাপুর পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ে ভোট দিয়ে আঙুল উঁচু করে ষাটোর্ধ্ব রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘ভাই ভোট দিয়্যা সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করলাম।’ অবশ্য প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি প্রায় ছিল না। নাচোল উপজেলার ফতেপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত ভোট দিয়েছেন ২৫ জন। কিন্তু বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের আসতে দেখা গেছে।
তাজকেরা নামের এক নারী বলেন, ‘দূর দেখে দাঁড়িয়ে দেখছিলাম কোনো ঝামেলা হয় কিনা। অবস্থা ভালো থাকায় ভোট দিতে এ্যাইসেছি।’ এদিকে ভোটার উপস্থিতি না থাকলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জে তেমন কোনো সহিংসতা বা প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।
জেলা প্রশাসক সরদার সরফাত আলী বলেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ১৪৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ হয়েছে।