Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Thursday 5 December 2013

ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এর জীবন বৃত্তান্ত

 আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু ১৯৩৯ সালের ১৫ই নভেম্বর তদানীন্তন বরিশাল জেলার ঝালকাঠী মহকুমায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন এবং মাতা আকলিমা খাতুন। আমির হোসেন আমু ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনী প্রচারে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে কারাবরণ করেন। তিনি ১৯৫৯ সালে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ভাষা দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হন। তিনি ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬২ সালের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হন।
আমির হোসেন আমু ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬২ সালে গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ১৯৬৩ এর হামুদুর রহমান শিক্ষা কমিশন রিপোর্ট বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৪ এর কনভেনশন আন্দোলনের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৫৮ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সদস্য, ১৯৬৫ তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৬৭তে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৫৯-৬২ বরিশাল জিলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৬৪ সালে মিস ফাতেমা জিন্নাহর নির্বাচনে বৃহত্তর বরিশাল জিলার সর্বদলীয় নির্বাচন প্রচার কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি ১৯৬৩ হতে ১৯৬৪ সালে বরিশাল ব্রজমোহন কলেজ ছাত্র সংসদের সহসভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন এবং ঊনসত্তরের গণআন্দোলনের অন্যতম রূপকার হিসেবে প্রচারের দায়িত্ব পালন করেন।
আমির হোসেন আমু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে ¯œাতকোত্তর পাঠ শেষ করে আইন পেশার পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে ওতপ্রোতভাবে সম্পৃক্ত হন। তিনি ১৯৭০ সালে প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে বরিশাল সদর আসন থেকে জয় লাভ করেন। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধে তিনি বরিশাল, খুলনা, পটুয়াখালী, যশোর ও ফরিদপুরসহ পাঁচ জেলায় মুজিব বাহিনীর প্রধান হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭২ সালে তিনি যুবলীগের প্রেসিডিয়াম প্রতিষ্ঠাতা সিনিয়র সদস্য হিসাবে মনোনীত হন। তিনি ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠী ও রাজাপুর নির্বাচনী এলাকা থেকে সংসদ সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৭২ সালে ঝালকাঠির সভাপতি হন এবং ১৯৭৫ সালে ঝালকাঠির গভর্নর হিসাবে নমিনেশন পান। ১৯৭৫-১৯৭৮ নিরাপত্তা আইনে তিনি তিনবছর কারাবরণ করেন। সেসময় সরকার কোন মামলা দিতে পারেনি; হাইকোর্টে রিট করার পর তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তিনি ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং একই সাথে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া ১৯৮০ সালে তিনি বরিশাল ও ঝালকাঠী জিলা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৮১ হতে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্মসম্পাদক ছিলেন। তিনি ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৮৩ সাল থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত তৎকালীন এরশাদ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৯৬ স্বৈরাচারী আন্দোলনে তিনি কারাবরণ করেছিলেন। তিনি ১৯৯৫, ১৯৯৭, ১৯৯৮, ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে সৌদি বাদশাহের রাজকীয় অতিথি হিসাবে পবিত্র হজব্রত পালন করেন। তিনি সমাজের অবকাঠামোগত উন্নয়নে অসংখ্য স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, রাস্তা, ব্রিজ, কালভার্ট ইত্যাদি সংস্কার ও নির্মাণ করেছেন। তিনি প্রাকৃতিক দুর্যোগ আক্রান্ত জনগোষ্ঠীর মৌলিক মানবাধিকার পূরণের জন্য বিভিন্ন সময়ে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণসহ বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থেকে আপৎকালীন সাহায্য ও সেবা করেছেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৮ সালে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে সফলতার সাথে ত্রাণ বিতরণ, আক্রান্তদের পুনর্বাসনসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় সহযোগিতা করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পঞ্চাশবছর পূর্তি উদ্যাপন কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন।
বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব আমির হোসেন আমু সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সেসময়ে তিনি বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে তিনি পুনরায় জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি নবম জাতীয় সংসদে ধর্ম মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। আমির হোসেন আমু ২৮ আগস্ট ২০১৩ দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ৫৯তম কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারী কনফারেন্সে ১০ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ডেলিগেট হিসাবে যোগ দেন। গত ২১ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে তিনি ভূমি এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত হন।    
দিবস উদ্যাপন কমিটির আহ্বায়ক মনোনীত হন। তিনি ১৯৬৫ সালে বরিশাল বিএম কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৮ সালে বরিশাল আইন মহাবিদ্যালয় থেকে এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৯ সাল থেকে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৬২ সালের সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক হন।