বৃহস্পতিবার তরিকত ফেডারেশনের একটি প্রতিনিধিদল শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে একথা বলেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক
শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
প্রধানমন্ত্রী
ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা জনগণের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার নিশ্চিত
করতে আওয়ামী লীগের দীর্ঘ সংগ্রামের উল্লেখ করে বলেছেন, তার দলের এসব মৌলিক
অধিকার কেড়ে নেয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা গণতন্ত্র সুরক্ষা ও এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছি। সরকারি
সংবাদ সংস্থা- বাসস জানায়, বৃহস্পতিবার সকালে তরিকত ফেডারেশনের একটি
প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে শেখ হাসিনা এ
কথা বলেন।
ফেডারেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সৈয়দ
নজিবুল বাশার মাইজভান্ডারী ৯ সদস্যের এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন। বৈঠক
শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।তিনি
বলেন, ক্ষমতায় আসার পর বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ কঠোর হাতে
দমনের মাধ্যমে দেশকে এই কলংক থেকে মুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলে
শান্তি প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি দারিদ্র্য ও দুর্নীতি নির্মূলে তার প্রচেষ্টা
বিস্তারিত তুলে ধরেন।তিনি বলেন, "বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্যের জন্য বাংলাদেশ এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।"
ট্রান্সপারেন্সি
ইন্টারন্যাশনালের সম্প্রতি প্রকাশিত সূচকের উদ্ধৃতি দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন,
ওই সূচকেই প্রমাণিত হয়েছে বাংলাদেশে দুর্নীতি ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে।
তিনি বলেন, "কিন্তু দেশের একশ্রেণির লোকেরা এ কথা মানতে চায় না।"
আন্দোলনের
নামে দেশব্যাপী হত্যা, সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের জন্য বিরোধীদলের কঠোর
সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, লোকজনকে পুড়িয়ে মারা এবং সরকারি ও
বেসরকারি সম্পত্তিতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ কী ধরনের রাজনীতি? তিনি বলেন,
"বিরোধীদলের এ ধরনের রাজনীতি আমি বুঝি না। জনগণও বুঝতে পারছে না।"জঙ্গীবাদ
ও সন্ত্রাসবাদ চিরতরে নির্মূলের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে শেখ হাসিনা
বলেন, বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের আমলে বাংলাদেশ সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের
নিরাপদ স্বর্গ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছিলো। আন্দোলনের
নামে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টির জন্য বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তরিকত
ফেডারেশন নেতৃবৃন্দ বলেন, সাধারণ নাগরিকরা বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনে সাড়া
দিচ্ছে না।
তারা বলেন, বিএনপি নেতার তথাকথিত এই
আন্দোলনে কেবলমাত্র জামায়াত-শিবিরের ক্যাডারদের সঙ্গে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীরাই
অংশ নিচ্ছে। অপরদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রয়েছেন দেশের
শান্তিকামী ও গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ। দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়ন ও কল্যাণ
নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত কার্যক্রমে ভূয়সী প্রশংসা করেন তরিকত
নেতৃবৃন্দ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত
ছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম এমপি এবং
আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী।