Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Tuesday 3 December 2013

প্রার্থী ১ হাজার ১০৭ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪০, অংশগ্রহণকারী ১৫

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন
প্রার্থী ১ হাজার ১০৭
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪০, অংশগ্রহণকারী ১৫
সমকাল প্রতিবেদক
অব্যাহত রাজনৈতিক সহিংসতার মধ্যেই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য সারাদেশের ৩০০ আসনে ১ হাজার ১০৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন পর্যন্ত ৬৪ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন তারা। বিরোধী দলের টানা অবরোধের কারণে কোথাও কোথাও প্রার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পড়তে হলেও অধিকাংশ আসনেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমুখর পরিবেশের সূচনা হয়েছিল।
প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের
নির্বাচন বর্জনের মুখেই গতকাল মনোনয়নপত্র জমাদানের কার্যক্রম শেষ হয়। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), জাসদ, ওয়ার্কার্স পার্টি, ন্যাপসহ নির্বাচন কমিশন নিবন্ধিত ৪০টির মধ্যে ১৫টি রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রার্থীরা নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে সর্বাধিক ২৯৭ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তবে বিভিন্ন আসনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের কমপক্ষে ৫০ জন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির ২৬১ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। জাতীয় পার্টি থেকেও প্রায় অর্ধশত নেতা বিভিন্ন আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তবে এবার ২৯৯ আসনে প্রার্থী দিলেও শেষ পর্যন্ত জাতীয় পার্টির ৩৮ প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে জাপার একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের প্রতি সম্মান দেখিয়ে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে কোনো প্রার্থী দেয়নি জাপা।
এ ছাড়া জেপি থেকে ১২০ জন, জাসদ থেকে শতাধিক, ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে ৩১ জন, ন্যাপ থেকে ১৫ জন এবং গণতন্ত্রী পার্টি থেকে দু'জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। অন্য দলগুলোর মধ্যে নির্বাচন কমিশনের সদ্য নিবন্ধন পাওয়া বহুল আলোচিত বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), তরীকত ফেডারেশন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, ইসলামী ফ্রন্ট, খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, গণফ্রন্ট এবং বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন চার শতাধিক। নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিলেও বিভিন্ন স্থানে বিএনপির বর্তমান ও সাবেক এক ডজন নেতাও মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অবশ্য নির্বাচন বর্জনকারী ১৮ দলীয় জোটের বাইরের দলগুলোর মধ্যে গণফোরাম, বিকল্পধারা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), সিপিবি, বাসদসহ অনেক দলও এ নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি।
এদিকে, অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার পথে রয়েছেন সাতজন প্রার্থী। তাদের সবাই আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দুটি আসন গোপালগঞ্জ-৩ ও রংপুর-৬ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য শেখ হাসিনার পক্ষে মনোনয়নপত্র রিটার্নিং অফিসার ও রংপুরের জেলা প্রশাসক ফরিদ আহাম্মেদের কাছে জমা দেওয়া হয়। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা এ মনোনয়নপত্র জমা দেন। শেখ হাসিনার পক্ষে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন স্থানীয় নেতারা। তিনি বর্তমানে ওই আসনের সংসদ সদস্য। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জমা দিয়েছেন তিনটি আসনে। তার আসনগুলো হচ্ছে ঢাকা-১৭, লালমনিরহাট-১ ও রংপুর-৩। তার পক্ষেও স্থানীয় নেতারা এসব আসনে মনোনয়ন জমা দেন।
অন্য দলগুলোর প্রধানদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল শরিক জাসদের সভাপতি তথ্য ও সংস্কৃতিমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়া-২ এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ঢাকা-৮ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পিরোজপুর-২ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ঢাকা-১৭, হাসানুল হক ইনুর কুষ্টিয়া-২ ও রাশেদ খান মেননের ঢাকা-৮ আসনে আওয়ামী লীগ কোনো প্রার্থী দেয়নি। ২৯৭টি আসনের প্রার্থী ঘোষণাকালে এ তিনটি আসন ফাঁকা রেখেছিল আওয়ামী লীগ।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গতকাল ছিল দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। এদিনই মূলত অধিকাংশ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা নিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তারা। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ব্যাপক শোডাউনের কারণে অধিকাংশ আসনেই এ নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশের সূচনা হয়।
তবে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রতিবাদে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট টানা ৭২ ঘণ্টার অবরোধ আরও ৫৯ ঘণ্টা বাড়িয়ে বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত করেছে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়সহ প্রার্থীদের বাড়িতে হামলাও চালিয়েছে অবরোধকারীরা। বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া গতকাল এক বিবৃতিতে অবিলম্বে নির্বাচনী তফসিল স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে খালেদা জিয়া বলেছেন, প্রহসনের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়ে বিশেষ দলের ক্রীড়নক হিসেবে ব্যবহার না হয়ে ঘোষিত তফসিল স্থগিত করে দেশকে বাঁচান।
১৮ দলীয় জোট নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার গঠন না করে 'একতরফা নির্বাচন' প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে দেশব্যাপী টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে। অবরোধে সংঘাত-সহিংসতায় প্রাণহানির মধ্যে বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী কার্যালয়েও হামলা হয়েছে। গতকাল বিকেলে মাগুরার শালিখা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় মাগুরা জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে বোমা হামলায় এক কর্মচারী, পুলিশসহ অন্তত পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষ ও সহিংসতার ঘটনাও ঘটেছে। তবে অবরোধ উপেক্ষা করেই সারাদেশে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রার্থীরা। মনোনয়নপত্র জমাকে কেন্দ্র করে সারাদেশে বড় ধরনের গোলযোগের ঘটনা না ঘটলেও চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের পুকুরিয়া এলাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী গোলাম রব্বানীর বাড়িতে হামলা চালিয়েছে অবরোধকারীরা। এ সময় তার বাড়িতে অগি্নসংযোগ করা হয়। এ ঘটনায় রুবেল (২৫) নামের একজন নিহত হয়েছেন। মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় কক্সবাজারের সাংসদ আবদুর রহমান বদির গাড়িবহরে হামলা চালায় অবরোধকারীরা। এ সময় বদি দুটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে নিজেকে রক্ষা করেন।
আচরণবিধি অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় পাঁচজনের বেশি লোক না নেওয়ার কথা থাকলেও বিভিন্ন জায়গায় প্রার্থীরা বহু সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এ কে এম শামীম ওসমান। কুমিল্লা-১১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন রেলপথ ও ধর্মমন্ত্রী মুজিবুল হক। হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ নির্বাচনী এলাকায় গিয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন যশোর আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী নাবিল আহমেদ ও রংপুরের পীরগাছা আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী বর্তমান সাংসদ টিপু মুনশী।
রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য তফসিল স্থগিতে বিএনপি ও জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আরও সময় বাড়ানোর আবেদনের পরও মনোনয়নপত্র জমার সময় বাড়ায়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ৫ ও ৬ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে; প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৩ ডিসেম্বর। আগামী ৫ জানুয়ারি হবে ভোট গ্রহণ।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে দলটির প্রায় অর্ধশত নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বর্তমান সাংসদ, সাবেক সাংসদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান। ফরিদপুর-২ আসনে প্রার্থী হয়েছেন সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর (অব.) আ ত মা হালিম। নারায়ণগঞ্জ-১ আসনে প্রার্থী আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ গোলাম দস্তগীর গাজী। দলীয় মনোনয়ন তিনিই পেয়েছেন। তবে এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) কে এম সফিউল্লাহ বীরউত্তম। ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন দলটির সভাপতিম লীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ। তবে দলের নেতা নিক্সন চৌধুরী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঢাকা মহানগরের ২০ সংসদীয় আসনে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ৭৩টি। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ ১৮, জাতীয় পার্টি ১৫, জেপি ৫, ওয়ার্কার্স পার্টি ১, বিএনএফ ৩, ন্যাপ ২, তরীকত ফেডারেশন ১ ও খেলাফত মজলিসের ১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ঢাকার আসনগুলোর জন্য মনোনয়নপত্র গ্রহণ করা হয়। এ সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের পক্ষে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ফয়সাল চিশতি মনোনয়নপত্র জমা দেন। ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন নিজ দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা-৮ আসনের মনোনয়ন জমা দেন।
এ ছাড়া ভিআইপি প্রার্থীদের মধ্যে সিলেট-১ আসনে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, ঝালকাঠি-১ আসনে ভূমি, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী আমির হোসেন আমু, ভোলা-১ আসনে শিল্পমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শেরপুর-২ আসনে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, চাঁদপুর-১ আসনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, নোয়াখালী-৫ আসনে যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, চাঁদপুর-৩ আসনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি এবং সিলেট-৬ আসনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের ছেলে নাজমুল হাসান পাপন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। কিশোরগঞ্জ-৪ আসনে প্রতিনিধির মাধ্যমে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
চট্টগ্রাম-৯ আসনের মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের নুরুল ইসলাম বিএসসি। ওই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির সভাপতিম লীর সদস্য এবং প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। বিভাগীয় কমিশনারের কাছে মনোনয়নপত্র জমা দেন চট্টগ্রাম-১১ আসনের আওয়ামী লীগের বর্তমান সাংসদ এম এ লতিফ। একই আসনে জমা দিয়েছেন মহাজোটের শরিক জাসদের নগর সভাপতি জসিম উদ্দিন বাবুলও। চট্টগ্রাম-৫ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের টিকিট পাওয়া ইউনুস গণি চৌধুরী। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর এ আসনে জাতীয় পার্টির সভাপতিম লীর সদস্য ও পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ মনোনয়নপত্র জমা দেন।
পার্বত্য খাগড়াছড়ি আসনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ছাড়াও জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) ও ইউপিডিএফ নেতারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও পিরোজপুর-৩ আসনে বিএনপির সাবেক সাংসদ মো. রুস্তম আলী ফরাজী স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
ঢাকার ২০ আসনে ৭৩ প্রার্থী :ঢাকার ২০ সংসদীয় আসনে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য মোট ৭৩ প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের মধ্যে সেগুনবাগিচা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে ৬১ জন ও ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ১২ জন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঢাকা-১ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান খান, জাতীয় পার্টির সালমা ইসলাম, শফিকুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম; ঢাকা-২ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম; ঢাকা-৩ আসনে নসরুল হামিদ বিপু, জাতীয় পার্টির মিজানুর রহমান; ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ড. আওলাদ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন।
ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের হাবিবুর রহমান মোল্লা, জাতীয় পার্টির তুহিনুর রহমান নুরু, জাসদের শহিদুল ইসলাম, তরীকত ফেডারেশনের আরজু শাহ সায়দাবাদী, জেপির মীর আবদুস সবুর, ন্যাপের আবদুর রশিদ সরকার এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন মনির হোসেন কমল।
ঢাকা-৬ আসনে আওয়ামী লীগের মিজানুর রহমান দীপু, জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদ, ন্যাপের আখতার হোসেন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সাইদুর রহমান সহিদ ও নিয়ামুল হক মালিক নামের আরেকজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঢাকা-৭ আসনে আওয়ামী লীগের ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাতীয় পার্টির আফতাব গণি, জেপির হারুন অর রশিদ, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হাজি মোহাম্মদ সেলিম ও রিয়াজ উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঢাকা-৮ আসনে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ছাড়াও জাতীয় পার্টির জহুরুল আলম রুবেল, জেপির আবদুর রহিম এবং ইসমাইল মাহমুদ ও মির্জা আবদুস সালাম স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। ঢাকা-৯ আসনে আওয়ামী লীগের সাবের হোসেন চৌধুরী, জাতীয় পার্টির দেলোয়ার হোসেন খান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুস সামাদ সুজন মনোনয়নপত্র জমা দেন।
ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও জাতীয় পার্টির হেলাল উদ্দিন, ঢাকা-১১ আসনে আওয়ামী লীগের এ কে এম রহমত উল্লাহ ও জাতীয় পার্টির হারুন অর রশিদ, ঢাকা-১২ আসনে আওয়ামী লীগের আসাদুজ্জামান খান কামাল ও জাতীয় পার্টির দেওয়ান আলী, ঢাকা-১৩ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় পার্টির শফিকুল ইসলাম ও জাসদের নাদের চৌধুরী এবং ঢাকা-১৪ আসনে আওয়ামী লীগের আসলামুল হক আসলাম, জাতীয় পার্টির এম এ কাইয়ুম, জেপির মোস্তাকুর রহমান ও জাসদের শিরীন আখতার প্রার্থী হয়েছেন।
ঢাকা-১৫ আসনে আওয়ামী লীগের কামাল আহমেদ মজুমদার, জাসদের সাইফুল ইসলাম, ঢাকা-১৬ আসনে আওয়ামী লীগের ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ, জাতীয় পার্টির মফিজুল হক বেনু, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী সর্দার মোহাম্মদ মান্নান ছাড়াও আমির হোসেন মোল্লা, খালিদ হোসেন ও আমানত হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। ঢাকা-১৭ আসনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়াও জেপির আবদুল লতিফ মলি্লক, খেলাফত মজলিসের মীর আজাহার উদ্দিন ও বিএনএফের আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, জাতীয় পার্টির বাহাউদ্দিন আহমেদ, বিএনএফের আতিকুর রহমান নাজিম ও জাসদের এসএম ইদ্রিস আলী, ঢাকা-১৯ আসনে আওয়ামী লীগের ডা. এনামুর রহমান এবং ঢাকা-২০ আসনে জাপার খান মো. ইসরাফিল খোকন ও আওয়ামী লীগের এম এ মালেক মনোনয়নপত্র জমা দেন।