অন্য একটি মতে
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ শত
বছর আগের কোনো এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্য লাভে গঙ্গাস্নানের
স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাসমেলা। আবার কারো কারো মতে, শারদীয়
দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমার রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে
রাসনৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। এ উপলক্ষেই দুবলায় পালিত হয়ে আসছে রাস
উৎসব।
এই মেলায় দেশের বিভিন্ন
জায়গা ছাড়াও বিদেশ থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী ও পর্যটকের সমাগম ঘটে। প্রায়
অর্ধ লক্ষ মানুষ প্রতি বছর এ উৎসবে অংশ নেন। বিভিন্ন রকম হস্ত শিল্প
সামগ্রীর দোকান বসে। হিন্দুদের নানান পুজা-অর্চনার ফাঁকে সন্ধ্যায় উড়ানো হয়
ফানুস। ভোরের প্রথম জোয়ারে পুণ্য স্নানের মধ্য দিয়ে মেলার প্রধান
প্রার্থনা শুরু হয়।
রাস উৎসবের শুরু হয় ভোর রাতে। সুন্দরবনের আলোরকোল সমুদ্র সৈকতে প্রদীপ নিয়ে পুণ্যার্থীরা
প্রার্থনায় বসেন। সূর্যোদয়ের পর জোয়ারের পানি পুণ্যার্থীদের পায়ে ছোঁয়ালাগা মাত্রই
তারা নেমে পড়েন স্নানে।
সুন্দরবনে মাছ ধরার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় দুবলার এই রাস
মেলার মধ্য দিয়ে।
নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সুন্দরবনে ভ্রমণে যাওয়া কষ্টসাধ্য ও ঝামেলার বিষয়।
অভিজ্ঞ কোনো ভ্রমণ সংস্থার সহায়তায় দুবলার চরে যাওয়া উচিত। এবারের রাস উৎসব
দেখানোর ব্যবস্থা করেছে বেসরকারী ভ্রমণ
সংস্থা বেঙ্গল ট্যুরস। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানালেন, রাস মেলা ছাড়াও সুন্দরবনের আকর্ষণীয় জায়গাগুলো বেড়ানোর সুযোগ থাকছে এ ভ্রমণে।
১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হবে ভ্রমণ।
খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা,
৪ রাত ৩ দিনের এ ভ্রমণে জনপ্রতি খরচ হবে ১০ হাজার ৫শ’ টাকা। বিদেশিদের জন্যে ১৪ হাজার টাকা।
ভ্রমণ
মূল্যে অন্তর্ভুক্ত খুলনা-সুন্দরবন-খুলনা যাতায়াত, ভ্রমণকালীন থাকা,
খাবার, সুন্দরবনে প্রবেশ মূল্য, নিরাপত্তা কর্মী, গাইড সেবা প্রভৃতি।
যোগাযোগ: ০১৭৭৫১০৫৩৫১, ০১৭২০৫৬২৪১৩
আলোকচিত্র: মুস্তাফিজ মামুন