Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 2 November 2013

সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর: প্রধানমন্ত্রী

সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর: প্রধানমন্ত্রী
শনিবার রাতে গণভবনে জাতীয় পার্টি-জেপি নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবিধানিকভাবেই নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর: প্রধানমন্ত্রীপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায়ই আগামী নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর হবে। চিরস্থায়ী রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আনতে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তরের ধারাটা কোন না কোনভাবে শুরু করতে হবে।
তিন বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতেও ক্ষমতার পালাবদলের ক্ষেত্রে সংবিধান মানতে হবে। এই ধারাটা শুরু করাই তার সরকারের লক্ষ্য।    
শুক্রবার রাতে গণভবনে জাতীয় পার্টি-জেপি নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনকালীন 'সর্বদলীয় সরকার' গঠনের ঘোষণার পুনরুল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেছেন, "সংসদে ৯০ ভাগ আসনই আওয়ামী লীগের থাকলেও সংসদে প্রতিনিধিত্বশীল সব দলকে নিয়েই এই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। সব দলের সঙ্গে আলোচনা ও সকলের মতামতের ভিত্তিতেই ওই সরকার গঠিত হবে।" 
শেখ হাসিনা আরও বলেন, "আগামীতে আমরা যে নির্বাচন করতে চাই, সেটি সংবিধান মোতাবেক হবে। এ কারণেই সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন ও ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া আমরা শুরু করে যেতে চাই। যাতে আগামীতে কেউ আর অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা দখল করতে না পারে।"
প্রধানমন্ত্রী বলেন, "গত ৩৮ বছরে ক্ষমতা হস্তান্তর একবারও শান্তিপূর্ণভাবে হয়নি। একমাত্র ২০০১ সালে আওয়ামী লীগই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিল।"
এ প্রসঙ্গে ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সামরিক সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, "আমরা চাই আগামীতে আর যেন এই ধরনের অসাংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসতে না পারে। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কেউ যেন ক্ষমতা দখলও করতে না পারে।"
সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমেও এটি নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।  
বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, "হরতাল প্রত্যাহারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে তিনি কী পেলেন? সরকার হঠানোর নামে হরতাল করে ২০ জন মানুষ হত্যা এবং বিচারপতিসহ সকলের বাড়িতে বোমা হামলা করে দেশের ক্ষতিই করেছেন। সরকারকে ক্ষমতা থেকে হঠাতে তো পারলেন না।"
বৈঠকে জাতীয় পার্টি-জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু ও মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে দলের কেন্দ্রীয় নেতা আবদুর রহিম, শাহ রফিকুল বারী চৌধুরী, এ এইচ সালাউদ্দিন মাহমুদ, কর্নেল (অব.) আবদুল লতিফ মল্লিক, মফিজুল হক বেবু, আমেনা বারী, বদরুদ্দোজা সুজা, এজাজ আহমেদ মুক্তা, সাদেক সিদ্দিকী ও সালাহউদ্দিন আহমেদ যোগ দেন।
আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, আমির হোসেন আমু, তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, মাহবুবউল আলম হানিফ, অধ্যাপক ড. আলাউদ্দিন আহমেদ, ড. গওহর রিজভী,  অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মৃনাল কান্তি দাস, নূহ-উল-আলম লেনিন প্রমুখ বৈঠকে যোগ দেন।
-সমকাল