মুরসি আজ আদালতে নিজেকে প্রেসিডেন্ট দাবি করাতে এবং আসামির পোশাক পরতে রাজি না হওয়ায়, বিচারক আসছে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত আদালত মুলতবি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। ব্রাদারহুডের নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা নিয়ে আদালতের বাইরে এবং কায়রোজুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে। মুরসিকে এখনো অজ্ঞাত সামরিক স্থাপনায় অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তবে বিচারক আজ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, মুরসিকে কায়রোর অদূরে তোরা কারাগারে বা আলেকজান্দ্রিয়ার কারাগারে পাঠানো হবে।
আজ সকালে মুরসিকে প্রথমে হেলিকপ্টারে করে পুলিশ একাডেমি মাঠে ও পরে সেখান থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। আসাম মুহাম্মদ হুসেইন আল-আরিন, মুহাম্মদ আল-বেলতাগি ও আহমেদ আবদেল আতির মতো বাকি মুসলিম ব্রাদারহুড নেতাদের সাঁজোয়া যানে করে আদালতে নেওয়া হয়। মুসরি সাধারণ পোশাকে আদালতে হাজির হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে মিসরের এক বেতার কেন্দ্র। কোনো টেলিভিশন চ্যানেলকে সেখানে যেতে দেওয়া হয়নি।
বিচারকক্ষে ঢুকে মুরসি তাঁর পোশাক ছেড়ে আসামিদের জন্য নির্ধারিত সাদা পোশাক পরতে গররাজি হন। এ সময় বিবাদী পক্ষ ‘অবৈধ, অবৈধ’ বলে স্লোগান দেয়। আদালতে উপস্থিত ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, মুরসিকে তাঁর নাম-পরিচয় বলতে বলা হলে তিনি উচ্চ স্বরে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি এ প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট ডক্টর মুহাম্মদ মুরসি। আমি মিসরের বৈধ প্রেসিডেন্ট। এ আদালতে আমার বিচার হতে পারে না।’ আজ বিচার কাজ স্থগিত করার আগে বিচারক দুবার কিছু সময়ের জন্য কার্যক্রম স্থগিত করেছিলেন।