Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 9 November 2013

অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙতে চায় ইরান

অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙতে চায় ইরান
সমকাল ডেস্ক
জেনেভায় গতকাল বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে অবিশ্বাসের দেয়াল ভাঙতে আশাবাদী ইরান। একই সঙ্গে সতর্কও দেশটি। ইরান ও ছয় বিশ্বশক্তির মধ্যে নতুন করে শুরু হওয়া এ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পেঁৗছতে আশাবাদী ইরান ও পরাশক্তিগুলো। মার্কিন কর্মকর্তারা এ আলোচনাকে চুক্তি বাস্তবায়নের উপায় খোঁজার প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন। ইরান তাদের কর্মসূচি বন্ধে সম্মত হলে তাদের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। খবর জিনিউজ, বিবিসি।
আলোচনা শুরুর আগে যুক্তরষ্ট্রের এক কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ওয়াশিংটন তেহরানকে প্রথম পদক্ষেপে রাজি করাতে চায়। প্রথম পদক্ষেপ হলো, ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম আর বাড়াবে না_ এই মর্মে রাজি হবে।
তিনি বলেন, প্রাথমিক সমঝোতায় ইরান তাদের কর্মসূচি নিয়ে সামনে এগোনো বন্ধ করবে। আর সেটা হবে কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো নিজেদের কর্মসূচি থেকে ইরানের পিছিয়ে যাওয়া।
প্রাথমিকভাবে এ রকম সমঝোতায় পেঁৗছতে পারলে ইরানের ওপর থেকে সীমিত আকারে কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে বলে জানান মার্কিন এই কর্মকর্তা।
দু'দিনের এই বৈঠক শুরু হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। এর আগে গত মাসে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকে উভয় পক্ষই 'বাস্তবসম্মত ও দূরদর্শী' হিসেবে বর্ণনা করেছিল। ইইউ পররাষ্ট্রবিষয়ক প্রতিনিধি ক্যাথরিন অ্যামস্টন ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের আশঙ্কা, ইরান পরমাণুু অস্ত্র তৈরির জন্য ইউরেনিয়াম মজুদ বৃদ্ধি করছে। তবে ইরান বারবার বলে এসেছে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্যবহারের জন্যই।
এর আগে বৈঠককে সামনে রেখে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাভাদ জারিফ বলেন, বৈঠক ফলপ্রসূ হবে। ইরানের ব্যাপারে বিশ্বশক্তিগুলোর অবিশ্বাস ও অনাস্থা দূর হবে। তারা ইরানের মনোভাব উপলব্ধি করতে পারবে। তবে এ ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সময় নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। ফরাসি দৈনিক লা মদেঁর সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, সমঝোতা খুব দূরের ব্যাপার নয়। তবে জেনেভায় নভেম্বরের বৈঠকেই তা নিশ্চিত হয়ে যাবে, এমনটা না ভাবাই উচিত হবে। তিনি এই আলোচনার মাধ্যমে বিশ্বশক্তিগুলোর সঙ্গে ইরানের সম্পর্ক আরও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা চলার পর চলতি বছরের আগস্টে হাসান রুহানি ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই বিশ্বের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কোন্নয়নের কাজ শুরু হয়। এরই ফল গত মাসে পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ৬ বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের আলোচনা শুরু হয়। আন্তর্জাতিক আলোচকরা তেহরানের কাছ থেকে এমন একটি পদক্ষেপ চাইছে যাতে তারা নিশ্চিত হতে পারেন, ইরান কখনোই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করতে সক্ষম হবে না। তার বদলে তারা ইরানের ওপর থেকে বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা, যা গত কয়েক বছরে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে তা তুলে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইসরায়েলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া : এদিকে জেনেভায় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের বৈঠকের প্রাক্কালে এক ইসরাইয়েলি কর্মকর্তা বলেন, আমরা বৈঠক সম্পর্কে জেনেছি। শুনেছি, ইরান তাদের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের হার ২০ শতাংশ কমাবে। এরপর ইরানের ওপর থেকে একে একে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে। আমরা মনে করি, এটা একটা খারাপ ধরনের চুক্তি হতে যাচ্ছে। আমরা এ রকম চুক্তির সঙ্গে কখনোই একমত নই।