Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Friday 8 November 2013

বিশ্বমানের ৩৪ হাজার আইটি পেশাজীবী তৈরি হচ্ছে

জয়দেব দাশ
তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) সেবা প্রতিষ্ঠানে চাকরি দেওয়ার লক্ষ্যে সরকার ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণীকে বিশ্বমানের প্রশিক্ষণ দেবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্স প্রকল্পের (এলআইসিটি) মাধ্যমে এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রশিক্ষক হিসেবে থাকবেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের আইটি বিশেষজ্ঞরা। এর মাধ্যমে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে কম্পিউটার প্রকৌশলে স্নাতকধারী এবং বিজ্ঞান ও বাণিজ্যে স্নাতকধারীরা উচ্চতর প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। তবে ইংরেজিতে দক্ষতাসম্পন্ন উচ্চ মাধ্যমিক পাস এমন আগ্রহীদের জন্য কিছু প্রশিক্ষণের সুযোগ রাখা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে।
পাঁচ বছর মেয়াদি এ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দেশে ৩৪ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রত্যক্ষ চাকরি ও ১ লাখ ২০ হাজার পরোক্ষ চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ ছাড়া সরকারি কার্যক্রম পরিচালনা ও প্রশাসনে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ই-গভর্ন্যান্স ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করবে এ প্রকল্প।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, 'আমাদের লক্ষ্য আগামী ছয় মাসে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের প্রবৃদ্ধি বর্তমান ৫০ শতাংশ থেকে শতভাগে উন্নীত করা। এলআইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট ও গভর্ন্যান্স তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রশিক্ষিত ৩৪ হাজার দক্ষ জনবল তৈরি করবে, যারা এ লক্ষ্য অর্জনে অনেকখানি সহযোগিতা করবে।'
তিনি বলেন, দেশে এরই মধ্যে অনেক ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে। সরকার এসব ফ্রিল্যান্সারকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তা ও বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) পেশাজীবী হিসেবে গড়ে তোলার কার্যক্রম নিয়েছে।
প্রকল্প পরিচালক মো. রেজাউল করিম বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিসিসি এরই মধ্যে এর চারটি প্রধান উপাদানের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করেছে। এগুলো হচ্ছে_ এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টার অপারেবিলিটি কাঠামো স্থাপন, বাজারজাত ও যোগাযোগের বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষম সেবা শিল্পকে অগ্রসরমান করা, তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষম সেবা শিল্প কৌশল ও রোডম্যাপের উন্নয়ন এবং শিল্পের পরিসংখ্যান সংগ্রহ, তথ্যপ্রযুক্তি নিরীক্ষা ও বর্তমান ডাটা সেন্টারের সম্প্রসারণের জন্য পরামর্শ সেবা। এ ছাড়া এ প্রকল্পের আরও আটটি উপাদানের আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বিশ্বব্যাংক পরিচালিত একটি সমীক্ষার আলোকে এলআইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট ও গভর্ন্যান্স প্রকল্পটি ২০০৯ সালে তৈরি করা হয়। ওই সমীক্ষায় বলা হয়, বাংলাদেশে ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত ও মেধাসম্পন্নদের সংখ্যা প্রচুর এবং শ্রম ব্যয় কম হওয়ায় তথ্যপ্রযুক্তি ও তথ্যপ্রযুক্তি সক্ষম সেবার শিল্প বিকাশের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া সফটওয়্যার প্রোগ্রামিং, গ্রাফিকস ও অ্যানিমেশনে এ শিল্প শক্ত অবস্থানে রয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, অন্ততপক্ষে ৩৪ হাজার তরুণ-তরুণী এ প্রকল্পের প্রত্যক্ষ উপকারভোগী এবং ১ লাখ ২০ হাজার পরোক্ষ উপকারভোগী হবে। ৩৪ হাজারের মধ্যে ৩০ শতাংশ, অর্থাৎ ১০ হাজার নারী উপকারভোগী হবে।