Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 3 November 2013

দাওয়াত অব্যাহত রয়েছে: সৈয়দ আশরাফ

দাওয়াত অব্যাহত রয়েছে: সৈয়দ আশরাফ

 
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামআওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমাদের দাওয়াত তো অব্যাহত রয়েছে। যেদিন তিনি সময় পাবেন, সেদিনই তিনি আসবেন। অপ্রয়োজনে তো হরতাল ডাকার দরকার নেই। আলোচনার মাধ্যমে এ সংকটের নিরসন হবে।’
আজ রোববার জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সৈয়দ আশরাফ সাংবাদিকেদের এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফ বলেন, ‘আপনি অ্যানি টাইম আমাদের দাওয়াতে চলে আসতে পারেন। আর দাওয়াতের প্রয়োজন নাই।’
জাতীয় নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলামের ছেলে সৈয়দ আশরাফ বলেন, নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করাই ছিল জাতীয় চার নেতার সবচেয়ে বড় অপরাধ। যার জন্য তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
এর আগে সকাল সাড়ে সাতটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর তিনি আওয়ামী লীগের প্রধান হিসেবে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তিনি দোয়া ও মোনাজাত করেন এবং নীরবে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকেন।
১৯৭৫ সালের এই দিনে এক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী জাতীয় চার নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে। দিনটি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় ও বেদনাবিধুর দিন।
এই নির্মম ঘটনার ঠিক আগে একই বছরের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর তাঁর ঘনিষ্ঠ এই চার সহকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল। প্রতিবছর এ দিনটি জেলহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
ঘটনার পরদিনই ৪ নভেম্বর তত্কালীন কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন) আবদুল আউয়াল লালবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় রিসালদার মোসলেহ উদ্দিনের নাম উল্লেখ করে বলা হয়, তাঁর নেতৃত্বে চার-পাঁচজন সেনাসদস্য কারাগারে ঢুকে চার নেতাকে হত্যা করেন। গুলি করে নেতাদের হত্যা করা হয়। পরে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।
দীর্ঘদিন পর ২০০৪ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে পলাতক আসামি রিসালদার (ক্যাপ্টেন) মোসলেহ উদ্দিন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার মো. আবুল হাশেম মৃধাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং ১২ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। সাবেক মন্ত্রী কে এম ওবায়দুর রহমান, শাহ মোয়াজ্জেম হোসেন, নুরুল ইসলাম মঞ্জুর ও তাহেরউদ্দিন ঠাকুরকে খালাস দেওয়া হয়। এরপর বিষয়টি উচ্চ আদালতে গড়ায়। চলতি বছর আপিল বিভাগের রায়ের মাধ্যমে এর বিচারকাজ শেষ হয়।