সমাবেশে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া
রাজধানীর
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮-দলীয় জোটের সমাবেশ বিকেল
চারটায় পৌঁছেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগে বেলা সোয়া দুইটার
দিকে সমাবেশ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সাদেক
হোসেন খোকা সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন।মঞ্চে রয়েছেন বিএনপির
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য
মাহবুবুর রহমান, আ স ম হান্নান শাহ, জামায়াত নেতা শফিকুল ইসলাম মাসুদ,
জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি (জাগপা) প্রধান শফিউল আলম প্রধান,
বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. ইব্রাহিম, বাংলাদেশ জাতীয়
পার্টির চেয়ারম্যান (বিজেপি) আন্দালিব রহমান পার্থসহ জোটের শরিক দলের
নেতরা।বেলা পৌনে দুইটার দিকে মঞ্চের সামনে দাঁড়ানোকে
কেন্দ্র করে ছাত্রদল-যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে শিবিরের কর্মীদের
ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। এ সময় সমাবেশস্থলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে মঞ্চ
থেকে বাববার সবাইকে শান্ত থাকার অনুরোধ জানানো হলে পরিস্থিতি শান্ত হয়।
এদিকে এরই মধ্যে সমাবেশস্থলে কয়েক হাজার নেতা-কর্মী জড়ো হয়েছেন। তাঁদের
মধ্যে বেশির ভাগই শিবিরের কর্মী। তাঁদের মাথায় শিবিরের ব্যান্ডেনা বাঁধা
রয়েছে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, পল্টন ময়দান অথবা নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের
সামনের সড়ক—এই তিনটি স্থানের যেকোনো একটিতে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঈদের
আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করে বিএনপি। পরে গতকাল বিকেলে
ডিএমপি শর্তসাপেক্ষে জোটকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়।
অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপি বলছিল, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে নয়, নয়াপল্টনে
দলীয় কার্যালয়ের সামনেই সমাবেশ করবে। এ নিয়ে নতুন করে কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়।
এরপর রাত সোয়া ১০টায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
সংবাদ ব্রিফিং করে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তাঁরা সমাবেশ করবেন।ঢাকা মহানগর পুলিশের সূত্র জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আজ ১০ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য রাজধানীতে মোতায়েন রয়েছেন।
গতকাল বিকেলে ডিএমপি ১৩টি শর্তে বিরোধী জোটকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। শর্তের মধ্যে আছে বিকেল পাঁচটার মধ্যে সমাবেশ শেষ করতে হবে। সমাবেশ শুরুর দুই ঘণ্টা আগে থেকে লোকসমাগম করা যাবে না। সমাবেশে দা-কুড়াল-বল্লম, রড, ব্যানার-ফেস্টুন বহনের আড়ালে লাঠি ব্যবহার করা যাবে না।
এদিকে সারা দেশে ১৮-দলীয় জোটের কর্মসূচির কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে পুলিশ-র্যাব। নামানো হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার সামনে পুলিশের উপস্থিতি বাড়ানো হয়েছে।
@ Prothom-alo