Wednesday, 14 May 2014

বুধবার গ্রেপ্তার হতে পারেন তাঁরা তিনজন


অনলাইন ডেস্ক | আপডেট: ০০:২১, মে ১৪, ২০১৪
     
র‌্যাবের চাকরি হারানো তিন কর্মকর্তা কাল বুধবারের মধ্যে গ্রেপ্তার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা ইউএনবি এ কথা জানায়।
আজ সন্ধ্যায় ফোনে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ইউএনবিকে বলেছেন, ‘হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে, মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সব নির্দেশনা দিয়েছে। কাল বুধবারের মধ্যে তাঁরা গ্রেপ্তার হতে পারেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘হাইকোর্টের নির্দেশনা প্রথমে পুলিশের আইজিপিকে জানানো হয়েছে। এরপর জানানো হয়েছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপারকে। মন্ত্রণালয় হাইকোর্টের নির্দেশের ব্যাপারে সেনাবাহিনীকে জানানো হয়েছে। ওই তিনজন সেনাবাহিনীর মাধ্যমে গ্রেপ্তার হবেন।’
ওই তিনি কর্মকর্তা হলেন র‌্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানা।

নেশার কবলে মহিলারা, রুখতে তৎপর ইরান

তেহরান, ১২ মে, ২০১৪, ০১:৩১:৫
অপরাধ নয়, অসুখ। শাস্তির নামে অত্যাচার নয়, দরকার চিকিৎসা। মাদকাসক্তি প্রসঙ্গে এখন এমন ভাবেই ভাবতে চেষ্টা করছে রক্ষণশীল ইরান। শুধু তা-ই নয়, এই মারণ নেশা যে পর্দানসীন মহিলাদের মধ্যেও তীব্র ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, সে কথা মেনে নিয়েছে সে দেশের সরকার। আর তাই খুব সীমিত ভাবে হলেও মাদকাসক্ত মহিলাদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। সবটাই অবশ্য অতি গোপনে, প্রায় লোকচক্ষুর আড়ালে।
তেহরানের পশ্চিম দিকের শহরতলির পুনর্বাসন কেন্দ্রটির কথাই ধরা যাক। অসংখ্য কারখানা আর রাস্তার উপর ডাঁই করে রাখা কাঁচামালের স্তূপের ভিতরে কোথাও যেন হারিয়েই যায় ধাতব দেওয়ালের তৈরি বহুতলটি। কিন্তু গোপন নথি বলছে, ওখানেই কোনও ঘরে একা দিন কাটাচ্ছেন মিনা। বছর চব্বিশের ওই তরুণীর বাবা-মাও মাদকাসক্ত ছিলেন। মিনা মাদক নিতে শুরু করেন ১৯ বছর বয়স থেকে। কিন্তু এখন তিনি বদলাতে চান, কাটিয়ে উঠতে চান এই মারণ আসক্তি। লোকচক্ষুর আড়ালেই তাই চলছে চিকিৎসা।
কিন্তু এ ভাবে কত দিন? বিশেষত ইরানে যে হারে মাদকসক্তের সংখ্যা বাড়ছে, তাতে এই গোপনীয়তা বেশি দিন বজায় রাখা সম্ভব নয় বলেই একাংশের ধারণা। সে দেশের মাদক নিয়ন্ত্রণ সংস্থা যে তথ্য দিয়েছে তাতেই দেখা যাচ্ছে ইরানের তিরিশ লক্ষ বাসিন্দা মাদকাসক্ত। আর তার মধ্যে প্রায় সাত লক্ষই মহিলা। হঠাৎ করে মাদকাসক্তির এমন বাড়বৃদ্ধির কারণ অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়। তবে যা জানা গিয়েছে তা হল, আফগানিস্তানে তৈরি আফিমের সিংহভাগ ইরান হয়েই বাকি দেশগুলিতে ছড়িয়ে পড়ে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে ইরানে আফিম বেশ সহজলভ্য। নাহিদের বয়ানে, “কয়েক মিনিটের মধ্যেই নিজের পছন্দমাফিক মাদক জোগাড় করে ফেলা যায় এখানে।” বছর সাতাশের এই তরুণী নিজেও হেরোইন এবং নানা ধরনের মাদকে আসক্ত।
কিন্তু ইরানের মতো দেশে মহিলারা কী ভাবে এমন নিষিদ্ধ নেশা করার সুযোগ পেলেন? উত্তর খুঁজতে গেলে যে ছবিটা উঠে আসবে, তা এক কথায় অবিশ্বাস্য। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার দেওয়া তথ্য বলছে, ইরানের মহিলাদের উৎসব অনুষ্ঠানের এখন অন্যতম অংশ মাদক-সেবন। শুধু তা-ই নয়, ‘বিউটি পার্লারগুলো’ও এখন মহিলাদের নেশার অন্যতম ‘ঠেক’। আসলে মহিলারা বিলক্ষণ জানেন যে ইরানের বৃহত্তর সমাজ মাদকাসক্তিকে শুধু হীন-চোখেই নয়, অপরাধের চোখে দেখে। পর্দার আড়ালেই দেদার চলে মারণ নেশা।
ইরানি প্রশাসনের এক পদস্থ কর্তা রাজিয়ে খোদাদউস্ত অবশ্য গোটা বিষয়টিকে ইসলামের উপর বিদেশি শক্তির আক্রমণ বলেই মনে করেন। কিন্তু কারণ যা-ই হোক না কেন, সত্যিটা যে তাতে পাল্টে যায় না তা রাজিয়েও জানেন। সত্যিটা মানছেন ইরানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী রহমানি ফজলিও। চলতি বছরের গোড়ার দিকে এক রিপোর্টে তিনি বলেন, “আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হল নেশার গোটা চক্রটাই অসম্ভব গোপনে চলে।” তিনি এ-ও জানান, মাদক পাচারকারীদের রোখার চেষ্টা শুরু করেছে সরকার। কিন্তু এ ভাবে যে মহিলাদের মধ্যে মাদকাসক্তি কমানো যাবে না, তা মানেন রহমানি। অগত্যা তাই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার খোঁজ।
তবে এ খোঁজ শুরু হওয়ার আগে থেকেই মাদকাসক্তদের পুনর্বাসনের কাজ চালাচ্ছেন মাসৌমে এবং তাঁর দল। শুরুর দিকে অবশ্য কোনও সরকারি তৎপরতা ছিল না। জঙ্গলে তাঁবু খাটিয়ে থাকতেন তাঁরা। কাউকে জানাতে পারতেন না কী কাজ করছেন, এমনকী পুরো নামটাও প্রকাশে বাধা ছিল। সে ছবিটা আজও বদলায়নি। এখনও নিজের পরিচয় পুরো বলতে পারেন না। জানাতে পারেন না কী কাজ করছেন। নেই প্রচারও। “ নেশায় আক্রান্ত মানুষদের কাছে আমরা পরিচিত। তাঁরা আমাদের ঠিকই খুঁজে নেন।’’ শুধু চিকিৎসার ব্যবস্থাই নয়, কী ভাবে নেশাসক্তদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়েও আনা যায়, সেটাও খেয়াল রাখেন মাসৌমে-রা।
তাঁদের তৈরি সেই কেন্দ্রেই নতুন জীবন খোঁজ শুরু করছেন মিনা, নাহিদ, সেপিদে-র মতো মাদকাসক্ত মহিলারা। খুব সহজে যে সাফল্য মিলছে তেমন নয়। যেমন সেপিদে জানালেন, বহু বার হেরোইন ছাড়ার চেষ্টা করেও পারেননি। কিন্তু তাঁর আশা রয়েছে, খুব শীঘ্রই পারবেন। “আমি চাই আমার বাবা-মা আমায় নিয়ে গর্ববোধ করুন।” বললেন সেপিদে। কিন্তু মা-বাবা যে তাঁকে ত্যাগ করেছেন?
তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না। কারণ সেপিদে জানেন, তিনি বদলাচ্ছেন। সমাজ বদলাচ্ছে। পরিবর্তন আসছে ইরানে। হয়তো ধীর লয়ে। কিন্তু পুনর্বাসন কেন্দ্রের চার দেওয়ালের মধ্যে সে পরিবর্তনকে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছেন সেপিদে।

মতপার্থক্য থাকুক, হিংসা নয়

১৪ মে, ২০১৪, ০০:০০:০০

পি সুন্দরাইয়া

জওহরলাল নেহরু
জওহরলাল নেহরু তখন প্রধানমন্ত্রী। লেডি মাউন্টব্যাটেনের দিল্লি আসার কথা ঘোষণা হয়েছে। স্বাধীনতার পর মাউন্টব্যাটেন-পরিবার দেশ ছাড়েন। তার পর কেন লেডি মাউন্টব্যাটেন হঠাৎ দিল্লি আসার পরিকল্পনা নিয়েছেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে যায়। রাজ্যসভায় তৎকালীন কমিউনিস্ট নেতা পি সুন্দরাইয়া সরাসরি নেহরুকে আক্রমণ করেন। লেডি মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে নেহরুর সম্পর্ক নিয়ে সে দিনও নানা রকম গল্পকথা চাউর ছিল। সুন্দরাইয়া ছিলেন বাম সংসদীয় নেতা। তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য শুনে নেহরু রেগে অগ্নিশর্মা। প্রবল কথা কাটাকাটি। সর্বপল্লী তখন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি। সেই বাগবিতণ্ডার পর বিকেলে রাধাকৃষ্ণণ ফোন করেন সুন্দরাইয়াকে। বলেন, নেহরু এক চা চক্রে সন্ধ্যায় তাঁর বাসভবনে কতিপয় সাংসদকে ডেকেছেন, সেখানে সুন্দরাইয়াও আমন্ত্রিত। সুন্দরাইয়া যান এবং নেহরু সেখানে তাঁকে জড়িয়ে ধরেন। সুন্দরাইয়াও নেহরুকে দেখে বলেন, “আমি দুঃখিত। আমার অমন কথা বলা উচিত হয়নি।” আবার নেহরুও বলেন, “না, দোষ তো আমার। আমার এত ওভার রিঅ্যাক্ট করা অনুচিত হয়েছে।” সুন্দরাইয়ার আত্মজীবনী থেকে এই ঘটনার কথা জানা যায়। আবার সুন্দরাইয়ার স্ত্রী-র আত্মকথাতেও এই ঘটনার বর্ণনা রয়েছে।
এ বার ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক দলের নেতারাই শুধু নন, টিভি চ্যানেলগুলিতে যে ভাবে ভোট বিশেষজ্ঞরাও এক ভয়ঙ্কর কলহে লিপ্ত ছিলেন, ফেসবুক ট্যুইটারেও যে ভাবে ‘তু তু ম্যায় ম্যায়’ সংস্কৃতি দেখলাম, তা দেখে প্রতি দিন বিষণ্ণ হয়ে যেতাম। রাতে আইপ্যাড বা ইউটিউবে মতান্তরের বদলে মনান্তরের তুফান দেখে রোজ ভেবেছি। গত এক মাস ধরে ভেবেছি কেন এমন হচ্ছে? গণতন্ত্র মানেই তো মতপার্থক্য। সেটাই তো বহুত্ববাদ। আমার পুত্রের বয়স ২৫। ওর সঙ্গেই আমার নানা বিষয়ে মতপার্থক্য হয়। আমার বাবার সঙ্গেও আমার মতপার্থক্য ছিল। অল্প বয়সে আমি যখন ঘোরতর বামপন্থী মার্কসবাদী, তখন আমার বাবা আদি কংগ্রেসের সমর্থক। কিন্তু তা বলে কি বাবা-ছেলের মধ্যে সামাজিক বয়কট হয়েছে? এমনকী, একই পরিবারে দুই ভাই দু’টি ভিন্ন ধর্মাবলম্বী হতে পারে।
এ বার শুধু রাজনৈতিক নেতারাই নন, সংবাদমাধ্যম ও বিশ্লেষকদের মধ্যেও এক ভয়ঙ্কর রাজনৈতিক মেরুকরণ দেখছিলাম। হয় আপনি মোদী-বিরোধী। নয়তো মোদীভক্ত। এক পক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় মোদীকে বলছে ‘শয়তান ঘাতক’, অন্য দিকে, আর এক পক্ষ মোদীকে অবতারে পরিণত করেছেন, যেন তিনি রক্ত-মাংসের মানুষই নন। কলকাতা থেকে দিল্লি এসেছিলাম ১৯৮৭ সালে, তখন বিজেপি-র সাংসদ সংখ্যা দুই। সাংবাদিক হিসাবে বিজেপি-র অফিসে যাওয়া শুরু করেছি। এত বছর ধরে বিজেপি ‘কভার’ করেও নিজেকে বিজেপি-র সমর্থক হতে হয়নি। বাজপেয়ী ও লালকৃষ্ণ আডবাণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার সুযোগ হয়। আডবাণীকে এক বার বলেছিলাম, “আপনার কাজকর্ম সাংবাদিক হিসাবে মূল্যায়ন করেছি, কিন্তু আমাকে যেন কোনও দিন আরএসএস ভাববেন না।” হাসতে হাসতে আডবাণী বলেছিলেন, “কেন, তুমিও কি কলকাতার কমিউনিস্ট?” নরেন্দ্র মোদীকে দেখছি সেই সময় থেকে। নরেন্দ্র মোদী যে ভারতীয় রাজনীতিতে এক নতুন রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য তা আর অস্বীকার করা যায় না। গাঁধী পরিবারের মতো কোনও অভিজাত পরিবারের প্রতিনিধি নন মোদী, তিনি এক অতি সাধারণ চা-ওয়ালার পুত্র। মা বাসন মাজতেন। তিনি আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। তা হলে কী ভাবে এটা সম্ভব হল, তার বিচার বিশ্লেষণ করব না। গোধরা কলঙ্কিত বলে তাঁকে যাঁরা আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছেন, তাঁদের ভাবতে হবে গোটা দেশের বিপুল জনসমর্থন কী ভাবে নরেন্দ্র মোদী করায়ত্ত করলেন? এটা যদি ভিড়তন্ত্র হয় তা হলেও প্রশ্ন, এই ভিড় কেন? এই লোকটির প্রতি কেন এত মানুষ অনুরক্ত হলেন তারও তো একটা আর্থ-সামাজিক কারণ থাকবে!
ভোটের সময় রাজনৈতিক নেতাদের কথোপকথনে, পারস্পরিক আক্রমণের মধ্যে নাকি অনেক সময় নাটকও থাকে, যাকে বলে ‘নওটঙ্কি’। বিশেষত গ্রামীণ নিম্নবর্গের মানুষ নাকি বিশেষ করে ভোটের সময় অন্ত্যজ ভাষা পছন্দ করেন। গালাগালির তো একটা টিআরপি বা বাজার কাটতি রয়েছে। অনেক রাজনীতিক যেমন আমাকে পাল্টা বলেছেন, সংসদে ভাল বক্তৃতা দিলে আপনারা লেখেন না, মারামারি করলে তা প্রচার পায়। তাই প্রাসঙ্গিকতা বজায় রাখতে আমরা এত মারামারি করি। টিভি চ্যানেলগুলিতে নিরবচ্ছিন্ন সিরিয়াস আলোচনার চেয়ে রাজনৈতিক নেতাদের তরজার বাজার বেশি। ইংরেজি চ্যানেলের জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের বিতর্ককে অনেকে নাম দিয়েছে গ্ল্যাডিয়েটর্স।
আসলে আমার বক্তব্য অন্যত্র। সাংবাদিক হিসাবে শুধু নয়, ভারতীয় নাগরিক হিসাবে যে কোনও দল, মতাদর্শ বা ঘটনা সম্পর্কে আমার নিজস্ব বক্তব্য থাকতেই পারে। কিন্তু অন্যকে সেই মতটা মানতে বাধ্য করব কেন? আমার মত অন্য জন মানছে না বলে তাকে ঘৃণা করব কেন? পরমতসহিষ্ণুতা থেকেই কিন্তু দীন-ই-ইলাহির জন্ম। অমর্ত্য সেন তাঁর সত্তা ও হিংসা সংক্রান্ত আলোচনায় বলেছেন, মানুষের আসলে অনেকগুলি সত্তা থাকে। আবার নানা সত্তা একসঙ্গে বসবাস করে। সত্তা যখন দমননীতি নেয়, অন্যের সত্তার উপর স্টিমরোলার চালাতে চায় সেটা হল হিংসা ও দাঙ্গা। হিংসা লুক্কায়িত হতে পারে। ফেসবুকে কারও মতামতের প্রেক্ষিতে আমার ভিন্ন মত জানালাম না, কিন্তু মনে মনে তাকে গালিগালাজ করলাম, তাও কিন্তু এক ধরনের হিংসা।

নরেন্দ্র মোদী

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
উইনস্টন চার্চিল আর ন্যান্সি এস্টারের গল্পটা জানেন? ব্রিটেনের পার্লামেন্টে তার্কিক ন্যান্সি এস্টার এক বার রেগে গিয়ে বলেন, “আপনি যদি আমার স্বামী হতেন তা হলে আপনার কফিতে আমি বিষ মিশিয়ে দিতাম।” সঙ্গে সঙ্গে হাসতে হাসতে চার্চিল বলেন, “আর আপনি যদি আমার বউ হতেন তা হলে সেই বিষ মেশানো কফি আমি পান করে নিতাম।” এ কথা শুনে সব ভুলে গিয়ে গোটা পার্লামেন্টে হাস্যরোল ওঠে।
বড় টেনশন। ভারতীয় রাজনীতির আবহে বড় স্ট্রেস। বিপ্লব করতে গিয়ে ব্যক্তিহত্যার হিংসা চেয়েছিল মাওবাদীরা। আজ বোধহয় অনেকেই ভাবছেন এই হিংসার পথ ভুল। শ্রেণি সংঘাতের নামে ব্যক্তিগত হিংসা কোনও চলার পথ হতে পারে না। আমাদের মধ্যে আসলে আজ এক ভয়ঙ্কর বনাম-এর সংস্কৃতি কাজ করছে। হয় তুমি ইস্টবেঙ্গল, না হয় মোহনবাগান। হয় তুমি চিংড়ি, নয় তুমি ইলিশ। হয় তুমি সিপিএম, নয় তুমি তৃণমূল। হয় সাদা, নয় কালো। আমরা-ওরা। সাদা-কালোর মধ্যে এক ধূসরতা থাকে। এই ধূসরতাই আসলে সত্য।
বরং আস্থা রাখি ভিন্ন সত্তায়। আমি যা ভাবছি সেটাই ঠিক আর বাকিরা সবাই অর্বাচীন, নিজেকে এতটা পণ্ডিত না হয় না-ই বা ভাবলাম।
যে পাণ্ডিত্য হিংসার জন্ম দেয় তা আমরা চাই না!

AD BANNAR