Saturday, 5 April 2014

মোবাইল-ফেসবুকে বন্ধ্যাত্ব ঝুঁকি!

গবেষণায় দেখা যায়, মোবাইল থেকে চার ঘন্টার বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীদের দাম্পত্য জীবন মারাত্মক ব্যাহত হয়।
অনলাইন ডেস্ক
মোবাইল-ফেসবুকে বন্ধ্যাত্ব ঝুঁকি!
ফাইল ছবি।
মোবাইল ফোন ব্যবহারে স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়ে কম বেশি কথা থাকলেও সম্প্রতি মিলেছে নতুন এক তথ্য।
 
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দ শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বর্তমানের জটিল জীবনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ছুটতে, প্রায় বেশিরভাগ মানুষই মোবাইল ফোনের সঙ্গে ২৪ ঘন্টা কাটান। কিন্তু একজন মানুষ যদি দিনে চার ঘন্টার বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন, তাহলে তাতে তার দাম্পত্য জীবন প্রভাবিত হতে পারে। বাড়তে পারে বন্ধ্যাত্ব।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে যারা মোবাইল থেকে ফেসবুক বা ওয়াটসঅ্যাপ চার ঘন্টার বেশি করেন তাদের স্বাভাবিক দাম্পত্য জীবন মারাত্মক ব্যাহত হয়। দাম্পত্য ক্ষমতাও হ্রাস পায়।
 
এতে বলা হয়েছে, গবেষকরা বলছেন এর পেছনে মূলত আছে রেডিয়েশন বা বিকিরণ যেটা মোবাইল সেট থেকে বের হয়। এই গবেষণার জন্যে ২০ জন পুরুষকে বেছে নেওয়া হয়েছিল, যারা বন্ধ্যাত্বের শিকার। আর ১০ জনকে নেওয়া হয়েছিল, যারা শারীরিকভাবে একেবারে সুস্থ।
 
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষকরা দেখেছেন প্রথম ২০জন যারা বন্ধ্যাত্বের স্বীকার তারা দিনে চার থেকে সাড়ে চার ঘন্টার বেশি খোলা অবস্থায় মোবাইল ফোন নিজের কাছে রাখেন। সেখানে যারা সুস্থ তারা দুঘন্টারও কম নিজের কাছে মোবাইল ফোন রাখেন।
 
এবিপি আনন্দ’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরুষরা যদি নিজেদের দাম্পত্যজীবন পুরোপুরি উপভোগ করতে চান, তাহলে তাদের অবিলম্বে মোবাইল ফোনের ব্যবহার কমিয়ে ফেলা উচিত বলে গবেষণায় বলা হয়েছে।

উড়ো ফোনের তামাশায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের!

যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা। আপাতত যার ঠাই পুলিশ লক-আপে।
অনলাইন ডেস্ক
উড়ো ফোনের তামাশায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের!মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছেলে অহরণ তামাশায় ভারতে প্রাণ গেল এক বৃদ্ধের।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ বাংলা অনলাইন শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, নিছকই উড়ো ফোনের তামাশা। অপহরণের ভুয়া গল্প। তার জেরে হৃদরোগে প্রাণ গেল ৫৭ বছরের প্রৌঢ়ের।বালিগঞ্জ থানা এলাকার ঘটনা। যিনি ফোন করেছিলেন, তিনি গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা। আপাতত যার ঠাই পুলিশ লক-আপে। আর যার প্রাণ গেল, তার পরিবার শোকে পাথর। এ ধরণের তামাশার চরম মাশুল দিল তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৬ মে বিকেল সাড়ে চারটা। বালিগঞ্জের মে ফেয়ার রোডের বাসিন্দা, পেশায় পরিবহণ ব্যবসায়ী ৫৭ বছরের পরমজিত সিং জাগ্গির কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে। নিজেকে গঙ্গাসাগরের বাসিন্দা দাবি করে ওই ব্যক্তি তাকে জানায়, তার ছেলে অমরদীপ সিং-কে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ বাবদ ৭ লক্ষ টাকাও দাবি করে অরুণ গিরি নামের একত্রিশ বছরের ওই যুবক।
এতে বলা হয়, ঘটনাচক্রে সে সময় কর্মসূত্রে সিঙ্গাপুর ছিলেন অমরদীপ। আন্তর্জাতিক রোমিং না থাকায় তাকে ফোনেও পাননি বাবা । ছেলের অপরহণ হয়েছে এই ধরণায় হৃদরোগে আক্রান্ত হন পরমজিত। বেলভিউ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অমরদীপের কাছে লিখিত অভিযোগ পেয়ে সক্রিয় হয় বালিগঞ্জ থানা। গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রমের কাছে মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে খোঁজ মেলে অরুণ গিরির। শুক্রবার রাতে সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে বালিগঞ্জ থানার বিশেষ বাহিনী। আটকৃতকে ১৪ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে পেয়েছে পুলিশ।
পুলিস সূত্রের দাবি, যারা নিছক মজা করার জন্য এ ধরণের ফোন করেন, অরুণ গিরির ঘটনা থেকে শিক্ষা নিক তারা।

Wednesday, 19 March 2014

নিখোঁজ বিমান নিয়ে ফেসবুকে ভিডিও প্রতারণা

মালয়েশিয়ান বিমান নিয়ে প্রতারণা করছে সাইবার দুর্বৃত্তরাফেসবুক পোস্টে আকর্ষণীয় শিরোনাম, ‘বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে খোঁজ মিলেছে মালয়েশিয়ার হারানো বিমানটির, ভিডিও দেখুন’। এ রকম শিরোনাম দিয়ে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি সম্পর্কে ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে নানা রকম গুজবের লিংক। ফেসবুকে ছড়ানো এই লিংকগুলোতে বিশ্বাস করা ও এ ধরনের পোস্টে ক্লিক করা থেকে সতর্ক হতে বলেছেন অনলাইন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে গার্ডিয়ান অনলাইন।
অনলাইন নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ম্যালওয়্যারবাইটসের গবেষকেরা জানিয়েছেন, এমএইচ৩৭০ বিমানটি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের চমকপ্রদ তথ্যের লিংক শেয়ার করা হচ্ছে ফেসবুক ব্যবহারকারী নিউজ ফিডে। এ লিংকগুলোতে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীদের ইউজার নেম ও পাসওয়ার্ড চলে যাচ্ছে হ্যাকারদের কাছে। ফলে ফেসবুক আইডি হ্যাক হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে। ফেসবুক ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে মালয়েশিয়ার হারিয়ে যাওয়া বিমান দেখতে পাওয়া বা খোঁজ পাওয়ার যেসব তথ্য, ভিডিও বা খবরের লিংক হাজির হচ্ছে, তা মূলত ম্যালওয়্যার ও সাইবার দুর্বৃত্তদের পাতা ফাঁদ। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা হলে সাইবার দুর্বৃত্তরা একটি ভুয়া জরিপের পাতায় নিয়ে যায় এবং ব্যবহারকারীর সর্বনাশ করার চেষ্টা করে।ফেসবুকে ভিডিও প্রতারণা বাড়ছে
ম্যালওয়্যার গোয়েন্দাগিরিতে বিশেষজ্ঞ ম্যালওয়্যারবাইটসের বিশেষজ্ঞ ক্রিস বয়েড জানিয়েছেন, সাধারণত মানুষের কৌতূহল বা বড় কোনো ঘটনার সময়কে অর্থ হাতানোর সুবর্ণ সুযোগ বলে মনে করে সাইবার দুর্বৃত্তরা। এ সময় অনলাইনে ভুয়া লিংক, ভিডিও বা পোস্টের মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। ৭ মার্চ রাতে মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানটি নিয়েও টুইটার ও ফেসবুকে নানারকম স্ক্যাম ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ফেসবুকে কিছু পোস্টে ভিডিও জুড়ে দিয়ে দাবি করা হচ্ছে, বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে কিংবা সমুদ্রের মাঝে বিমানটিকে শনাক্ত করা হয়েছে। অনেক পোস্টে দাবি করা হচ্ছে, যাত্রীরা এখনো বেঁচে আছেন কিংবা নিরাপদে আছেন।
ফেসবুকে অনেক সময় এ ধরনের বিষয় দ্রুত ছড়াতে ‘ব্রেকিং নিউজ’ কিংবা ‘শকিং ভিডিও’ প্রভৃতি কথাও ব্যবহার করা হচ্ছে। ‘মালয়েশিয়ান উড়োজাহাজটি বারমুডা ট্রায়াঙ্গলে খুঁজে পাওয়া গেছে’ কিংবা ‘৫০ জন আরোহীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে’ এ রকম সংবাদ প্রচার করে বিবিসি কিংবা সিএনএন সাইটের মতো ভুয়া লিংক ফেসবুকে দেওয়া হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞ ক্রিস বয়েড জানিয়েছেন, প্রথমত টুইটারের মাধ্যমে ম্যালওয়্যারপূর্ণ সাইটের লিংক ছড়ায়। ফেসবুকে যেসব সাইট লিংকের মাধ্যমে বিভিন্ন খবর শেয়ার করে, টুইটারে সে রকম সাইটের লিংকের ছদ্মবেশে ম্যালওয়্যার ছড়ানো হচ্ছে। এ ধরনের লিংকে ক্লিক করা হলে স্প্যামব্লগ, সংবাদমাধ্যমের ছদ্মবেশে থাকা ভুয়া জরিপের সাইটে চলে যেতে পারেন ব্যবহারকারী।
কিছু ভুয়া ভিডিও সাইট ফেসবুকে ‘প্রে ফর এমএইচ৩৭০’ নামের গ্রুপ শেয়ার করার জন্যও অনুরোধ করে। এ ধরনের পেজে ভুয়া ভিডিও দেখা ও শেয়ার করার জন্য বলা হয়।
বয়েড বলেন, এর আগে ২০১১ সালে জাপানে সুনামি ও ফিলিপাইনে ভূমিকম্পের সময়ও এ ধরনের স্ক্যাম ছড়িয়েছিল। দুর্ঘটনার সঙ্গে মানুষের আবেগ জড়িত থাকে। এই সুযোগে স্ক্যামগুলো জনপ্রিয় হয় এবং হাজার হাজার শেয়ার হয়। এ আবেগ কাজে লাগিয়ে ভুয়া ভিডিও ও লিংকে ক্লিক করানোর মাধ্যমে দুর্বৃত্তরা অর্থ হাতানোর সুযোগ খুঁজতেই থাকে। তাই বিষয়টিতে সতর্ক থাকা জরুরি।

AD BANNAR