Wednesday, 30 October 2013

আল্লাহকে বলেছি আরও ধৈর্য দিতে: প্রধানমন্ত্রী

আল্লাহকে বলেছি আরও ধৈর্য দিতে: প্রধানমন্ত্রী

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দেশের মানুষের কথা ভেবে অনেক অবান্তর কথা সহ্য করতে হয়েছে আমাকে। উনার সব কথার উত্তর আছে। কিন্তু আমি চেয়েছিলাম আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতা। উনি একের পর এক কথা বলেছেন, শর্ত দিয়েছেন। আমি আল্লাহকে বলেছি, আমাকে যেন আরও ধৈর্য দেন। আমার এমনিতে ধৈর্য আছে। আল্লাহকে বলেছি আরও ধৈর্য দিতে।’
আজ বুধবার ঢাকা ও আশপাশের জেলার সাংসদদের সঙ্গে এক বৈঠক শুরুর আগে শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। বর্তমানে গণভবনে রুদ্ধদার ওই বৈঠক চলছে।
হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (খালেদা জিয়া) আলটিমেটাম দিয়েছেন। আমি তার আগেই ফোন দিয়েছি। হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে। এর পরও তিনি হরতাল প্রত্যাহার করলেন না। এ হরতালে ২০ জনের বেশি মানুষ হত্যা করে কী অর্জন করলেন—এ প্রশ্নটা আমি রাখতে চাই। হরতাল করে কতগুলো মায়ের কোল খালি করা হয়েছ। অনেক পরিবার বিপর্যয়ে পড়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়েছে। এটাই কী তাঁর খেলা। উনি কী অর্জন করলেন?’
দাওয়াত তো আছেই: আশরাফ
শেখ হাসিনার আগে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকারমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। বিরোধীদলীয় নেতাকে আমন্ত্রণ জানানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দাওয়াত তো আছেই। তিনি তো আসতে পারেন। এমন একটা ভাবসাব যেন আবার দাওয়াত দেওয়া হোক। প্রয়োজন হলে দাওয়াত দেওয়া হবে। ১০০ বার দাওয়াত দিতে প্রস্তুত। আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আলোচনার সময় শেষ হয়ে যায়নি, সব সমস্যা সমাধানের সময়ও শেষ হয়নি।’
আশরাফ দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দুর্বলের সঙ্গে আসলে কেউ সন্ধি করে না। আমাদের তারা দুর্বল ভাবতে পারে। আমাদেরও শক্তি সঞ্চয় করতে হবে। এটা লাঠির শক্তি নয়, রাজনৈতিক শক্তি। আগামী ৩ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মানুষের সমাগম ঘটিয়ে মানুষের শক্তি দেখাতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ বক্তব্য দেন। এ সময় দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

খালেদাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

খালেদাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুবিরোধীদলীয় নেতাকে শর্তহীন সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সংলাপে না এলে আপনি হিংসার রানি, প্রতিহিংসার রানি, সন্ত্রাসের রানি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সংলাপ ও আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না। যুদ্ধের সময়ও বিরতি দিয়ে সংলাপ হয়। আমরা বাংলাদেশের ইজারা তেঁতুল হুজুরের কাছে দিতে পারি না।’

আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ওই সংলাপের আয়োজন করে।
দুই নেত্রীর ফোনালাপ সরকার প্রকাশ করেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী জনসমক্ষে ফোনালাপ প্রকাশ করা যদি বেআইনি হয়ে থাকে তাহলে বিচার হওয়া উচিত। এখানে যদি আমিও দোষী হই তাহলে আমারও বিচার হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম যদি ফোনালাপ আংশিক প্রকাশ করা হয় তাহলে জাতি বিভ্রান্ত হবে। দুই নেত্রীর সম্মতি নিয়ে তা প্রকাশ করা যায়। এখন ৩৭ মিনিটের ফোনালাপ দেখার পর মনে হয়েছে এটা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।’
আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও প্যানেল আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তফসির আহমদ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী।
হেফাজতে ইসলাম-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বিএনপি ও জামায়াতের অঙ্গসংগঠন। ইসলাম রক্ষার নামে শফী হুজুর মূলত বিএনপি ও জামায়াতকে ক্ষমতায় আনার কাজ করছেন। তিনি রাজনৈতিক হুজুর।’
হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীদের চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত যদি পড়ানো হয় তাহলে তাঁরা ডাক্তার কীভাবে হবে? আর ডাক্তার না হলে আমাদের মা-বোনেরা কার কাছে গিয়ে চিকিত্সা করবেন? হেফাজতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
সরকারের ব্যর্থতা কি এমন প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক শান্তি দিতে পারিনি, তেঁতুল হুজুরকে শাস্তি দিতে পারিনি, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি—এগুলোই আমাদের ব্যর্থতা।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আইন বদল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু অতীতে সামরিক সরকার ও তাদের দোসরেরা আইন বদল করেছে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবে বলে আমার শঙ্কা।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বদলে গোঁজামিলতন্ত্র ছিল। একটু গণতন্ত্র, একটু ধর্মতন্ত্র, একটু সামরিকতন্ত্র মিলে গোঁজামিলতন্ত্র চলছে। এ থেকে মুক্ত হতে হবে।’
কবি অরুণ দাশগুপ্ত ও অধ্যক্ষ ফজলুল হকও প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন।

খালেদাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

খালেদাকে শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুবিরোধীদলীয় নেতাকে শর্তহীন সংলাপে আসার আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, ‘সংলাপে না এলে আপনি হিংসার রানি, প্রতিহিংসার রানি, সন্ত্রাসের রানি হিসেবে চিহ্নিত হবেন। সংলাপ ও আন্দোলন একসঙ্গে চলতে পারে না। যুদ্ধের সময়ও বিরতি দিয়ে সংলাপ হয়। আমরা বাংলাদেশের ইজারা তেঁতুল হুজুরের কাছে দিতে পারি না।’
আজ বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘শান্তি, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের অভিযাত্রা’ শীর্ষক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। গণযোগাযোগ অধিদপ্তর ওই সংলাপের আয়োজন করে।
দুই নেত্রীর ফোনালাপ সরকার প্রকাশ করেনি উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তথ্যপ্রযুক্তি আইন অনুযায়ী জনসমক্ষে ফোনালাপ প্রকাশ করা যদি বেআইনি হয়ে থাকে তাহলে বিচার হওয়া উচিত। এখানে যদি আমিও দোষী হই তাহলে আমারও বিচার হোক।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম যদি ফোনালাপ আংশিক প্রকাশ করা হয় তাহলে জাতি বিভ্রান্ত হবে। দুই নেত্রীর সম্মতি নিয়ে তা প্রকাশ করা যায়। এখন ৩৭ মিনিটের ফোনালাপ দেখার পর মনে হয়েছে এটা জনগণের জানার অধিকার রয়েছে।’
আবৃত্তিশিল্পী মিলি চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ছাড়াও প্যানেল আলোচক ছিলেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক শামীম মোহাম্মদ আফজাল ও গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তফসির আহমদ। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী।
হেফাজতে ইসলাম-সম্পর্কিত এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম বিএনপি ও জামায়াতের অঙ্গসংগঠন। ইসলাম রক্ষার নামে শফী হুজুর মূলত বিএনপি ও জামায়াতকে ক্ষমতায় আনার কাজ করছেন। তিনি রাজনৈতিক হুজুর।’
হেফাজতে ইসলামের সমালোচনা করে এক প্রশ্নের জবাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বলেন, ‘নারীদের চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত যদি পড়ানো হয় তাহলে তাঁরা ডাক্তার কীভাবে হবে? আর ডাক্তার না হলে আমাদের মা-বোনেরা কার কাছে গিয়ে চিকিত্সা করবেন? হেফাজতের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।’
সরকারের ব্যর্থতা কি এমন প্রশ্নের জবাবে হাসানুল হক বলেন, ‘আমরা রাজনৈতিক শান্তি দিতে পারিনি, তেঁতুল হুজুরকে শাস্তি দিতে পারিনি, জামায়াতকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি—এগুলোই আমাদের ব্যর্থতা।’
যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে শঙ্কা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার বদলের সঙ্গে সঙ্গে আইন বদল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু অতীতে সামরিক সরকার ও তাদের দোসরেরা আইন বদল করেছে। বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় এলে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করে দেবে বলে আমার শঙ্কা।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্রের বদলে গোঁজামিলতন্ত্র ছিল। একটু গণতন্ত্র, একটু ধর্মতন্ত্র, একটু সামরিকতন্ত্র মিলে গোঁজামিলতন্ত্র চলছে। এ থেকে মুক্ত হতে হবে।’
কবি অরুণ দাশগুপ্ত ও অধ্যক্ষ ফজলুল হকও প্যানেলে উপস্থিত ছিলেন।

AD BANNAR