Thursday, 6 February 2020

মাত্র ১২০! বাড়ির মালিক এনু–রুপন

রুপন ভূঁইয়া ও এনামুল হক এনু
১০ বছর আগেও এনামুল হক এনু ও রুপন ভূঁইয়ার সম্পদ বলতে ছিল ২৯ বানিয়ানগরে লোহালক্কড় বিক্রির একটি দোকান। তাঁরা থাকতেন দোকানের পেছনে একটি টিনশেড বাড়িতে। অভিযানের প্রথম পর্যায়ে র‍্যাবের কাছে দুই ভাইয়ের মালিকানায় ১৫টি বাড়ির তথ্য ছিল, গ্রেপ্তারের পর সিআইডি জানায়, বাড়ির সংখ্যা ২২। আর রিমান্ড শেষে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা ১২০টি বাড়ির তথ্য দিয়েছে।
এনামুল হক ও রুপন ভূঁইয়া ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের অংশীদার। ক্লাবপাড়ায় প্রথমে ওয়ান–টেন ও পরে ক্যাসিনো চালুর পেছনে এই দুই ভাইয়ের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অভিযোগ আছে, টাকা ঢেলে আওয়ামী লীগের পদ বাগিয়েছিলেন তাঁরা। এনামুল হক ছিলেন থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আর রুপন ভূঁইয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরুর পর গা ঢাকা দেন। পালিয়ে নেপালে যাওয়ার প্রস্তুতি চূড়ান্ত করে এনেছিলেন। ধরা পড়ে যান হঠাৎ।

পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় গত ১৩ জানুয়ারি চার দিনের রিমান্ডে আনে এনু–রুপনকে। জিজ্ঞাসাবাদে এনু–রুপন বলেন, ঢাকায় তাঁদের যৌথ মালিকানাধীন শতাধিক ফ্ল্যাট এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরে পাঁচ বিঘা জমি আছে। এই সম্পদ তাঁর মা, সাত ভাই ও এক বোনের নামে। পুলিশ জানাচ্ছে, জিজ্ঞাসাবাদে এনু–রুপন জানিয়েছেন, তাঁরা তাঁদের বাবার সঙ্গে আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে জুয়ার আসরে গিয়ে বসতেন। সদরঘাটে তাঁদের জুয়ার বোর্ডও ছিল। অঢেল সম্পদের মালিক হন ক্যাসিনোর কারবার থেকে। তবে ট্যাক্স ফাইলে এখনো সম্পদ বলতে সেই পুরোনো এনু–রুপন স্টিল মিলস নামের লোহালক্কড়ের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়কেই দেখিয়ে যাচ্ছিলেন।যা কিছু সম্পদ তার মালিক
 এনু, রুপন, রশিদুল, দুলু, আমিনুল, শিপলু, তাঁদের মা মমতাজ বেগম ও বোন চম্পা এবং মৃত এক ভাইয়ের সন্তানেরা। বানিয়ানগরের কারখানার পেছনে ৩১ বানিয়ানগরে এনু–রুপনের ছয়টি ফ্ল্যাট আছে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করে বাড়ির কাউকে পাওয়া যায়নি। এই ভবনের দোতলায় এনু ও পঞ্চম তলায় রুপন থাকতেন। এনুর ফ্ল্যাটে থাকা দুটি ভল্ট ও পঞ্চম তলায় রুপনের ফ্ল্যাটে থাকা একটি ভল্ট থেকে অভিযান চালিয়ে র‍্যাব ১ কোটি ৫ লাখ টাকা, প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের আট কেজি স্বর্ণালংকার ও পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল। তাঁদের একজন প্রতিবেশী নাম না প্রকাশ করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ওই এলাকায় এনু–রুপনদের ফ্ল্যাটের আকৃতির ফ্ল্যাটের দাম ৪০ লাখ টাকার মতো।
সম্পদ আছে ১২০টি ফ্ল্যাট ও ১৫টি বাড়ি
ক্যাসিনো কারবারে সম্পৃক্ততার দায়ে গ্রেপ্তার দুই ভাই কারাগারে
জুয়ার টাকায় অঢেল সম্পদ

এনামুল–রুপনদের বিলাসবহুল বাড়ির ফটক। পুরান ঢাকার নারিন্দায়।  ফাইল ছবিএনামুল–রুপনদের বিলাসবহুল বাড়ির ফটক। পুরান ঢাকার নারিন্দায়। ফাইল ছবি
কাছেই লালমোহন সাহা স্ট্রিটে ছয়টি ভবন ও বাড়ি থাকার কথা জানিয়েছেন এনু–রুপন। এই বাড়িগুলো খুঁজতে যে গলিপথ ধরে এগোতে হয়, তার প্রস্থ বড়জোর ৬ ফুট। এনু–রুপন জিজ্ঞাসাবাদে সাতটি হোল্ডিং নম্বরে তাঁরা ৫টি ফ্ল্যাট, ১০ তলা ভবনের ১০টি ফ্ল্যাট, এক কাঠার প্লট, ছয়তলা তিনটি ভবনের ১২টি ফ্ল্যাট ও একটি এক কাঠা প্লটের কথা জানান। বহুতল ভবন দুটির নামই মমতাজ ভিলা। ১২০ হোল্ডিং নম্বরে এক সারিতে বেশ কয়েকটি ভবন। এমন একটি ভবনের বাসিন্দা সায়েরা খাতুন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, পাশের ভাঙা বাড়িটার মালিক এনু–রুপনরা। লালমোহন সাহা স্ট্রিট ছাড়াও এনু–রুপন দক্ষিণ মৈসুন্দিতে সাততলা একটি ভবনে ১৪টি ফ্ল্যাট, গেন্ডারিয়ার শাহ সাহেব লেনে ১০ তলা ভবনের ১৭টি ফ্ল্যাট, ৬ তলা ভবনের ৪টি ফ্ল্যাট ও ৪ তলা একটি ভবনের ১৩টি ফ্ল্যাটের কথা বলেছেন। তা ছাড়া, যৌথ মালিকানায় তাঁদের পরিবারের নারিন্দায় পৃথক দুটি ভবনে ১৬ টি, নারিন্দাতেই ছয়তলা ভবনের পঞ্চম তলায় দুটি, তৃতীয় তলায় একটি ও নিচতলায় একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন এনু। তাঁদের গুরুদাস সরদার লেনে নির্মাণাধীন ছয়তলা ভবনের ১২টি ফ্ল্যাট ডিস্টিলারি রোডে একতলা টিনশেড বাড়ি রয়েছে। ঢাকার কাছে কেরানীগঞ্জে ১৫ কাঠা জমির ওপর একতলা একটি বাড়িও রয়েছে তাঁদের।

এর বাইরে এনু–রুপন ও তাঁর ভাইদের মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ১০ কাঠার খালি প্লট, শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ১২ শতাংশ, পালং থানায় ৩৪ শতাংশ জমি আছে। স্বর্ণ ও বাড়িঘর ছাড়াও এনু–রুপনের জিম্মায় ৭০০ ভরি স্বর্ণ, ৯১টি ব্যাংক হিসাবে ১৯ কোটি টাকা ও পাঁচটি যানবাহন রয়েছে বলে জানান সিআইডি কর্মকর্তারা।

সিআইডির বিশেষ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিনহাজুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুই ভাইয়ের কেউই দশম শ্রেণির গণ্ডি পেরোননি। নেপালের ‘হ্যারি’ (হরি) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে ক্যাসিনোর কারবার চালাতেন। গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত নেপালে যোগাযোগ ছিল। ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে নেপালে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন।

আমিও অনেক কিছু বলতে পারি:অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল

বিরোধী দলের সাংসদদের দুই দফা বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেন, ‘পৃথিবীতে কোথায় কী হচ্ছে জানা দরকার। বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত। আপনারা বলছেন, ব্যাংক, শেয়ারবাজার সব খালি করে ফেলেছি। আপনাদের সময় পুঁজিবাজার কী ছিল? আপনাদের সময় ইনডেক্স কী ছিল? এবার সারা পৃথিবীতে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা। অর্থনীতিতে ওঠানামা থাকে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানগুলো সরকারের টাকায় হয়েছে। লাভের সময় ইচ্ছেমতো বোনাস নেবে, বিদেশে ঘুরবে, তা হয় না।
মুজিবুল হক চুন্নুর বক্তব্যের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সাইফুর রহমান চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ছিলেন। আমিও তা–ই। আমি সারা বিশ্বের এক নম্বর অর্থমন্ত্রী। পারসোনাল লেবেলে কথা বলবেন, এটা ঠিক নয়। আমিও অনেক কিছু বলতে পারি। সবারই বিষয়েই আমি জানি।’ অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, একমাত্র রপ্তানি–বাণিজ্য নেতিবাচক। এটা ছাড়া একটি খাতেও দেশ পিছিয়ে নেই। বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জেপি মর্গান সবাই মনে করে জিডিপি আট ভাগের কম হবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ভ্যাট আইন নিয়ে তিনি আশাবাদী ছিলেন। তবে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। কিছুসংখ্যক ভ্যাট মেশিন আনা হয়েছে। রাজস্ব আহরণ শেষ পর্যন্ত নেতিবাচক থাকবে না।

মুস্তফা কামাল বলেন, পিছিয়ে থাকা মানুষকে মূল স্রোতে নিয়ে আসাই উদ্দেশ্য। এ ধরনের আইন দেশে নতুন নয়। রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ আইন দশম সংসদে পাস হয়েছে। সেখানে এ ধরনের কথা বলা হয়েছে। একাদশ সংসদে উদ্ভিদের জাত সংরক্ষণ আইনে একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। সরকারের কোষাগারে অর্থ জমা না পড়লে শৃঙ্খলা আসবে না।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পুঁজিবাজার আরও ভালো করা উচিত। যে জায়গায় পুঁজিবাজার থাকার কথা, সে জায়গায় নেই। টাকা পাচারের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অর্থমন্ত্রী বলেন, টাকা পাচারের সংখ্যা কীভাবে নির্দিষ্ট করে বলা হচ্ছে। যাঁরা বলছেন, তাঁরা কি অংশীদার? না হলে হয় অভিযোগ করতে হবে, নয়তো সাক্ষ্য দিতে হবে। তবে অর্থমন্ত্রী স্বীকার করেন টাকা পাচার হচ্ছে।

ওনার মূল পরিচয় ব্যবসায়ী
অর্থমন্ত্রীকে ব্যবসায়ী বলাতে উষ্মা প্রকাশ করায় জাপার সাংসদ মুজিবুল হক বলেন, ‘আমি একজন অ্যাডভোকেট। এটা বললে কি অপরাধ হবে? উনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট। কিন্তু উনার মূল পরিচয় একজন ব্যবসায়ী। এটাতে আহত হওয়ার কারণ নেই।’

মুজিবুল হক বলেন, তিনি প্রতিমন্ত্রী থাকা অবস্থায় তাঁকে ‘বেস্ট লেবার মিনিস্টার’ পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কেন দেওয়া হয়েছিল, তিনি এখনো তা জানেন না।
অর্থমন্ত্রীর উদ্দেশে মুজিবুল হক বলেন, ‘কত দূর ভালো করেছেন উনি চিন্তা করবেন। ব্যাংকের মালিক-ডিরেক্টররা ঋণ নিয়ে বসে আছেন। এটা কী দেশ? টাকা পাচার হয় উনি ব্যবস্থা নেন না। বিভিন্ন সংস্থার টাকা খরচ করছেন। আগামী বছর ট্যাক্স না পেলে কী করবেন?’
ওয়াকআউট
পরে বিলটি পাস করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী। এ সময় বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ দাঁড়িয়ে বলেন, তাঁরা সংশোধনী প্রস্তাব উত্থাপন করেননি। জনমত যাচাই করতে বলেছেন। কিন্তু তাও করা হয়নি। বিলটি পাস করা হচ্ছে। তাই তাঁরা ওয়াকআউট করছেন। তাঁর বক্তব্যের পর হারুনসহ বিএনপির তিনজন সাংসদ অধিবেশন থেকে ওয়াকআউট করেন।

এই অর্থ জনগণের কল্যাণ সাধনে ব্যবহার করা সমীচীন
পাস হওয়া বিলে বিলে মোট ৬১টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা দেওয়া হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, এসব সংস্থা চালাতে যে খরচ হয় এবং নিজস্ব অর্থায়নে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে বছরে যে অর্থ লাগে, তা তাদের নিজস্ব তহবিলে জমা রাখা হবে। এ ছাড়া আপৎকালীন ব্যয় নির্বাহের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ অর্থ এসব সংস্থা সংরক্ষণ করতে পারবে। ওই সংস্থার কর্মীদের পেনশন বা প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থও তারা সংরক্ষণ করবে।
বিলটি উত্থাপনের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত/আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, পাবলিক নন-ফাইন্যান্সিয়াল করপোরেশনসহ অন্য স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব আইন ও বিধি অনুযায়ী আয়-ব্যয় ও বছর শেষে তাদের হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে। ব্যাংকে রক্ষিত হিসাবগুলোর স্থিতি থেকে দেখা যায় যে এই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ জমে আছে। সংস্থাগুলোর তহবিলে রক্ষিত উদ্বৃত্ত অর্থের মালিকানা প্রকৃতপক্ষে জনগণের। সে কারণে এই অর্থ জনগণের কল্যাণ সাধনে ব্যবহার করা সমীচীন।

যে ৬১ প্রতিষ্ঠানের অতিরক্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে নিয়ে হচ্ছে

৬১টি প্রতিষ্ঠান হলো জাতীয় কারিকুলাম এবং টেক্সটবুক বোর্ড, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড, ‘ঢাকা, কুমিল্লা, যশোর, রাজশাহী, সিলেট, চট্টগ্রাম, বরিশাল, দিনাজপুর’ উচ্চমাধ্যমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি-বগুড়া, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ মান নিয়ন্ত্রণ ও পরীক্ষা ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বার্ক), জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি), পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কেডিএ), রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সেরিকালচার বোর্ড, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ, বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ), বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা), বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশন (বিটিএমসি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন এবং সহযোগী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ জুট মিল করপোরেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি), বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন, বাংলাদেশ চা বোর্ড, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), চট্টগ্রাম ওয়াসা, ঢাকা ওয়াসা, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ রেগুলেটরি কমিশন।

AD BANNAR