Tuesday, 10 March 2015

মধ্যপ্রাচ্যে আঁখি



রংবেরং প্রতিবেদক
আগেও মধ্যপ্রাচ্যে গাইতে গিয়েছেন আঁখি আলমগীরতবে এবার তিনি পর পর দুটি দেশে গাইতে যাচ্ছেন১০ এপ্রিল যাবেন বাহরাইনসেখানে অনুষ্ঠান শেষ করে ওই দিনই ওমানের বিমান ধরবেন তিনিসেখানে গান করবেন ১২ এপ্রিলদুটি অনুষ্ঠানেরই আয়োজন করেছেন স্থানীয় বাংলাদেশিরা
অনুষ্ঠানে আঁখির সঙ্গে আরো যাওয়ার কথা রয়েছে মনির খান, এস ডি রুবেল ও এস আই টুটুলেরযন্ত্র্রশিল্পী হিসেবে যাচ্ছেন উজ্জ্বল (পার্কাশন), নাদিম (কি-বোর্ড), সাকিব (অক্টোপ্যাড), রাসেল (লিড) ও সোহেল (বেজ) এ প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, 'আমি সব সময়ই দেশের বাইরের বাঙালিদের আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়ার চেষ্টা করিপ্রবাসে থাকলেও তাঁরা বাংলা গান অনেক ভালোবাসেনতাঁদের সামনে গাইতে পারলে আমারও ভালো লাগে'

রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা চালাবেন না হ্যাপি

কালের কণ্ঠ অনলাইন

অ-অ+
জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের জামিন বাতিলে চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীর পক্ষের আইনজীবী মামলা পরিচালনা থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। সোমবার রাতে নিজের ফেসবুকে এই ঘোষণা দেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী কুমার দেবুল দে। নিজের ফেসবুক ওয়ালে এই আইনজীবী জানিয়েছেন, বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকদের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি যে, একজন পেশাজীবী হিসেবে হ্যাপীর পক্ষে মামলা পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছিলাম। বাংলাদেশের এহেন সফলতায় রুবেলের বিপক্ষে মামলায় লড়ার আমার আর ইচ্ছে নেই। তাই হ্যাপীর আইনজীবী হিসেবে এখনই নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলাম।
তিনি লিখেছেন, ভবিষ্যতে অত্র মামলাটি পরিচালনা করার জন্য হ্যাপীর পক্ষে অন্য কোনো আইনজীবী নিয়োগ করা হলে আমার কোনো আপত্তি নেই। আর এখন থেকে আমি আর হ্যাপীর আইনজীবী নই। শুভেচ্ছা বাংলাদেশ ক্রিকেট দল!!!! ধন্যবাদান্তে-  কুমার দেবুল দে, অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট। হঠাৎ আইনজীবী নাম প্রত্যাহার করে নেওয়াতে মামলা পরিচালনায় চিত্রনায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপীকে নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হলো।
এদিকে একটি প্রাইভেট টেলিভিশনের সাক্ষাৎকারে নাজনীন আক্তার হ্যাপী বলেন, যদি মামলা তুলে নেওয়ার সুযোগ থাকত, তবে তিনি মামলা তুলে নিতেন। কিন্তু সেই সুযোগ না থাকায় এখন থেকে আর মামলায় স্বাক্ষ্য-প্রমাণ দাঁড় করাবেন না। কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, রুবেলকে আমি খুব ভালোবাসি। ওর সঙ্গে মামলা করে শত্রুতা করতে চাইনি। শুধু ভালোবাসার অধিকার ফিরে পেতে চেয়েছি। তিনি আরও বলেন, শুধু রুবেলকে দেখার জন্য তিনি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের দুটি ম্যাচ দেখেছেন। হ্যাপীর বিশ্বাস, রুবেল যদি তাকে কোনোদিন সত্যি ভালোবেসে থাকেন, তাহলে একদিন না একদিন আবার তার কাছে ফিরে আসবেন।
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের খেলা দেখার পর হ্যাপি বলেছিলেন, সাধারণত আমি ক্রিকেট খেলা দেখি না। আজ শুধু রুবেলকে দেখার জন্যই এই ম্যাচটি দেখেছি। আর সব বাংলাদেশির মতো আমিও চেয়েছিলাম বাংলাদেশ জিতুক। তারপর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটিও দেখেন হ্যাপি। ওই ম্যাচে একমাত্র বাংলাদেশি বোলার হিসেবে একমাত্র উইকেটের শিকারি ছিলেন রুবেল।

Monday, 9 March 2015

মালদ্বীপ মাতাতে প্রস্তুত সাবিনা

 স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
বাঁ থেকে দ্বিতীয় সাবিনা খাতুন ছবি: সংগৃহীত
বাঁ থেকে দ্বিতীয় সাবিনা খাতুন ছবি: সংগৃহীত
Decrease font Enlarge font
ঢাকা: ইতিহাস গড়ে প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে মালদ্বীপের মাটিতে পা রেখেছেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সহ-অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। মালদ্বীপের পুলিশ ক্লাবের হয়ে ক্লাব মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা নামের একটি আসরে অংশ নিতে বর্তমানে দ্বীপরাষ্ট্রটিতে অবস্থান করছেন তিনি।

গত ৪ মার্চ মঙ্গলবার মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছেড়েছেন সাবিনা। বুধবার পৌঁছেই একদিন বিশ্রাম নিয়ে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন। সবার নজর এখন বাংলাদেশী এ তরুনীর দিকেই। কারণ, মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবে তিনিই একমাত্র বিদেশি খেলোয়াড়। 

গত নভেম্বরে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলাদেশের কাছে ৩-১ গোলে পরাজিত হয় মালদ্বীপ। ম্যাচে দু’টি গোল করেছিলেন সাবিনা। আর সে ম্যাচে উপস্থিত ছিলেন মালদ্বীপ পুলিশ ক্লাবের এক কর্তা। সাবিনার খেলা দেখে তাদের পছন্দ হয়। পরে বাফুফের মাধ্যমে তাদের নিজেদের দলে ভিড়িয়ে নেয়।

উল্লেখ্য, ৪০ বছর আগে এমন এক ইতিহাস গড়েছিলেন বর্তমান বাফুফে প্রেসিডেন্ট ও তারকা ফুটবলার কাজী মো: সালাউদ্দিন। ১৯৭৫ সালে তিনি প্রথম বাংলাদেশী ফুটবলার হিসেবে খেলেছিলেন হংকংয়ের পেশাদার লিগে এফসি ক্যারোলিনের হয়ে। তখন কাজী সালাউদ্দিন ঢাকার ফুটবলে ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলতেন। আর সাবিনা খাতুন খেলছেন ঢাকা মোহামেডানের হয়ে।

সাবিনার ক্লাবটি বর্তমান রানার্সআপ মালদ্বীপস উইমেন্স ফুটসাল ফিয়েস্তা টুর্নামেন্টের। তাই এবার অনেক বেশী দ্বায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে সাবিনাদের। আর দেশ ছাড়ার আগে সাবিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেছেন ‘আমি মালদ্বীপে গিয়ে প্রমাণ করব বাংলাদেশের মেয়েরা সত্যিই ভাল ফুটবল খেলতে পারে। আর আমি যদি ভালো খেলতে পারি তাহলে দেশের অন্য মেয়েরাও ভবিষ্যতে বিদেশী ক্লাবগুলোতে খেলার সুযোগ পাবে।’

এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে ১৪ মার্চ থেকে ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত। যেখানে অংশ নেবে মোট ১৪ টি দল। সাবিনা পুলিশ ক্লাবের হয়ে মাঠে নামবে ১৭ মার্চ। প্রথম ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ এমইই ক্লাব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৬ ঘন্টা, মার্চ ০৯, ২০১৫

AD BANNAR