Monday, 29 September 2014

‘ওয়ার্ল্ডস সেক্সিয়েস্ট ক্রিমিনাল’ স্টেফানি বেয়াউদোইন



বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী অপরাধী স্টেফানি বেয়াউদোইন। বিভিন্ন অপরাধে সে জেল খেটেছে। তার বিরুদ্ধে রয়েছে বিভিন্ন অপরাধে ১১৪টি অভিযোগ। এজন্য তাকে বিভিন্ন মিডিয়া বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। কানাডার ভিক্টোরিয়াভিলে এলাকায় ৪২টি ঘরের দরজা ও বেজমেন্ট ভেঙে অনৈতিকভাবে প্রবেশের অভিযোগে গত মাসে গ্রেপ্তার হয়েছিল স্টেফানি। এ ঘটনাই তাকে বিশ্বজুড়ে সংবাদের শিরোনাম বানিয়ে দেয়। তবে সেটা ভিন্ন কারণে। গ্রেপ্তারের পরপর মন্ট্রিয়ল জার্নালে তার একটি ছবি ছাপা হয়। এতে সে ছিল বিকিনি পরা। ওই ছবিটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় ও আবেদনময়ী। ছাপা হওয়ার পরই তা লুফে নেয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহারকারীরা। দ্রুত  সে পরিচিতি পায় ‘ওয়ার্ল্ডস সেক্সিয়েস্ট ক্রিমিনাল’ বা ‘বিশ্বের সবচেয়ে আবেদনময়ী অপরাধী’ নামে! কানাডিয়ান কর্তৃপক্ষ মনে করে, অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকা অবস্থায়ই আথাবাস্কা ও ম্যাপল এলাকায় বিভিন্ন বাসায় চুরি করে স্টেফানি। নার্সিং শিক্ষার্থী স্টেফানি ও তার দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা পেছনের দরজা কিংবা বেজমেন্ট ভেঙে অন্যের ঘরে প্রবেশ করে। গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ আনা হয়। মোট ১১৪টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে তার বিরুদ্ধে! এর মধ্যে অন্যতম ঘর ভাঙা ও প্রবেশ করা, চুরি করা জিনিস গ্রহণ করা, অবৈধভাবে ৯টি অস্ত্র রাখা। অস্ত্রগুলো তার মিতসুবিশি ল্যান্সার গাড়িটির পেছনে পাওয়া গেছে। তার আইনজীবী ডেনিস ল্যাভিগনে বলেছেন, রেকর্ড রীতিমতো মুগ্ধ করার মতো। আমাকে তার মামলার যেসব নথিপত্র দেয়া হয়েছে, সেগুলো প্রায় ১২ ইঞ্চি পুরু! ল্যাভিগনে জানিয়েছেন, তার মক্কেল স্টেফানি নিজের মানসিক সমস্যা চিহ্নিত করতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়েছে। এদিকে স্টেফানি বেয়াউদোইনকে ‘নিউজ পার্সোনালিটি’ আখ্যা দিয়ে খোলা হয়েছে একটি ফেসবুক ফ্যানপেইজ। সেখানে মুহূর্তেই ২০০০ লাইক চলে এসেছে।
তার ছবি অনলাইনে প্রকাশিত হওয়ার পর টুইটার ইউজাররা তাকে আখ্যায়িত করছে ‘নিউয়েস্ট ওয়ার্ল্ডস সেক্সিয়েস্ট ক্রিমিনাল’ নামে। একজন টুইটার ইউজারের মন্তব্য, স্টেফানি আগে তোমার হৃদয় চুরি করবে, এরপর জিনিসপত্র!

দীপিকাকে ফেলে সোনাক্ষীর সাথে প্রেম করছেন রণভীর সিং!




প্রথমবার্তা,ডেস্ক: সাবেক প্রেমিক ‘ব্যান্ড বাজা বরাত’খ্যাত রণভীর সিংয়ের বাহুডোরে আবদ্ধ হলেন শত্রুঘ্নকন্যা বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষি সিনহা। শুক্রবার মধ্যরাতে রণভীর সিংয়ের সঙ্গে সোনাক্ষিকে এক পাঁচতারকা হোটেলে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখা গেছে। ওই সময় তারা পরস্পরকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করছিলেন।
মিডডের খবরে জানা গেছে, রণভীরের সঙ্গে ‘লুটেরা’ ছবিতে ক্যামেরাবন্দি হয়েছিলেন সোনাক্ষি। তবে এরপর আর নতুন কোনো ছবিতে কাজ করা হয়নি তাদের। কিন্তু এখন নিয়মিতই সোনাক্ষি-রণবীর ডেটিং করছেন। এমনকি সোনাক্ষিকে গাড়ি করে রণভীরের বাসায়ও যেতে দেখা গেছে। শুধু তাই নয়, একটি রেস্টুরেন্টেও ঘনিষ্ঠ অবস্থায় এ জুটিকে আবিষ্কার করা গেছে।এদিকে সোনাক্ষির বাড়িতেও ইদানীং রণভীরের যাতায়াত বেড়েছে। এ প্রসঙ্গে ‘দাবাং গার্ল’খ্যাত সোনাক্ষি বলেন, ‘ওর সঙ্গে আমার অনেক ভালো বন্ধুত্ব। এটাকে অন্যভাবে দেখার কোনো অবকাশ নেই। আমরা একে অন্যের সঙ্গে সময় কাটাতে পছন্দ করি।’এদিকে সোনাক্ষি-রণভীর এক ঘনিষ্ঠবন্ধু জানান, সোনাক্ষি-রণভীর গত বছর লুটেরা ছবিতে জুটিবদ্ধ হয়েছিলেন। ওইসময় তারা প্রেমে পড়েন। সূত্রটি আরো জানিয়েছে, প্রায় এক বছর প্রেমের পর চলতি বছরের শুরুতে সোনাক্ষি এবং রণভীর সিংয়ের বিচ্ছেদ ঘটে। তবে এ তারকাজুটির সাম্প্রতিক ঘনিষ্ঠতা দেখে অনেকেই ধারণা করছেন আবার তারা প্রেম করছেন। বর্তমানে ২৭ বছর বয়সী সোনাক্ষি সিনহা ‘অ্যাকশন জ্যাকসন’, ‘তেবর’ ও ‘লিঙ্গা’ ছবির শুটিং করছেন।

নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ




প্রথমবার্তা, ঢাকা:  প্রায় শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার এবং করফাঁকির অভিযোগে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন বিশ্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী পরিচালক রফিকুল ইসলাম মামলার অনুমোদন চেয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি দুদকের  বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগে দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ছাড়াও নাসির গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মো. আলফাজ, আমদানি বিভাগের মতিয়ার রহমান, রফতানি শাখার প্রবীর কুমার এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা শহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সুপারিশ চাওয়া হয়েছে।দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র  এসব বিষয়ে নিশ্চিত করে। সূত্রটি জানায়, প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে কমিশন মামলা দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিবে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হযেছে, এজে মানি এক্সচেঞ্জ (গুলশান ২) এবং ডিএনকে মানি এক্সচেঞ্জের(গুলশান ১) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময়ে অর্থপাচার করেছে। যার পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা। আমদানি করা পণ্যের প্রতিটি এলসির বিপরীতে বিভিন্ন কায়দায় প্রতিষ্ঠানটি টাকা পাচার করেছে। এতে সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
দুদক যে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হচ্ছে- নাসির গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিটি কোম্পানির নামে এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করে আসছে। আমদানি পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ৪০-৫০ শতাংশ অর্থের এলসি খোলা হয়। পণ্যমূল্যের বাকি ৫০-৬০ শতাংশ তারা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতো। এক্ষেত্রে চারটি হুন্ডি প্রতিষ্ঠান তাদের সাহায্য করতো।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, ৭ থেকে ৮টি বিশ্বস্ত হুন্ডি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিদেশে অর্থ পাঠিয়ে টাকা আদায়ের রশিদ (মানি রিসিট) ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়।  ই-মেইলে মানি রিসিট পাওয়ার পর নাসির গ্রুপ চেকের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করে থাকে। প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা এভাবে হুণ্ডির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। এ কাজে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান করে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে অর্থপাচার এবং করফাঁকির তথ্য পায় দুদক।

AD BANNAR