প্রথমবার্তা, ঢাকা: প্রায় শত কোটি
টাকা বিদেশে পাচার এবং করফাঁকির অভিযোগে নাসির গ্রুপের চেয়ারম্যান ও
ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসির উদ্দিন বিশ্বাসসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলার
সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সহকারী
পরিচালক রফিকুল ইসলাম মামলার অনুমোদন চেয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি
দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত বিভাগে দাখিল করেন।
প্রতিবেদনে নাসির উদ্দিন বিশ্বাস ছাড়াও নাসির গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার
(জিএম) মো. আলফাজ, আমদানি বিভাগের মতিয়ার রহমান, রফতানি শাখার প্রবীর
কুমার এবং প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মকর্তা শহিদুজ্জামানের বিরুদ্ধে সুপারিশ
চাওয়া হয়েছে।দুদকের দায়িত্বশীল সূত্র এসব বিষয়ে নিশ্চিত করে। সূত্রটি
জানায়, প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে কমিশন মামলা দায়েরের বিষয়ে সিদ্ধান্ত
দিবে।প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হযেছে, এজে মানি এক্সচেঞ্জ (গুলশান ২) এবং
ডিএনকে মানি এক্সচেঞ্জের(গুলশান ১) মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন সময়ে
অর্থপাচার করেছে। যার পরিমাণ প্রায় শত কোটি টাকা। আমদানি করা পণ্যের
প্রতিটি এলসির বিপরীতে বিভিন্ন কায়দায় প্রতিষ্ঠানটি টাকা পাচার করেছে। এতে
সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।দুদক যে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা হচ্ছে- নাসির গ্রুপ দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রতিটি কোম্পানির নামে এলসির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ অর্থপাচার করে আসছে। আমদানি পণ্যের প্রকৃত মূল্যের ৪০-৫০ শতাংশ অর্থের এলসি খোলা হয়। পণ্যমূল্যের বাকি ৫০-৬০ শতাংশ তারা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতো। এক্ষেত্রে চারটি হুন্ডি প্রতিষ্ঠান তাদের সাহায্য করতো।
অভিযোগে আরও উল্লেখ রয়েছে, ৭ থেকে ৮টি বিশ্বস্ত হুন্ডি প্রতিষ্ঠান আছে যারা বিদেশে অর্থ পাঠিয়ে টাকা আদায়ের রশিদ (মানি রিসিট) ই-মেইলে পাঠিয়ে দেয়। ই-মেইলে মানি রিসিট পাওয়ার পর নাসির গ্রুপ চেকের মাধ্যমে ওই টাকা পরিশোধ করে থাকে। প্রতি মাসে কয়েক লাখ টাকা এভাবে হুণ্ডির মাধ্যমে পাঠানো হচ্ছে। এ কাজে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক অনুসন্ধান করে। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানটি বিরুদ্ধে অর্থপাচার এবং করফাঁকির তথ্য পায় দুদক।