Friday, 1 November 2013

ভয়ের কোনো কারণ নেই, ন্যান্সিকে খালেদা

ভয়ের কোনো কারণ নেই, ন্যান্সিকে খালেদা

খালেদা জিয়া ও ন্যান্সিবিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে যান। খালেদা জিয়া ন্যান্সিকে নির্ভয়ে থাকতে বলেছেন। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাসও দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
কিছুদিন আগে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রশংসা করেন ন্যান্সি। খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রশংসার পর বেশ বিপাকেই পড়ে যান ন্যান্সি। এর ফল হিসেবে নানা মাধ্যম থেকে মুঠোফোনে হুমকি এবং সর্বশেষ গত মঙ্গলবার গভীর রাতে ন্যান্সির নেত্রকোনার বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালায়। পুলিশের অভিযানের এক দিন পর বৃহস্পতিবার ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অবস্থানের কথা সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেন ন্যান্সি। এরপর রাতেই বিরোধীদলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার জন্য গতকাল রাত আটটার পর বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে যান ন্যান্সি।
সাক্ষাতের বিষয়ে ন্যান্সি বলেন, ‘বিশেষ কোনো কারণে যাইনি। ২১ অক্টোবর আমার রাজনৈতিক অবস্থান পরিষ্কার করে গত সপ্তাহে আমি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। এরপর থেকে নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি। এমনকি বিভিন্ন মহল থেকে হুমকিও আসছে। ২৯ অক্টোবর গভীর রাতে পুলিশ আমার নেত্রকোনার বাসায় হানা দেয়। সে কারণে নেত্রী আমাকে ডেকেছিলেন। এ সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।’

ন্যান্সি এও বলেন, ‘সাক্ষাতে খালেদা জিয়া আমাকে বলেছেন, এগুলো নিয়ে ভয়ের কোনো কিছু নেই। বিভিন্ন মহলের হুমকি-ধামকি ও পুলিশি হয়রানি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টির প্রশংসা করেন তিনি। আমাকে নানাভাবে হয়রানির পুরো বিষয়টি নিয়ে তিনি দুঃখপ্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন, “তুমি শিল্পী মানুষ। নির্ভয়ে থেকো, আমরা তোমার পাশে আছি। তুমি ভালো গান করো। তোমার গানের চর্চা নিয়মিত চালিয়ে যাও। ভয়ের কিছু নেই। আমরা তোমাকে সব ধরনের সহযোগিতা করব।”’

এদিকে বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত্ করতে পেরে বেশ উচ্ছ্বসিত ন্যান্সি। তিনি বলেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি তাঁর (খালেদা জিয়া) সঙ্গে সামনাসামনি দেখা হবে। কথা হবে। আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি। আমি আনন্দিত। উনি আমাকে বারবার সাহস জুগিয়েছেন।’

বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করলেন ডেমি মুর-অ্যাশটন কুচার

বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করলেন ডেমি মুর-অ্যাশটন কুচার

অ্যাশটন কুচারের সঙ্গে ডেমি মুরকাগজে-কলমে বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করলেন হলিউডের তারকা দম্পতি ডেমি মুর ও অ্যাশটন কুচার। সম্প্রতি বিচ্ছেদের কাগজে সই করেছেন ৫০ বছর বয়সী ডেমি ও ৩৫ বছর বয়সী কুচার।
২০১১ সালে ছয় বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নেন ডেমি। বিবাহিত হওয়ার পরও অন্য নারীর সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোয় কুচারের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডেমি। পরবর্তী সময়ে ডেমির সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন কুচার। বিচ্ছেদের পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে অসম বয়সী এ জুটি।
গত বছরের নভেম্বরে বিচ্ছেদের আবেদন করেন কুচার। অবশেষে সম্প্রতি কাগজে-কলমে তাঁদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত হলো। এক খবরে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের ফিমেলফার্স্টডটকম। এ প্রসঙ্গে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্রের ভাষ্য, ‘দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর অবশেষে সম্প্রতি ডেমি এবং কুচার দুজনই বিচ্ছেদের কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।’
ডেমি মুরের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানার পর ২০১২ সালের এপ্রিলে হলিউডের অভিনেত্রী মিলা কুনিসের সঙ্গে প্রণয়ে জড়ান কুচার। অন্যদিকে, গত বছরের শেষের দিকে প্রখ্যাত মার্কিন চিত্রশিল্পী ও চলচ্চিত্রনির্মাতা জুলিয়ান স্ন্যাবেলের ছেলে ২৬ বছর বয়সী ভিটো স্ন্যাবেলকে নতুন সঙ্গী নির্বাচন করেন ডেমি। তবে খুব বেশি দিন টেকেনি তাঁদের প্রেম।

জীবনের সেরা সময় পার করছেন মাইলি!

জীবনের সেরা সময় পার করছেন মাইলি!

মাইলি সাইরাসচার বছর প্রেম করার পর আজীবনের সঙ্গী হবেন বলে একে অপরকে কথা দিয়েছিলেন অস্ট্রেলীয় অভিনেতা লিয়াম হেমসওয়ার্থ এবং মার্কিন গায়িকা ও অভিনেত্রী মাইলি সাইরাস। ২০১২ সালের জুনে বাগদান সেরেছিলেন এ জুটি। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে লিয়ামের সঙ্গে বাগদান ভেঙে যাওয়ার পর থেকে নিঃসঙ্গ সময় কাটাচ্ছেন মাইলি। তবে বিচ্ছেদের যন্ত্রণাকে ঝেঁটিয়ে বিদায় করে এই মুহূর্তে জীবনের সেরা সময় পার করছেন বলেই জানিয়েছেন ২০ বছর বয়সী এ গায়িকা।
এ প্রসঙ্গে মাইলির ভাষ্য, ‘বিচ্ছেদের যন্ত্রণা নিয়ে আমি বসে নেই। এই মুহূর্তে জীবনের সেরা সময় পার করছি। আমি গানকে প্রচণ্ড ভালোবাসি। গানের সঙ্গে আমার সম্পর্কটা ভালোবাসার সম্পর্কের মতোই। গানই আমার প্রেমিক। আমি গানের প্রতি অনেক বেশি মনোযোগী। গানের পেছনে প্রচুর সময় ব্যয় করি আমি।’
২০০৯ সালের জুনে ‘দ্য লাস্ট সং’ ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে গিয়ে মাইলি ও লিয়ামের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু ২০১০ সালের আগস্টে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মাত্র এক মাসের মাথায় আবার একসঙ্গে দেখা যায় এ জুটিকে। ২০১০ সালের নভেম্বরে আবার তাঁরা বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। অবশ্য কয়েকদিনের মধ্যেই দ্বিতীয় দফায় তাঁদের পুনর্মিলন ঘটে। অবশেষে ২০১২ সালের জুনে বাগদান সম্পন্ন করে থিতু হওয়ার ঘোষণা দেন এ জুটি। লস অ্যাঞ্জেলেসে এক ছাদের নীচে বসবাসও শুরু করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্ক স্থায়ী হয়নি। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে বাগদান ভেঙে দিয়ে যে যার পথ বেছে নিয়েছেন এ তারকা জুটি।

AD BANNAR