সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। সাত সকালেই ছেলে বাপ্পারাজকে
নিয়ে ভোট দিয়ে গেছেন নায়করাজ রাজ্জাক। ভোট দিয়ে গেছেন ববিতা, চম্পা দুই বোন। ভোট দিয়েছেন
আনোয়ারা, মৌসুমী, মাহিয়া মাহি, ফারুক, বাপ্পীর মতো তারকারা।
ভোট দেওয়া শেষে ববিতা বলছেন, “নির্বাচনে হার জিত তো থাকবেই।
যেই জিতুক, সবার কাছে আমার প্রত্যাশা থাকবে তারা যেন শিল্পীদের জন্য নতুন কিছু করেন।
এফডিসির ভালোমন্দ সবকিছুর সঙ্গে আমরা থাকতে চাই সবসময়।”
শিল্পী সমিতির সাবেক সভাপতি রাজ্জাক
বলছেন, “নতুনরা এখন নেতৃত্বে আসছে। তাদের কাছে প্রত্যাশা একটাই, বাংলা চলচ্চিত্রকে
বাঁচিয়ে রাখতে তারা নতুন নতুন সব কার্যক্রম করবে। চলচ্চিত্রাঙ্গনকে বদলে দেবে তারা।”শিল্পী সমিতির নির্বাচনে লড়ছেন শাকিব-মিশা এবং আহমেদ শরীফ পরিষদ।
শাকিব-মিশা পরিষদে রয়েছেন ওমর সানি, মৌসুমী, ববি হক, ডনের মতো তারকারা। অন্য দিকে আহমেদ
শরীফ পরিষদে খল-অভিনেত্রী রিনা খান ছাড়া তারকাপ্রার্থী রাজ্জাক।
শিল্পী সমিতির এই নির্বাচনে তারকাবহুল শাকিব-মিশা পরিষদের পাশে
আহমেদ শরীফ প্যানেলে তেমন কোনো তারকাই নেই। কিন্তু তাতে দমে যাননি আহমেদ শরীফ। নির্বাচনে
জয়ের ব্যাপারে তিনি ‘হাল ছাড়তে’ রাজি নন।
নির্বাচনকেন্দ্রের বাইরে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন সাধারণ সম্পাদক
পদপ্রার্থী মিশা ও স্বতন্ত্র অমিত হাসান। নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন এমন
অভিযোগ এনে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন দুই তারকা। তাদের থামাতে বেশ বেগে পেতে
হয়েছে শাকিবকে।
নির্বাচন উপলক্ষে শাকিব, ববির মতো তারকারা দিনভরই উপস্থিত ছিলেন
এফডিসিতে। নিজেদের প্যানেলের পক্ষে ভোট চাইতে বেশ তৎপর দেখা গেছে তাদের।