Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 22 November 2014

আশ্রয় কেন্দ্র আতঙ্কে ভিক্ষুকরা!

প্রকাশিত:
সম্পাদিত:

আবু হায়াৎ মাহমুদ॥
রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি ভিআইপি এলাকা এড়িয়ে চলছে ভিক্ষুকরা। তাদের ভয় 'ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা' হিসেবে ঘোষিত এসব স্থানে প্রবেশ করলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে।
'ভিক্ষুক মুক্ত এলাকা' হিসেবে ঘোষিত স্থানগুলো হলো- হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন হোটেল, সোনারগাঁও হোটেল, রুপসী বাংলা হোটেল, বেইলি রোড, সংসদ ভবন এবং গুলশান, বারিধারা ও বনানীর কুটনৈতিক এলাকা।
ভিক্ষুকমুক্ত সমাজ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। এসব এলাকায় ভিক্ষুকরা যাতে বিদেশিদের বিব্রত করতে না পারে সেজন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। ভবিষ্যতে পুরো ঢাকাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের।
তবে ভিক্ষুকরা সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে চান না। সোনারগাঁও হোটেলের পাশে পান্থকুঞ্জে ভিক্ষা করা ফরিদ মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, হোটেল এলাকায় যান না তিনি। ‌'পুলিশ কর্মকর্তারা আমাদের বলেছেন ওই এলাকায় ভিক্ষা করলে মিরপুরের সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেবে। আমি ভিক্ষা করে মাসে ৫-৬ হাজার টাকা আয় করি। কিন্তু আশ্রয় কেন্দ্রে গেলে আমাকে শুধু থাকার জায়গা আর খাবার দেওয়া হবে।
তবে সবাই ফরিদ মিয়ার মতো নয়। মিরপুরে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা হামিদা জানান, তিনি প্রায় ১ মাস এখানে আছেন। বললেন, আগে শাহবাগে ভিক্ষা করতাম। এখন এখানে আছি। থাকার জায়গা আছে, খাবারও দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আমার মনে হচ্ছে ভিক্ষার চেয়ে এটাই ভালো।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ভিক্ষুকমুক্ত প্রকল্প পরিচালনা করছে সামাজিক কল্যাণ বিভাগ। এছাড়াও কাজ করছে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন ও বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠন।
ডিএসসিসির সামাজিক কল্যাণ কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, যেখানে ভিক্ষুকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ, সেসব এলাকায় ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বাধীন একটি টিম নিয়মিত অভিযান চালায়। এসব এলাকায় কোনও ভিক্ষুক পাওয়া গেলে সঙ্গে সঙ্গে তাদের মিরপুর আশ্রয় কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে ঢাকায় ১ লাখেরও বেশি ভিক্ষুক রয়েছে। ২০১২ সালে ভিক্ষুকদের নিয়ে ১০টি এনজিও'র সহযোগিতায় একটি জরিপ চালায় ঢাকা সিটি কর্পোরেশন। এতে তারা ভিক্ষুকদের ৫টি ক্যাটাগরিতে বিভক্ত করেন- মৌসুমি, রেগুলার, প্রতিবন্ধী, নারী ও শিশু ভিক্ষুক।
ছবি: সৈয়দ জাকির হোসেন