আগের দুই ইনিংসে বল করে যিনি ১০ উইকেট পেয়েছেন, তিনি উইকেটই পাবেন না—এটা বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা ভাবতে পারেননি। সাকিব উইকেট না পাওয়াতে তাই সবাই বিস্মিত। তবে তার চেয়েও বেশি বিস্ময় আজ সাকিবকে বল হাতে খুব বেশি দেখতে না পাওয়ায়। আজ শেষ দিনে ৬৫ ওভার বোলিং করেছে বাংলাদেশ। অথচ দলের মূল স্ট্রাইক বোলারটিকে দিয়ে করানো হয়েছে মাত্র ৮ ওভার। কেন এত কম বল করলেন সাকিব? সাকিবকে দিয়ে কি আরও বেশি বোলিং করানো যেত না?
স্বাভাবিকভাবে আজ সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নটা ধেয়ে গিয়েছিল মুশফিকুর রহিমের দিকেও। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, সাকিবকে দিয়ে বেশি বোলিং না করানো ছিল দলের কৌশলেরই অংশ, ‘আমার কাছে অনেক বোলিং অপশন থাকে। সে (সাকিব) আক্রমণাত্মক বোলার। যখন মনে হয়েছে উইকেট দরকার, তখন সাকিবকে বোলিংয়ে এনেছি। চেষ্টা করেছি সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বোলিং করানোর।’
ব্যক্তিগত সাফল্যের মালা দলকে এনে দেয় বড় কোনো সাফল্য। সাকিব তাই ব্যক্তিগত অর্জনকে বড় করে দেখতে চান না। তবুও মাত্র দুই উইকেটের আফসোস হয় না সাকিবের? বাঁ হাতি অলরাউন্ডার সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘না...আফসোস কেন হবে? প্রথম দুই টেস্টে যদি আমি ১৭ উইকেট না পেতাম, ১০টা যদি হতো (হাসি), তবে কী হতো? এসব ক্ষেত্রে ভাগ্যের সহায়তা দরকার হয়। সেটা ছিল না এই টেস্টে। এ কারণে হয়নি। এসব নিয়ে কোনো আফসোস নেই। এটা ঠিক, হলে ভালো লাগত। না হলেও সমস্যা নেই।’
সিরিজ-সেরা হয়েছেন সাকিব। এ পুরস্কার কতটা অনুপ্রাণিত করে তাঁকে? সাকিব বললেন, ‘ভালো লাগে। একটা ভালো অনুভূতি থাকে মনের ভেতরে। ভাবি, অন্তত দলের জন্য অবদান তো রাখতে পেরেছি। ওটারই একটা স্বীকৃতি। এই তো...আর তেমন কিছু নয়।’ এই সিরিজটায় অনেক স্মরণীয় ঘটনা ঘটল। সিরিজটাকে কোন জায়গায় রাখবেন? সাকিবের মুখে তৃপ্তির ছায়া। বললেন, ‘আসলে ওভাবে বিশ্লেষণ করিনি। যদি বিশ্লেষণ করি, তবে আরও ভালো করতে পারতাম...ব্যাটিং আর একটু ভালো করতে পারতাম। সামগ্রিকভাবে আমি খুব সন্তুষ্ট এই সিরিজে।’