Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Saturday 5 April 2014

মিন্টু-সোহেলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর কমিটি শিগগিরই

আজকালের মধ্যেই বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠক
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে শিগগিরই গঠিত হচ্ছে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি।
রেজা মাহমুদ
মিন্টু-সোহেলের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগর কমিটি শিগগিরইবিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে আহ্বায়ক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেলকে সদস্য সচিব করে শিগগিরই গঠিত হচ্ছে ঢাকা মহানগর বিএনপির কমিটি। ২১ সদস্যের নতুন এ কমিটি তিন মাসের মধ্যে সম্মেলন করে ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানা কমিটিগুলো গঠনের পর কাউন্সিলের আয়োজন করবে। এ কমিটিকে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করবে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি উপদেষ্টা কাউন্সিল। নানা নাটকীয় ঘটনার পর শেষ পর্যন্ত ঘোষিত হতে যাচ্ছে মহানগর কমিটি। মহানগরকে উত্তর ও দক্ষিণে দুই ভাগ করে দুটি কমিটি গঠন করা হতে পারে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে আজ শনিবার বা কাল রোববার দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক ডাকছেন। দলের একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। জানা গেছে, রাজধানীর রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন এমন সিনিয়র নেতাদের চেয়ারপারসন একাধিকবার অনুরোধ জানালেও তারা মহানগরীর দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। গত বুধবার খালেদা জিয়ার দ্বিতীয়বারের অনুরোধে আবদুল আউয়াল মিন্টু সম্মতি দিয়েছেন মহানগরীর দায়িত্ব নিতে। বর্তমানে ব্যাংকক সফরে থাকা মিন্টু ৮ এপ্রিলের দিকে দেশে ফেরার পর নতুন এ কমিটি ঘোষিত হতে পারে। বর্তমান আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকাও সংবাদ সম্মেলন ডেকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান সমকালকে বলেন, উপজেলা নির্বাচনের কারণে মহানগর কমিটি গঠনে কিছুটা বিলম্ব ঘটেছে। তবে প্রক্রিয়া চলছে। গত স্থায়ী কমিটির বৈঠকটিতেও মহানগর কমিটি পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। যে কোনো সময়ই এ কমিটি পুুনর্গঠন করা হবে।দলের স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় সমকালকে বলেন, চেয়ারপারসন যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই মহানগরীর দায়িত্ব দেবেন। ত্যাগী ও পরীক্ষিতদের কাঁধে দায়িত্ব দেওয়া হবে আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, যারা দায়িত্ব পাবেন, তারা যথাযথভাবেই তা পালন করবেন।স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান সমকালকে বলেন, চেয়ারপারসন ঢাকা মহানগর কমিটি ঢেলে সাজানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি নিজেই কাজ করছেন বিষয়টি নিয়ে। শিগগিরই পুনর্গঠন করা হবে এ কমিটি।
দলীয় সূত্র জানায়, গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন প্রতিহত করতে ঢাকায় 'সেভাবে' সক্রিয় দেখা যায়নি বিএনপি নেতাকর্মীদের। এ কারণে ঢাকা মহানগর কমিটির নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন খালেদা জিয়া। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মহানগর কমিটির নেতাদের ডেকে সে ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন। মহানগর আহ্বায়ক সাদেক হোসেন খোকা ওই সময়ে কারাগারে ছিলেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দ্রুত এ কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আ স ম হান্নান শাহকে আহ্বায়ক ও হাবিব-উন-নবী সোহেলকে সদস্য সচিব করে ওই কমিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয় বলে জানা গেছে। তবে আ স ম হান্নান শাহ অসুস্থতার কথা বলে দায়িত্ব নিতে অপারগতার কথা জানান। এরই মধ্যে মহানগর নেতাদের মধ্যে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে যে, বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক খোকাকে রেখেই কমিটি পুনর্গঠিত হচ্ছে।
দলীয় সূত্র জানায়, স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, যুগ্ম মহাসচিব আমানউল্লাহ আমান, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন, সমাজসেবা সম্পাদক আবুল খায়ের ভূঁইয়া, যুবদল সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ ১১ জন সিনিয়র নেতা থাকছেন মহানগরীর উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য। এ ছাড়া ঢাকায় নির্বাচন ও রাজনীতি করেন এমন নেতাদেরই রাখা হচ্ছে এ কাউন্সিলে।
জানা গেছে, ২১ সদস্যের নতুন মহানগর কমিটিতে থাকছেন সাবেক ছাত্রনেতা সানাউল হক নিরু, কামরুজ্জামান রতন, বর্তমান কমিটির নেতাদের মধ্যে থাকছেন সালাহউদ্দিন আহমেদ, কাজী আবুল বাশার, এমএ কাইয়ুম, সাহাবউদ্দিন আহমেদ, আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, আবু সাঈদ খান খোকন, যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, বজলুল বাসিত আঞ্জু প্রমুখ।তিন মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ নামে দুটি কমিটি করা হবে। মহানগরের উপদেষ্টা কাউন্সিল ও নতুন কমিটির নেতাদের সমন্বয়েই ওই দুটি কমিটি গঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৪ মে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সাদেক হোসেন খোকাকে আহ্বায়ক ও আবদুস সালামকে সদস্য সচিব করে ১৯ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। ছয় মাসের মধ্যে কাউন্সিলের মাধ্যমে মহানগরীর পূর্ণাঙ্গ কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয় তাদের। কিন্তু এ পর্যন্ত মহানগরের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি।