Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 8 January 2014

ভোটার উপস্থিতির হার ৪০ দশমিক ৫৬ ভাগ

বেশি ভোট গোপালগঞ্জ-২ কম ঢাকা-১৫ আসনে

সাইদুর রহমান
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনুষ্ঠিত আসনগুলোর ভোটের পূর্ণাঙ্গ তথ্য প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। চূড়ান্ত হিসাব অনুযায়ী সারাদেশের ১৩৯টি আসনে গড়ে ৪০ দশমিক ৫৬ শতাংশ ভোট পড়েছে। কমিশনের তথ্য মতে, এসব আসনে মোট ভোটার ৪ কোটি ১৫ লাখ ২১ হাজার ৩৭১। তাদের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১ কোটি ৬৫ লাখ ৩৫ হাজার ৯৪৪ জন। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ২১ হাজার ৩০৯টি। শতকরা ভোট পেয়েছে ৭২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। রাজধানী ঢাকা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৮টি আসনে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই ৮ আসনে শতকরা ভোটার উপস্থিতির হার ২২ দশমিক ৮১ ভাগ। নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-২ আসনে। এখানে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭০ ভোটের মধ্যে প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৫ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আর কম ভোট পড়েছে ঢাকা-১৫ আসনে। ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ ভোটের মধ্যে বৈধ ভোট পড়ে মাত্র ৩৪ হাজার ৩০৭টি। যা শতকরা ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে ভোট বাতিল হয়েছে ২ লাখ ৫১ হাজার ৫৮১ টি।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। ৮টি স্থগিত আসন বাদে ২৯২টি আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ২৩২টি আসন। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ৩৩, ওয়ার্কার্স পার্টি ৬, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ৫ ও জাতীয় পার্টি (জেপি), তরীকত ফেডারেশন ও বিএনএফ ১ টি করে আসন পেয়েছে। আর ১৩টি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। নবম সংসদে আওয়ামী লীগ পেয়েছিল ২৩০টি আসন। জাতীয় পার্টি ২৭, জাসদ তিন, ওয়ার্কার্স পার্টি ২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা ৪টি আসন পেয়েছিলেন। ৫ জানুয়ারি ১৪৭ আসনে ভোট গ্রহণ হলেও নির্বাচনী সহিংসতায় ৫৪১ কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত হয়ে যায়। ফলে ৮ টি আসনের ফলাফল ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। এসব আসনের ২০৫টি স্থগিত ভোট কেন্দ্রে আগামী ১৬ জানুয়ারি পুনঃভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচনে ১২টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। ইসির হিসাব অনুযায়ী দলীয়ভাবে আওয়ামী লীগ ১২০টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ১ কোটি ১৮ লাখ ২১ হাজার ৩০৯ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা ৭২ দশমিক ৫৯ ভাগ। জাতীয় পার্টি ৬৬ আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ১১ লাখ ৭৪ হাজার ৬৩৮ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা ৭ দশমিক ২১ ভাগ। ওয়ার্কার্স পার্টি ১৬ টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৭৬৫ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা ২ দশমিক ১৯ ভাগ। জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ২১ টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ২ লাখ ৩ হাজার ৭৬৫ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা ১ দশমিক ২৫ ভাগ। তরীকত ফেডারেশন ৩টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ১ লাখ ২৭ হাজার ৭৯৩ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা শূন্য দশমিক ৭৮ ভাগ। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ফ্রন্ট-বিএনএফ ২২ টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ১ লাখ ৭ হাজার ৯৯০ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা শূন্য দশমিক ৬৬ ভাগ। জাতীয় পার্টি-জেপি পেয়েছে ৭৮ হাজার ৬৬৫ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা শূন্য দশমিক ৪৮ ভাগ। ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ৬টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ৭ হাজার ১২০ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শূন্য দশমিক শূন্য ৪ ভাগ। খেলাফত মজলিস ২টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ৫ হাজার ৭২৫ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শূন্য দশমিক শূন্য ৪ ভাগ। গণফ্রন্ট ১টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ২ হাজার ৭১৭ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শূন্য দশমিক শূন্য ২ ভাগ। ইসলামী ফ্রন্ট ১টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ২ হাজার ৫৮৫ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শূন্য দশমিক শূন্য ২ ভাগ। গণতন্ত্রী পার্টি ১টি আসনে অংশ নিয়ে পেয়েছে ২ হাজার ৩১ ভোট। যা উপস্থিত ভোটারের শূন্য দশমিক শূন্য ১ ভাগ। এছাড়াও ১০৪ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী এই নির্বাচনে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৬৬ ভোট পেয়েছেন। যা উপস্থিত ভোটারের শতকরা ১৪ দশমিক শূন্য ৭ ভাগ।
সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন ভোট
নির্বাচনে সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-২ আসনে। এখানে ২ লাখ ৬৯ হাজার ৩৭০ ভোটের মধ্যে প্রাপ্ত ভোট ২ লাখ ৪১ হাজার ৬৭৫ ভোট। প্রাপ্ত ভোটের শতকরা হার ৯০ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের শেখ ফজলুল করিম সেলিম পেয়েছেন ২ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯১ ভোট। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পড়েছে গোপালগঞ্জ-৩ আসনে। ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ ভোটের মধ্যে বৈধ ভোট পড়ে ১ লাখ ৮৯ হাজার ৬১৫ ভোট। শতকরা ভোট পড়েছে ৮৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। এ আসনে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা পান ১ লাখ ৮৭ হাজার ১৮৫ ভোট। যা শতকরা ৮৯ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর গোপালগঞ্জ-১ আসনে শতকরা ভোট পড়ে ৮৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এছাড়াও ভোলা-৩ আসনে ৭১ দশমিক ৫২ শতাংশ, লালমনিরহাট-১ আসনে ৭০ দশমিক ৪৮ শতাংশ, চট্টগ্রাম-১৩ আসনে ভোট পড়ে ৬৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ, বরিশাল-৪ আসনে ৬৮ দশমিক ৬০ শতাংশ, শেরপুর-১ আসনে ৬৮ দশমিক ৩২ শতাংশ, কুমিল্লা-৫ আসনে ৬৭ দশমিক ৫১ শতাংশ। সর্বনিম্ন ভোট পড়ে ঢাকা-১৫ আসনে। এই আসনে ৩ লাখ ১৯ হাজার ৩৭৬ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট মাত্র ৩৪ হাজার ৭৫৪টি। যা শতকরা ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কামাল আহমেদ মজুমদার ৩০ হাজার ৯৫ ভোট পান। বগুড়া-৪ আসনেও কম ভোট পড়েছে। ২ লাখ ৮৩ হাজার ২৪০ ভোটের মধ্যে প্রদত্ত ভোট ৩৬ হাজার ১০৭। যা শতকরা ১২ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এছাড়াও চট্টগ্রাম-১১ আসনে ১৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ঢাকা-৪ আসনে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ, ঝিনাইদহ-৩ আসনে ১৫ দশমিক ৩৮ শতাংশ, সাতক্ষীরা-২ আসনে ১৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ, রংপুর-৩ আসনে ১৭ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ঢাকা-১৭ আসনে ১৮ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ, ঢাকা-১৬ আসনে ১৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ, মৌলভীবাজার-২ আসনে ২০ দশমিক ২৯ শতাংশ।