Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 4 November 2013

বিস্ফোরণে আহত আনোয়ারের বাসা থেকে বোমা উদ্ধার

 
বিস্ফোরণে আহত আনোয়ারের বাসা থেকে বোমা ও বোমা তৈরি সরঞ্জাম উদ্ধার। ছবি: হাসান রাজারাজধানীর কাঁটাবনে বিস্ফোরণে গুরুতর আহত আনোয়ার হোসেনের আনন্দনগরের বাসায় আজ সোমবার সকাল থেকে অভিযান চালিয়ে বোমা, বোমা তৈরির উপকরণ, নির্দেশিকা (ম্যানুয়াল) ও জিহাদি বইপত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবির বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের প্রধান অতিরিক্ত উপকমিশনার ছানোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান হয়।
তিনি প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আজ সকাল ১০টার দিকে আনোয়ারের আনন্দনগরের বাসায় অভিযান শুরু হয়। সেখান থেকে বোমাসহ অন্যান্য জিনিস উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) কৃষ্ণপদ রায় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া আলামত দেখে মনে হচ্ছে, আনোয়ার একটি গোষ্ঠীর অংশ। বোমাগুলোও বেশ শক্তিশালী। এতে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা আছে।
এ দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আনোয়ার হোসেনের এখনো জ্ঞান ফেরেনি বলে বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।তাঁর দুই ঊরু উড়ে গেছে, বুক ও হাতে জখম রয়েছে, একটি চোখ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।আজ বিকেলে আনোয়ার হোসেনের মা পারভীন বেগম প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, তাঁর ছেলে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।তবে তিনি গত এক বছর ধরে তাঁর ছেলের সাথে থাকেন না।তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না।ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনোয়ারের পাশে বসেছিল তাঁর চার বছরের ছেলে সিয়াম।আনোয়ারের কিছু হলে সন্তানদের কী হবে, এ কথা বলে বিলাপ করতে শোনা যায় স্বজনদের।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আনোয়ারের স্ত্রী জেসমিনকে পুলিশ গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে নিয়ে গেছে। পুলিশ বলছে, আনোয়ারের গ্রামের বাড়ি বরিশাল।তবে তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায়।আনন্দনগরে আনোয়ার হোসেন যে বাড়িটিতে থাকেন সেটির মালিক আবদুর রব।ওই বাড়ির একটি ঘরে তিনি স্ত্রী জেসমিন বেগম ও দুই সন্তান সিয়াম (৪) ও জান্নাতসহ (১) বসবাস করছিলেন।আনোয়ারের প্রতিবেশী রাজু চন্দ্র মণ্ডল প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, আনোয়ার আনারকলি মার্কেটে খেলনার ব্যবসা করেন বলে তাঁরা শুনেছেন।এর চেয়ে বেশি কিছু তাঁরা জানেন না।আনোয়ারের ঘর থেকে আজ পুলিশ বিস্ফোরকের গুঁড়োসহ, বোমা বানানোর নানা উপকরণ খুঁজে পায়।এ ছাড়া হেফাজতে ইসলামের ১৩ দফা দাবির ব্যাখ্যা, মুজাহিদিনদের ফিটনেসের উপায় ও ইসলামি আন্দোলনের লিফলেটও পেয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কাঁটাবনে গতকাল বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিস্ফোরণটি ঘটে। এর পরই একজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। পুলিশের রমনা বিভাগের সহকারী কমিশনার রেজাউল করিম বলেন, আনোয়ারের কাছে থাকা বোমাটি বিস্ফোরিত হলে তিনি আহত হন। আনোয়ারকে পুলিশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে পুলিশ পাহারায় তাঁর চিকিত্সা চলছে। ঘটনার পরপরই খবর পেয়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল ঘটনাস্থলে যায়। তারা কাঁটাবনের মোড় থেকে ফুলের দোকানগুলো পর্যন্ত চারপাশ হলুদ ফিতা দিয়ে ঘিরে ফেলে।
এরপর বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দলের সদস্যরা চিংড়ি রেস্টুরেন্টের সামনে পড়ে থাকা একটি অবিস্ফোরিত বোমার নিয়ন্ত্রিত বিস্ফোরণ ঘটান। সাধারণ ককটেলের চেয়ে বহুগুণ বেশি শব্দে তা বিস্ফোরিত হয়।