সভা শেষে বোর্ডের চেয়ারম্যান এ কে রায় সাংবাদিকদের জানান, সভায় উপস্থিত ছয় সদস্যের মধ্যে ভোটাভুটিতে চারজনের সমর্থন পাওয়ায় পাঁচ হাজার ৩০০ টাকা নিম্নতম মজুরি নির্ধারণের খসড়া প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। বোর্ডের এই সিদ্ধান্ত গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে এবং অন্য সব পক্ষের মতামত নিয়ে গেজেট জারির ১৫ দিনের মধ্যে তা শ্রম মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে বলেও জানান চেয়ারম্যান। শ্রমিকেরা আট হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির দাবি জানিয়ে এলেও বোর্ডের সভায় শ্রমিকপক্ষের দুই প্রতিনিধি পাঁচ হাজার ৩০০ টাকার প্রস্তাবের পক্ষেই ভোট দেন।
মজুরি বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও
নিম্নতম মজুরি বোর্ডের বৈঠক চলার সময় নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন তিনটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের কার্যালয়ে সভা শুরু হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিম্নতম মজুরি আট হাজার টাকার দাবিতে গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্র, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা বোর্ডের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তৈরি পোশাকশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি নিয়ে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষই নিজেদের আগের অবস্থান থেকে কিছুটা সরে আসতে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে নিম্নতম মজুরি বোর্ডের আজকের সভায় একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে। মজুরি বোর্ডের শ্রমিক ও মালিকপক্ষের প্রতিনিধিরা এমনটাই প্রত্যাশা করছেন। তবে উভয় পক্ষই পৃথকভাবে গতকাল রোববার বলেছে, যৌক্তিক আলোচনা ও প্রস্তাবেই তারা অগ্রসর হবে, অন্যথায় নয়।
গত বৃহস্পতিবারের অষ্টম সভায় মালিকপক্ষ চার হাজার ২৫০ টাকার নতুন প্রস্তাব দেয়। এর মধ্যে মূল মজুরি দুই হাজার ৫০০, বাড়িভাড়া এক হাজার, চিকিত্সা ভাতা ২৫০, খাদ্য ভর্তুকি ৩০০ ও যাতায়াত ভর্তুকি ২০০ টাকা। তবে শ্রমিকপক্ষ এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলে বোর্ডের নিরপেক্ষ সদস্য সমঝোতার জন্য পাঁচ হাজার টাকার বিকল্প প্রস্তাব দেন।
@ Prothom-alo