নিউজিল্যান্ডকে ফের ধবলধোলাই
নিউজিল্যান্ডকে আবারও ধবলধোলাইয়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের উল্লাস।
ব্যাট হাতে ৯৬ রান নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন শামসুর রহমান। আর সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহমাননিউজিল্যান্ডকে আবারও ধবলধোলাই করল টাইগাররা।
রোববার
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে ৪ বল বাকি থাকতই
৩০৯ রান সংগ্রহ করে সফরকারীদের ৪ উইকেটে হারায় বাংলাদেশ।
ব্যাট হাতে ৯৬ রান নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন শামসুর রহমান। আর সিরিজের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহমান।
এর
আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশ সফরে পাঁচ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে
হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। অপর ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়েছিল বৃষ্টিতে।
রোববার সকালে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টসে জিতে সফরকারীদের ব্যাট করার আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম।
বাংলাদেশের পক্ষে মাহমুদুল্লাহ ২টি এবং আব্দুর রাজ্জাক, সোহাগ গাজী ও রুবেল হোসেন ১টি করে উইকেট নেন।
প্রথমেই
বাংলাদেশকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান শামসুর রহমান ও
নিয়মিত ওপেনার তামিম ইকবালের বদলে এই ম্যাচে খেলতে নামা জিয়াউর রহমান।
উদ্বোধনী জুটিতে মাত্র ৭ ওভার ৪ বলে স্কোরবোর্ডে ৬১ রান যোগ করেন তারা।
এই
অবস্থায় জিয়াউর রহমানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়ে বাংলাদেশের ইনিংসে প্রথম আঘাত
হানেন কিউই পেসার মিচেল ম্যাকক্লেনাগান। অ্যাডাম মিলানের হাতে ক্যাচ দিয়ে
সাজঘরে ফেরার আগে ২টি চার ও সমান সংখ্যক ছয়ের সাহায্যে ২০ বলে ২২ রান করেন
জিয়াউর।
এরপর দলের হাল ধরেন শামসুর রহমান ও মমিনুল
হক। কিন্তু দলীয় ১২৫ রানে বোলার অ্যান্টন ডেভসিচকে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে
ফেরেন মমিনুল হক। ৪টি চারের সাহায্যে ৩৩ বলে ৩২ রান করেন তিনি।
পরের
ওভারে অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সাজঘরে ফেরান কিউই স্পিনার ন্যাথান
ম্যাককুলাম। রস টেইলরের হাতে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেওয়ার আগে মুশফিক করেন ২
রান।
৩৫ তম ওভারে দলীয় ২০৪ রানের মাথায় কেরি
অ্যান্ডারসনের বলে উইকেটরক্ষক লুক রঞ্চির হাতে বল দিয়ে সাজঘরে ফেরেন শামসুর
রহমান। ৯৬ রানের এই ইসিংস সাজাতে সাতটি ৪ ও চারটি ৬ মারেন শামসুর রহমান।
এর
পর নাঈম ইসলাম ও মাহমুদুল্লাহ খেলার হাল ধরেন। দলীয় ২৫৪ রানের মাথায়
ব্যাক্তিগত ৬৩ রানে আউট হন নাঈম। এটা দলের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান।
আর ২৮৯ রানের মাথায় ১৬ রানে সাজঘরে ফিরেন মাহমুদুল্লাহ।
সর্বশেষ সোহাগ গাজী ও নাসির হোসেনের হাত ধরে জয় পায় বাংলাদেশ।
মিরপুর
শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে
সফরকারীদের হারিয়ে ইতিমধ্যে সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ।