মতিয়া
চৌধুরী বলেন, "নির্বাচন হলে মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগকে
আবারও বিপুল ভোটে নির্বাচিত করবে। অতীতে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থেকে
দেশকে জঙ্গীবাদ, সন্ত্রাস, মানিল্ডারিং ও পিছিয়ে দেওয়া ছাড়া সামনের দিকে
অগ্রসর করে নিতে পারেননি।"
শেখ হাসিনা দেশের শিশুদের
হাতে বছরের প্রথম দিনে বই, রাজধানীতে পানি,গ্যাস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান
এবং চাল ও সারে দাম কমিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
প্রতিবাদ সভায় স্থানীয় সংসদ সদস্য ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লা সভাপতিত্ব করেন।
বক্তৃতা
রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি,
ফজিলাতুন্নেসা ইন্দ্রিরা এমপি, মোফাজ্জাল হোসেন মায়া, হাবিবুর রহমান সিরাজ,
আনিসুর রহমান মল্লিক, ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম খান, ইকবাল হোসেন খান,রফিকুল
ইসলাম রাজা প্রমুখ।
সংবিধান অনুযায়ী দেশে নির্বাচন
হবে- উল্লেখ করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, "সেই নির্বাচনে মানুষ নৌকাকে জয়যুক্ত
করবে। কারণ শেখ হাসিনার সরকার চালের দাম, সারে দাম কমিয়েছে। পল্লবীবাসীর
গ্যাস, পানি ও জলাবদ্ধতার সমস্যা দূর করেছে। মিরপুরসহ সমগ্র ঢাকাবাসীকে
উপহার দিয়েছে বনানী, কুড়িল ও গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার। যা খালেদা
জিয়া সাত বার জন্ম নিলেও করতে পারবেন না।"
খালেদা
জিয়ার দুই ছেলের সমালোচনা করে মতিয়া বলেন, "খালেদা জিয়া নিজে মেট্ট্রিক
পাশও করেননি। তার বড় ছেলে না-কি মানিকগঞ্জের কোন কলেজ থেকে পাস করেছে।
কিন্তু সেই কলেজের নাম নেই। মানুষের ছেলে উচ্চ শিক্ষার জন্য যায় বিদেশে আর
খালেদা জিয়ার ছেলে গেছেন মানিকগঞ্জে।"
তিনি বলেন,
"দেশের অন্য ছেলে মেয়েরা শিক্ষা লাভ করুক, তা তিনি চান না। তাই তিনি
শিক্ষার্থীর কথা মাথায় না নিয়েই হরতাল কর্মসুচি দিচ্ছেন। খালেদা জিয়া দেশে
শিক্ষিত নাগরিক তৈরি করতে চান না।"