Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Wednesday 6 November 2013

সরকারের সামনে মেয়াদের বাধ্যবাধকতা নেই: সুরঞ্জিত

সুরঞ্জিত সেনগুপ্তজাতীয় সংসদের ক্ষেত্রে মেয়াদের সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু সরকারের ক্ষেত্রে তা নেই। সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত আরেকটি সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত এ সরকারের বৈধতা থাকবে।

বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে আজ মঙ্গলবার সংসদে দপ্তরবিহীনমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এ কথা বলেন।

পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে অনির্ধারিত আলোচনায় অন্য সাংসদেরা খালেদা জিয়ার সমালোচনা করেন। বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া বলেছিলেন, ২৫ অক্টোবর থেকে সরকার অবৈধ।

সুরঞ্জিত বলেন, ‘সরকার চিরন্তন। রাষ্ট্র এক মুহূর্ত সরকারবিহীন থাকতে পারে না। সংসদের মেয়াদ পাঁচ বছর। কিন্তু সরকার থেকে যায়। সাংবিধানিকভাবে আরেকটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আগ পর্যন্ত এ সরকারের বৈধতা থাকবে। সংবিধানের কোথাও সরকার যে অবৈধ হয়, তা বলা নেই। পৃথিবীর কোনো সংবিধানেও এ কথা বলা নেই। বিএনপির চেয়ারপারসন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে সংবিধানের অপব্যাখ্যা দিয়েছেন।’
খালেদা জিয়ার উদ্দেশে সুরঞ্জিত বলেন, ‘আইয়ুব খান, ইয়াহিয়া খান হিন্দুদের ওপর আক্রমণ করে টিকে থাকতে পারে নাই। আপনিও (খালেদা জিয়া) পারবেন না। আপনি সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিবাদী, এটা প্রমাণিত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমি মনে করেছিলাম দায়িত্ববান মানুষ, কিন্তু তা না। একদিকে বোমা মারেন। আরেক দিকে সরকারের ওপর দোষ চাপান।’ তিনি আরও বলেন, ‘হরতাল দেওয়ার যেমন অধিকার আছে। হরতাল না পালন করার অধিকারও আছে। আতঙ্ক সৃষ্টি করে হরতাল করতে বাধ্য করা কী জিনিস! তারা যদি ক্ষমতায় আসে, কি করবে, তার নমুনা দেশের মানুষকে দেখিয়েছে।’
জাসদের মইন উদ্দিন খান বাদল বলেছেন, ‘দেশ নির্বাচনের পথে যাত্রা শুরু করেছে। নির্বাচন হবে। যার ইচ্ছে নির্বাচনে আসবে। একটি দলের জন্য নির্বাচন হবে না, তা কোথাও নেই। যথাসময়ে নির্বাচন হবে। বিএনপির সামনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’
ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘বেগম জিয়া নির্বাচনে আসবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। তার লক্ষ্য এই সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি প্রতিক্রিয়াশীল চক্রকে সুযোগ করে দেওয়া। তারা অন্য কোনো ভাবে সরকারের পতন চাচ্ছে, নির্বাচন নয়।’
তারানা হালিম বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রতিটি রায়ের সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি পোড়ানো হয়। অথচ মির্জা ফখরুল ইসলাম লন্ডনের হাউস অব কমন্সে বলেছেন, তাঁরা জামায়াত-হেফাজতের সঙ্গে রাজনীতি করেন না। বিদেশে গিয়ে এক কথা বলেন, আর দেশে আরেক কথা।’
অনির্ধারিত আলোচনায় আরও অংশ নেন জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক।