মিছিল শেষে পূর্ব টানেলে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন এই সাংসদেরা। সমাবেশে বক্তারা আওয়ামী লীগের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের কঠোর সমালোচনা করেন। জয়ের কঠোর সমালোচনা করে সাংসদ শাম্মী আখতার বলেন, ‘শেখ হাসিনা নিজে পারছেন না। তাই তাঁর ছেলেকে ভাড়া করে এনেছেন। ও-ই প্রলাপ বকছেন প্রতিদিন। মানুষ মারার পরিকল্পনা করছেন।’ আসিফা আশরাফিও জয়ের কঠোর সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘জয়কে দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ হবে না। আওয়ামী লীগ নির্বাচিত সরকার না। এরা মইনুদ্দীন-ফখরুদ্দিনের নির্ধারিত সরকার; যা জগদ্দল পাথরের মতো চেপে আছে।’
বগুড়ার সাংসদ হাফিজুর রহমান বলেন, ‘শেখ হাসিনা তাঁর ছেলে জয়কে ভোট ভিক্ষার জন্য নামাচ্ছেন। তবে শেখ হাসিনার পরিণতি তাঁর বাবার চেয়েও করুণ হবে।’ বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন করেছেন। এ সংবিধান আবার পরিবর্তন করে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি পূরণ করুন। সজীব ওয়াজেদ জয়কে আমরা রাজনীতিতে স্বাগত জানাই। তবে হরতালে ৪০ জন মানুষ মারা যাবে—এমন আগাম কথা তাঁর মুখে শোভা পায় না।’ তিনি বলেন, সামনে আরও কঠোর কর্মসূচি আসবে। তাই সংকট নিরসন প্রয়োজন। আগামীকাল মঙ্গলবার হরতালের সমর্থনে আবারও সংসদ ভবন এলাকায় মিছিল করার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপিদলীয় এই সাংসদেরা।