DW.DE
চুপ, আজ রবিবার!
জার্মানিতে রবিবার
মানই ‘রুয়েটাগ’, অর্থাৎ শব্দহীন দিন৷ শব্দ তৈরি হয় এমন কোনো কাজ করা যায় না এদিন৷ যেমন ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে ঘর পরিষ্কার কিংবা দেয়ালে কোনো কিছু লাগানো ইত্যাদি৷ এমনটা করলে আপনাকে প্রতিবেশীর কাছ থেকে অভিযোগ শোনার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হবে৷
জন্মদিনের শুভেচ্ছা আগে নয়
কখনো কোনো
জার্মানকে নির্দিষ্ট দিনের আগে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে না৷ কারণ এটাকে তাঁরা ‘অশুভ’ মনে করে৷ তাই শুভেচ্ছা পর্ব শুরু হয় জন্মদিনের প্রথম প্রহরে, অর্থাৎ মধ্যরাতে৷
পানি মানেই ‘বুদবুদ-কণা ওঠা’ পানি
জার্মানদের কাছে
পানি মানেই ‘বুদবুদ-কণা ওঠা’ পানি, যেটাকে কার্বনেটেড বা সোডা ওয়াটার বলা হয়৷ আপনার বাড়িতে কোনো অতিথি এলে তাঁকে
‘ট্যাপকল’-এর পানি দেয়াকে অভদ্রতা হিসেবে দেখা হয়৷
অতিথিকে সাধারণত বোতলজাত পানি বা বুদবুদ ওঠা পানি দিতে হয়৷ কোনো রেস্টুরেন্টে গিয়ে পানি চাইলেও আপনাকে দেয়া হবে ‘স্পার্কলিং ওয়াটার’, মানে বুদবুদ ওঠা
পানি৷
ধরুন আপনি
জার্মানিতে কোনো বার-এ গিয়ে বিয়ার পান করছেন৷ ওয়েটার এসে যদি
জিজ্ঞেস করে আপনার আরও বিয়ার চাই কিনা – তখন আপনি যদি বলেন ‘ডাংকে’,
মানে ধন্যবাদ, তাহলে ওয়েটার বুঝে নেবে যে আপনি আর বিয়ার
চান না৷ কিন্তু আপনি যদি বলেন ‘বিটে’, মানে প্লিজ, তাহলে ওয়েটার বুঝবেন হ্যাঁ, আপনার আরও চাই৷
দুপুরে গরম, রাতে ঠান্ডা
বাঙালির
খাবার যেমন গরম হওয়া চাই, জার্মানদেরও
তেমনি৷ তবে পার্থক্য একটা আছে৷ জার্মানরা শুধু দুপুরের খাবারটা চান গরম৷ রাতে কিন্তু তাঁরা ঠান্ডা ব্রেড বা রুটির সঙ্গে শূকরের মাংস,
পনির, চিজ বা সবজি দিয়ে
খেয়ে ফেলেন৷ অনেক সময় শেষ পাতে
থাকে নানা রকম ফলও৷