Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Sunday 3 November 2013

বাংলাদেশের যত ধবলধোলাই

বাংলাদেশের যত ধবলধোলাই

একসময় ক্রিকেট বিশ্বে পড়ে পড়ে মার খেয়েছে বাংলাদেশ। একসময় বাংলাদেশ ছিল ক্রিকেট বিশ্বের পুঁচকে এক দল। একসময় বাংলাদেশের কপালে জুটেছে অসহনীয় সব পরাজয়ের যন্ত্রণা। প্রতিপক্ষের হাতে ধবলধোলাই হওয়ার লজ্জা। সেই বাংলাদেশ এখন ক্রিকেট বিশ্বে ধীরে ধীরে মাথা তুলে দাঁড়াচ্ছে। শুধু তা-ই নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বিশ্বে পাঠিয়ে দিয়েছে এই বার্তা, পড়ে পড়ে মার খাওয়ার দিন শেষ। এই বাংলাদেশ অন্যরকম। এই বাংলাদেশ একটা জয়েই আর উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে না। এই বাংলাদেশ সিরিজ জয়ের পরও আশ্চর্য রকমের শান্ত, তখনো কাজ যে কিছু বাকি আছে। সেই অসমাপ্ত কাজ পূরণ করে ধবলধোলাই নিশ্চিত করেও এই বাংলাদেশ এখন আর বাঁধনহারা উল্লাসে ফেটে পড়ে না। জয়টা যে অভ্যাস হয়ে গেছে!
প্রতিপক্ষকেও ধবলধোলাইয়ের তীব্রতম যন্ত্রণা উপহার দেওয়াও তাই এখন বাংলাদেশের কাছে নতুন কিছু নয়। এ নিয়ে আটবার প্রতিপক্ষকে যে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হাতে কারও ধবলধোলাইয়ের প্রথম অভিজ্ঞতা হয়েছিল কেনিয়ার। ২০০৬ সালের মার্চে সেই সিরিজে নিজেদের মাঠে কেনিয়াকে চার ম্যাচের সবগুলোতেই হারিয়েছিল বাংলাদেশ। ২০০৬ সালের আগস্টে কেনিয়ায় কেনিয়ার মাঠে গিয়ে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ প্রমাণ করে দিয়েছিল, একসময় যে কেনিয়ার পিছু হাঁটত বাংলাদেশ, একসময় যে কেনিয়া আর বাংলাদেশ শক্তির বিচারে ছিল সমানে-সমান; তাদের পেছনে ফেলে যোজন যোজন এগিয়ে গেছে বাংলাদেশের ক্রিকেট।
২০০৬ সালটি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য ছিল সুবর্ণ এক বছর। কারণ ওই বছরেই বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো হোয়াইটওয়াশ করেছে প্রতিপক্ষকে। এবার বাংলাদেশের ধবলধোলাইয়ের শিকার জিম্বাবুয়ে। বছরের শেষ দিকে জিম্বাবুয়েকে ৫-০ ব্যবধানে হারিয়ে বাংলাদেশ জানিয়ে দিয়েছিল, জিম্বাবুয়েকেও পেরিয়ে এগিয়ে যাওয়ার দিন এখন আসন্ন। ২০০৬ সালে বাংলাদেশের চতুর্থ হোয়াইটওয়াশের শিকার হয় স্কটল্যান্ড। এবারের সিরিজটি অবশ্য ছিল দুই ম্যাচের। এক বছরেই চার চারটি হোয়াইটওয়াশ! ভাবা যায়!
পরের ধবলধোলাইটি দিতে অবশ্য বাংলাদেশকে দুই বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০০৮ সালের মার্চে বাংলাদেশে এসেছে আয়ারল্যান্ড ৩-০ ব্যবধানে হেরে যায়। ২০০৯ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দেশটির খেলোয়াড়-বিদ্রোহের সুবাদে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আসে ক্যারিবীয় ক্রিকেট ঐতিহ্যকেই বধ করার। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেনি বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো অধিনায়কত্ব পাওয়া সাকিব আল হাসান সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথমে টেস্টে, এরপর ওয়ানডেতেও হোয়াইটওয়াশ করে প্রতিপক্ষকে।
এত দিন বাংলাদেশের সবগুলো ধবলধোলাই ছিল তুলনামূলক দুর্বল বা সমশক্তির দলের বিপক্ষে। বাংলাদেশের চেয়ে কাগজে-কলমে ঢের এগিয়ে থাকা নিউজিল্যান্ডকে ২০১০ সালের অক্টোবরে ৪-০তে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ। যেটি বিখ্যাত হয়ে যায় বাংলাওয়াশ নামে। সেই নিউজিল্যান্ডকেই আবারও বাংলা-ধোলাই দিল বাংলাদেশ। বাঘের থাবায় ক্ষতবিক্ষত হলো কিউই পাখি!
-অনলাইন প্রতিবেদক @ Prothom-alo