খালেদার প্রস্তাবিত সরকারও নির্দলীয় নয়: ইনু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক,
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published: 22 Oct 2013 15:10 BdST
Updated: 22 Oct 2013 15:10 BdST
বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া ‘নির্দলীয়’ সরকারের নামে ‘দলবাজীর নির্দলীয় সরকারের’ প্রস্তাব দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
তার মতে, খালেদা
জিয়া প্রস্তাব
তোলার ক্ষেত্রে
‘যত্নবান ও
মনোযোগী’ ছিলেন
না। আর
বর্তমান প্রেক্ষাপটে
এ প্রস্তাব
‘বাস্তবায়নযোগ্যও’ নয়।
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার প্রস্তাব নাকচ করেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
এর বদলে একজন ‘সম্মানিত নাগরিকের’ নেতৃত্বে সাবেক ১০ উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের পাল্টা প্রস্তাব দেন তিনি।
তার প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৯৬ ও ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনকে নিয়ে এ সরকার হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি পাঁচটি করে নাম প্রস্তাব করবে।
আর ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের ‘ঐক্যমতের ভিত্তিতে’ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ‘সম্মানিত নাগরিককে’ এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হবে।
তার এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ইনু মঙ্গলবার আরেক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদার প্রস্তাব অনুযায়ী দুই দল থেকে ৫ জন করে উপদেস্টা নিয়োগ দিলে তারাও ‘দলীয় ব্যক্তি’ হয়ে যাবেন, ‘নিরপেক্ষ’ ব্যক্তি হবেন না।
“প্রস্তাবিত অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্দলীয় সরকার হবে কিভাবে”, প্রশ্ন করেন তিনি।
তথ্য মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বিএনপি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের উপদেস্টাদের নিয়ে অর্ন্তবর্তী সরকারের কথা বললেও ’৯৬ এর নির্বচানের পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন ‘পুকুর চুরি’ হয়েছে।
আর ২০০১ এ পরাজয়ের পর শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনকে বলেন ‘সালসা নির্বাচন’ ।
“ওই দুটি তত্বাবধায়ক সরকার তখনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আর খালেদা জিয়া সেই বিতর্কিত সরকারের উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।”
এর আগে গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মন্ত্রিসভার জন্য বিরোধী দলকে নামও দিতে বলেন তিনি।
দুই দলের প্রস্তাব নিয়েই মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তথ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলের প্রস্তাব ‘অবাস্তব’ হলেও সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি ইনু।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সংলাপের ‘সব ধরনের প্রস্তাব’ নিয়ে খালেদা জিয়া এগিয়ে আসবেন।
তবে খালেদার প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্দলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে একজন সম্মানিত ব্যক্তি নির্ধারণ করাও ‘প্রায় অবাস্তব’।
“যে কয়জন উপদেস্টা জীবিত আছেন তাদের মধ্যে দুইজন ইতোমধ্যে না করে দিয়েছেন। আর বাকিদের মধ্যে অনেকেই বয়সের ভারে ন্যূজ, তারা সম্মত হবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।”
ইনুর ভাষায়, বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাব নিয়ে ‘মাথা ঘামালে’ নির্বাচন ঝুলে যাবে, নির্বাচেনের পথে ‘অন্তরায়’ তৈরি হবে।
“খালেদা জিয়া তার প্রস্তাবে কোনো সময় কাঠামো নির্ধারণ করে দেননি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে এবং এটি কোনো স্থায়ী সমাধান হবে না। ফলে আগামী ৫ বছর সংঘাতের রাজনীতি হবে।”
উল্টোদিকে সমঝোতার ভিত্তিতে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে মনে করেন ইনু।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন অর্ন্তবর্তী সরকারের ক্ষমতা, এখতিয়ার, ভূমিকা এবং নির্বাচনকালে সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যদের ক্ষমতা ও অধিকার নিয়েও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”
সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার প্রস্তাব নাকচ করেন বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়া।
এর বদলে একজন ‘সম্মানিত নাগরিকের’ নেতৃত্বে সাবেক ১০ উপদেষ্টাকে নিয়ে নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের পাল্টা প্রস্তাব দেন তিনি।
তার প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৯৯৬ ও ২০০১ এর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ২০ উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনকে নিয়ে এ সরকার হবে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিরোধী দল বিএনপি পাঁচটি করে নাম প্রস্তাব করবে।
আর ক্ষমতাসীন ও বিরোধীদলের ‘ঐক্যমতের ভিত্তিতে’ সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য একজন ‘সম্মানিত নাগরিককে’ এই অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হবে।
তার এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে তথ্যমন্ত্রী ইনু মঙ্গলবার আরেক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খালেদার প্রস্তাব অনুযায়ী দুই দল থেকে ৫ জন করে উপদেস্টা নিয়োগ দিলে তারাও ‘দলীয় ব্যক্তি’ হয়ে যাবেন, ‘নিরপেক্ষ’ ব্যক্তি হবেন না।
“প্রস্তাবিত অন্তবর্তীকালীন সরকার নির্দলীয় সরকার হবে কিভাবে”, প্রশ্ন করেন তিনি।
তথ্য মন্ত্রী মনে করিয়ে দেন, বিএনপি ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের উপদেস্টাদের নিয়ে অর্ন্তবর্তী সরকারের কথা বললেও ’৯৬ এর নির্বচানের পর খালেদা জিয়া বলেছিলেন ‘পুকুর চুরি’ হয়েছে।
আর ২০০১ এ পরাজয়ের পর শেখ হাসিনা ওই নির্বাচনকে বলেন ‘সালসা নির্বাচন’ ।
“ওই দুটি তত্বাবধায়ক সরকার তখনই প্রশ্নবিদ্ধ ছিল। আর খালেদা জিয়া সেই বিতর্কিত সরকারের উপদেষ্টাদের নিরপেক্ষ হিসাবে চিহ্নিত করেছেন।”
এর আগে গত শুক্রবার জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় মন্ত্রিসভার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই মন্ত্রিসভার জন্য বিরোধী দলকে নামও দিতে বলেন তিনি।
দুই দলের প্রস্তাব নিয়েই মঙ্গলবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন তথ্যমন্ত্রী।
বিরোধী দলের প্রস্তাব ‘অবাস্তব’ হলেও সংলাপের দরজা খোলা রয়েছে উল্লেখ করে বিরোধীদলীয় নেতাকে সংলাপের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান জাসদ সভাপতি ইনু।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচনকে গ্রহণযোগ্য করতে সংলাপের ‘সব ধরনের প্রস্তাব’ নিয়ে খালেদা জিয়া এগিয়ে আসবেন।
তবে খালেদার প্রস্তাবের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে নির্দলীয় সরকারের প্রধান হিসেবে একজন সম্মানিত ব্যক্তি নির্ধারণ করাও ‘প্রায় অবাস্তব’।
“যে কয়জন উপদেস্টা জীবিত আছেন তাদের মধ্যে দুইজন ইতোমধ্যে না করে দিয়েছেন। আর বাকিদের মধ্যে অনেকেই বয়সের ভারে ন্যূজ, তারা সম্মত হবেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে।”
ইনুর ভাষায়, বিরোধীদলীয় নেতার প্রস্তাব নিয়ে ‘মাথা ঘামালে’ নির্বাচন ঝুলে যাবে, নির্বাচেনের পথে ‘অন্তরায়’ তৈরি হবে।
“খালেদা জিয়া তার প্রস্তাবে কোনো সময় কাঠামো নির্ধারণ করে দেননি। এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করতে হলে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে এবং এটি কোনো স্থায়ী সমাধান হবে না। ফলে আগামী ৫ বছর সংঘাতের রাজনীতি হবে।”
উল্টোদিকে সমঝোতার ভিত্তিতে বর্তমান সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে থেকেই প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ বলে মনে করেন ইনু।
তিনি বলেন, “এ বিষয়ে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন অর্ন্তবর্তী সরকারের ক্ষমতা, এখতিয়ার, ভূমিকা এবং নির্বাচনকালে সরকারের মন্ত্রীসভার সদস্যদের ক্ষমতা ও অধিকার নিয়েও ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”