সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া
প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সর্বদলীয় সরকারের ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যা
পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি৷ তবে ১৮ দলীয় জোটে
বিএনপি’র প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব
প্রত্যাখ্যান করেছে৷
সুশীল সমাজ মনে করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় যে
সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যায়৷ তাঁরা মনে
করেন আলোচনা শুরু হলে সেখান থেকে আরো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে৷
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মনে করেন সব সমস্যার সমাধান একবারে হয় না৷ এখন
সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন তা আলোচনা শুরু না করলে কিভাবে নিস্পত্তি
হবে? সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানও মনে করেন
প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন৷ যেমন নির্বাচনের সময়, সরকার
পদ্ধতি ইত্যাদি৷ তবে কিছু বিষয় স্পষ্ট নয়৷ যা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা
সম্ভব৷
এদিকে জাতীয় পার্টি শনিবার বর্ধিত সভার পর বলেছে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব আরো বিশদভাবে পর্যালোচনা করে তবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে৷ মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার বলেছেন, সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন তা স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী৷ আর নির্বাচনের সময় সংসদ কার্যকর থাকবে কিনা তাও পরিষ্কার করা হয়নি৷ এই প্রশ্নের জবাব চান তাঁরা৷ সিপিবিও একই প্রশ্ন তুলেছে৷
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া মনে করেন এই সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব আসলে ভাওতাবাজী৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই যদি সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হন তাহলে দলীয় সরকারের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য থাকবে না৷ তিনি বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই৷ আর এজন্য চূড়ান্ত আন্দোলনেই যেতে হবে৷
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার দ্বৈত নীতি নিয়েছে৷ তাঁরা একদিকে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের কথা বলছে৷ আরেক দিকে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করছে৷ তাই আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই৷ তবে নেতাদের এইসব কথা শেষ পর্যন্ত কি ফলাফল দেবে তা বোঝা যাবে বিএনপি'র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পর৷ আর জাতীয় পার্টিও বিএনপি'র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানা গেছে৷
এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর বল এখন বিরোধী দলের কোর্টে৷ এখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দেবেন কিনা৷ যদি সাড়া দেন তাহলে আলোচনার জন্য চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে জানান তিনি৷
এদিকে জাতীয় পার্টি শনিবার বর্ধিত সভার পর বলেছে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব আরো বিশদভাবে পর্যালোচনা করে তবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে৷ মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার বলেছেন, সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন তা স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী৷ আর নির্বাচনের সময় সংসদ কার্যকর থাকবে কিনা তাও পরিষ্কার করা হয়নি৷ এই প্রশ্নের জবাব চান তাঁরা৷ সিপিবিও একই প্রশ্ন তুলেছে৷
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া মনে করেন এই সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব আসলে ভাওতাবাজী৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই যদি সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হন তাহলে দলীয় সরকারের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য থাকবে না৷ তিনি বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই৷ আর এজন্য চূড়ান্ত আন্দোলনেই যেতে হবে৷
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার দ্বৈত নীতি নিয়েছে৷ তাঁরা একদিকে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের কথা বলছে৷ আরেক দিকে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করছে৷ তাই আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই৷ তবে নেতাদের এইসব কথা শেষ পর্যন্ত কি ফলাফল দেবে তা বোঝা যাবে বিএনপি'র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পর৷ আর জাতীয় পার্টিও বিএনপি'র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানা গেছে৷
এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর বল এখন বিরোধী দলের কোর্টে৷ এখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দেবেন কিনা৷ যদি সাড়া দেন তাহলে আলোচনার জন্য চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে জানান তিনি৷