Boxed Style

আইফোন জিতে ক্লিক করুন

Monday 21 October 2013

সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

সর্বদলীয় সরকার গঠন প্রস্তাবে মিশ্র প্রতিক্রিয়া

প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবিত সর্বদলীয় সরকারের ব্যাপারে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি বিএনপি৷ তবে ১৮ দলীয় জোটে বিএনপি’র প্রধান শরিক জামায়াতে ইসলামী সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে৷
সুশীল সমাজ মনে করে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের সময় যে সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু করা যায়৷ তাঁরা মনে করেন আলোচনা শুরু হলে সেখান থেকে আরো কিছু বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে৷ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক মনে করেন সব সমস্যার সমাধান একবারে হয় না৷ এখন সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন তা আলোচনা শুরু না করলে কিভাবে নিস্পত্তি হবে? সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর আলি খানও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী বেশ কিছু বিষয় স্পষ্ট করেছেন৷ যেমন নির্বাচনের সময়, সরকার পদ্ধতি ইত্যাদি৷ তবে কিছু বিষয় স্পষ্ট নয়৷ যা আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা সম্ভব৷
এদিকে জাতীয় পার্টি শনিবার বর্ধিত সভার পর বলেছে তারা প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব আরো বিশদভাবে পর্যালোচনা করে তবে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাবে৷ মহাসচিব রুহুল আমীন হাওলাদার বলেছেন, সর্বদলীয় সরকারের প্রধান কে হবেন তা স্পষ্ট করেননি প্রধানমন্ত্রী৷ আর নির্বাচনের সময় সংসদ কার্যকর থাকবে কিনা তাও পরিষ্কার করা হয়নি৷ এই প্রশ্নের জবাব চান তাঁরা৷ সিপিবিও একই প্রশ্ন তুলেছে৷
বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া মনে করেন এই সর্বদলীয় সরকারের প্রস্তাব আসলে ভাওতাবাজী৷ বর্তমান প্রধানমন্ত্রীই যদি সর্বদলীয় সরকারের প্রধান হন তাহলে দলীয় সরকারের সঙ্গে এর কোনো পার্থক্য থাকবে না৷ তিনি বলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই৷ আর এজন্য চূড়ান্ত আন্দোলনেই যেতে হবে৷
বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন সরকার দ্বৈত নীতি নিয়েছে৷ তাঁরা একদিকে গণতন্ত্র এবং নির্বাচনের কথা বলছে৷ আরেক দিকে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করছে৷ তাই আন্দোলনের কোনো বিকল্প নেই৷ তবে নেতাদের এইসব কথা শেষ পর্যন্ত কি ফলাফল দেবে তা বোঝা যাবে বিএনপি'র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ার পর৷ আর জাতীয় পার্টিও বিএনপি'র আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া দেখে তাদের প্রতিক্রিয়া জানাবে বলে জানা গেছে৷
এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবের পর বল এখন বিরোধী দলের কোর্টে৷ এখন তারাই সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাবে সাড়া দেবেন কিনা৷ যদি সাড়া দেন তাহলে আলোচনার জন্য চিঠি চালাচালি শুরু হবে বলে জানান তিনি৷

DW.DE