Friday, 14 February 2020

ঘুম ভালো করতে বেডরুমে রাখতে পারেন যেসব গাছ


যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা ভালো ঘুমের জন্য ঘরে গাছ রাখতে পারেন।  
গাছপালা শরীরে এমন কিছু প্রাকৃতিক প্রভাব ফেলে যা অনিদ্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে।
গাছ থেকে নির্গত নির্মল বাতাস থেকে শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ ভালো হয়। 
স্নেক প্ল্যান্ট 

তবে সব ধরনের গাছ চাইলেই ঘরে রাখা সম্ভব নয়। কিছু কিছু গাছ আছে যে গুলো বেডরুমে রাখলে ঘুম ভালো হবে। যেমন-
জুঁই গাছ : জুঁই ফুল থেকে নির্গত প্রাকৃতিক সুগন্ধ মস্তিষ্কে আরাম দেয়। সেই সঙ্গে ভালো ঘুম হতে সাহায্য করে। এ কারণে যাদের ঘুমের সমস্যা রয়েছে তারা ঘরে এ ফুলের গাছটি রাখতে পারেন।
অ্যালোভেরা : চুল ও ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা দারুণ উপকারী। ভালো ঘুমের জন্যও অ্যালোভেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। রাতে এ গাছ থেকে যে অক্সিজেন নির্গত হয় তা মস্তিষ্কে আরাম দেয়। 
লাভেন্ডার গাছ : বাতাস বিশুদ্ধ করতে ল্যাভেন্ডার গাছের জুড়ি নেই। এ গাছটি বেড রুমে রাখলে মানসিক চাপ, উৎকন্ঠা কমে। সেই সঙ্গে ঘুমও ভালো হয়। 
স্নেক প্ল্যান্ট : যদি কারও শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা থাকে তাহলে এ গাছটি ঘরে রাখলে উপকার পাবেন। এ গাছটি ঘরের বাতাস নির্মল রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে চোখের অস্বস্তি, মাথা ধরা কমায়। সূত্র : হেলদিবিল্ডার্জড 

ঘুম কম হলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয় প্রকাশ: ২ ঘণ্টা আগে অনলাইন ডেস্ক

বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুম কম হলে শরীরের যেসব ক্ষতি হয়- 
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বৃদ্ধি করে: পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বা কম হলে বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, নিয়মিত পর্যাপ্ত না ঘুমালে মানব শরীরের ‘লিভিং অরগানিজম’গুলো ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। নষ্ট হতে পারে শরীরের হরমোনের ভারসাম্য। বাড়তে পারে উচ্চ রক্তচাপ, হাইপার টেনশনের মতো সমস্যা।
হার্টের সমস্যা বৃদ্ধি করে: আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদের হৃদপিণ্ড এবং রক্তনালী কিছুটা হলেও বিশ্রাম পায়। কিন্তু ঘুম না হলে বা কম হলে প্রতিনিয়ত কার্ডিওভ্যস্কুলার সমস্যা বাড়তে থাকে। এর ফলে হার্টের সমস্যা বাড়তে থাকে।
ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়: দীর্ঘদিন রাতে না ঘুমানো বা কম ঘুমানোর ফলে শরীরে ইনসুলিন উৎপাদন ব্যহত হয়। যার ফলে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়তে থাকে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নষ্ট করে: ঘুম মূলত আমাদের শরীরের ক্ষয়ক্ষতি পূরণ ও শক্তি সঞ্চয়ের একটি পন্থা। যখন আমরা ঘুমাই,  তখন শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দায়ী ‘লিভিং অরগানিজম’  কাজ করতে থাকে। কিন্তু না ঘুমালে এই ‘লিভিং অরগানিজম’গুলো কাজ করতে পারে না। ফলে ক্রমশ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে।
মানসিক স্বাস্থ্য নষ্ট হয়: মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের একটি নিউরোট্রান্সমিটার আছে যা মস্তিষ্ককে সচল রাখতে সহায়তা করে। প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ওরেক্সিন উৎপাদনের গতি মন্থর হয়ে যায়। মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা কমতে থাকে। মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম না পেলে অতিরিক্ত বিষণ্ণতা, হ্যালুসিনেশনের, স্মৃতিভ্রংশের মতো একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। দিনে দিনে নিজের বিচার বিশ্লেষণ করার ক্ষমতাও লোপ পেতে পারে।
হজমের সমস্যা বৃদ্ধি করে: প্রতিদিন পর্যাপ্ত ঘুম না হলে বাড়তে পারে হজমের সমস্যাও। না ঘুমালে আমাদের শরীরের পাচন ক্রিয়ায় সাহায্যকারী অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। ফলে খাবার হজমে সহায়ক পাচক রসগুলো উপযুক্ত মাত্রায় নিঃসরণে বাধা পায়। তাই হজমের নানা সমস্যা শুরু হয়।
সুতরাং, ঘুম আমাদের জন্য অত্যন্ত জরুরী একটি পন্থা। আমাদের দৈহিক প্রায় সকল কার্যকলাপই ঘুমের উপরে অনেকটাই নির্ভরশীল। তাই কোনও রকম অবহেলা না করে নিয়মিত প্রতিদিন অন্তত ৬-৭ ঘণ্টা ঘুমানো অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু যদি নিয়মিত স্বাভাবিকভাবে ঘুম না আসে, তাহলে ইচ্ছেমতো ওষুধ না খেয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। সূত্র: জিনিউজ

খালেদার মুক্তি চেয়ে কাদেরকে ফোন ফখরুলের সমকাল প্রতিবেদক





বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি চেয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানিয়েছেন কাদের।
সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাকে টেলিফোন করেছেন কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার প্যারোলে মুক্তির বিষয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্য আমরা পাইনি। তাছাড়া কি কারণে খালেদা জিয়াকে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আইনমন্ত্রীর কাছে বিএনপির পক্ষ থেকে এ ধরনের লিখিত বক্তব্য আসেনি।
তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ডাক্তারদের রিপোর্টের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের মিল নেই। সরকার তার সুচিকিৎসার বিষয়ে আন্তরিক। তাকে যথাযথভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা রাজনৈতিক নয়। তার বিরুদ্ধে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতির মামলা হয়েছে। সে কারণে তার জামিনের বিষয়টি আদালতের, বর্তমান সরকারের নয়।
এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

AD BANNAR