Thursday, 16 April 2020

কথা ছিল ব্যস্ত থাকবেন জয়া

দিনগুলোয় আরও মানবিক হই– জয়া

জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলোজয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো আইফোন জিতে ক্লিক করুন এ সময়ে কথা ছিল, জয়া আহসান ব্যস্ত থাকবেন ভারতীয় নির্মাতা মানস মুকুল পাল পরিচালিত সিনেমার কাজে। ঝটপট সেই কাজ শেষ করে বাংলা নববর্ষ উদ্যাপনের জন্য কলকাতা থেকে ঢাকায় ফিরে আসার কথা ছিল তাঁর। করোনাকাল–পূর্ববর্তী পরিকল্পনাগুলোর কথা মনে করে জয়া বলছিলেন, ‘আমি সব গুছিয়ে রেখেছিলাম। পয়লা বৈশাখের সময়টাতে আমি কোনো কাজ রাখি না। এবারও সব কাজ পয়লা বৈশাখের আগে শেষ করে ঢাকায় ফিরে আসার ইচ্ছা ছিল।’আইফোন জিতে ক্লিক করুন 
কিন্তু এখন তো আর কাজের প্রশ্নই আসে না, সেই কবে থেকেই তো জয়া আহসান আছেন ঢাকায়, তাঁর নিজ বাড়িতে, পরিবারের সঙ্গে। পয়লা বৈশাখে তাই আলাদা ছুটি বলে কিছু নেই। সবার মতো, সবার নিরাপত্তার জন্য নববর্ষেও জয়া বাড়িতে থাকছেন, পরিবারের সঙ্গেই দিনটি উদ্যাপন করতে যাচ্ছেন।
জয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলোজয়া আহসান। ছবি: প্রথম আলো আইফোন জিতে ক্লিক করুন নতুন বছরের নতুন প্রত্যাশার কথা জানতে চাইলে জয়া বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী ‘এসো হে বৈশাখ’ গানের কয়েকটি লাইন। ‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’—এই হলো নতুন বাংলা বছরের কাছে অভিনেত্রী জয়া আহসানের প্রত্যাশা। তাঁর কাছে এখন এই বৈশাখে রবিঠাকুরের এই গানের প্রতিটা পঙ্ক্তি ভীষণ প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘এখন সময় আমাদের মনোবল শক্ত করার।আইফোন জিতে ক্লিক করুন আমরা তো বরাবরই যোদ্ধা জাতি। সব ধরনের প্রতিকূলতায় আমরা সংগ্রাম করে টিকে থাকতে জানি। এবারও আগামী দিনের সংগ্রামের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে হবে। ঘরে বসে সেই প্রস্তুতি নিতে হবে। এই সংকট আমাদের অনেক কিছু শিখিয়ে যাচ্ছে। নতুন বছরে সব নতুন করে শুরুর প্রত্যাশা করছি। আশা করছি, আমরা যেন সবাই সামনের দিনগুলোয় আরও মানবিক হই।আইফোন জিতে ক্লিক করুন শুধু নিজের আর শুধু পরিবার নয়, আমরা যেন পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষ, প্রতিটি জীবের প্রতি হই মানবিক।’

ঘুঙুরের ঝংকারে বার্তা

রাসেল মাহ্‌মুদ, ঢাকাঘরবন্দীর এই সময়টায় বসে নেই নৃত্যশিল্পীরা। নাচ দিয়ে তাঁরা তুলে ধরছেন এই সময়কে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কল্যাণে তাঁদের সেই সৃষ্টি ছুঁয়ে যাচ্ছে সবার মন। বাড়িতে থেকেও শিল্পীরা নাচের মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে যাচ্ছেন। সে রকম তিনটি ভিডিও বেশ সমাদৃত হয়েছে অনলাইনে। এমনকি ফেসবুক থেকে সেসব উঠে এসেছে টেলিভিশনের পর্দাতেও।
একসঙ্গে নাচ করেন প্রেমা ও তাঁর মেয়ে রাইএকসঙ্গে নাচ করেন প্রেমা ও তাঁর মেয়ে রাইসামিনা হোসেন প্রেমা
কিছুই করতে হবে না, এমন এক অবকাশ চেয়েছিলেন নৃত্যশিল্পী সামিনা হোসেন প্রেমা। চেয়েছিলেন কেবল ঘরে বসে নিরবচ্ছিন্ন সময় কাটাবেন। কিন্তু জীবনে এমন বিপর্যয়কর অবসর আসবে তা কখনো ভাবেননি। ছয় বছরের মেয়ে রাইকে বোঝাচ্ছিলেন করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার কথা। এ নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে তখন প্রকাশিত হয় ‘আবার এসেছে উত্তাল মার্চ’ নামের একটি গান। তখনই তাঁর মাথায় আসে নাচের মাধ্যমে এই সময়কে তুলে ধরার ভাবনা।

গানটির সঙ্গে একটি চমৎকার নাচ করে ফেলেন প্রেমা। তাঁর সঙ্গে যোগ দেয় ছোট্ট রাই। ফেসবুকে ১১ এপ্রিল মা-মেয়ের নাচের সেই ভিডিও প্রকাশিত হলে তা বেশ সমাদর কুড়ায়। নাচের ভঙ্গিতেই বার্তা দেওয়া হয় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার, নাক-মুখ আড়াল করে হাঁচি দেওয়ার আর হাত ধোয়ার। প্রেমা বলেন, ‘নাচ আমাদের ভাষা। যেকোনো পরিস্থিতিতে সেই ভাষার মাধ্যমেই আমরা এগিয়ে আসি। এই দুঃসময়েও সেটা করলাম।’
মনীপুরি বোলে নেচেছেন ওয়ার্দামনীপুরি বোলে নেচেছেন ওয়ার্দাওয়ার্দা রিহাব
মণিপুরি বোলের সঙ্গে নাক-মুখ ঢাকা, হাত ধোয়া ও দূরত্ব রেখে চলার বার্তা দিয়েছেন শিল্পী ওয়ার্দা রিহাব। ভারত ও বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোতে তাঁর নাচের সেই ভিডিও দারুণভাবে গৃহীত হয়েছে। তাঁর গুরুবোন বিম্বাবতী দেবীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে করোনা–সতর্কতা নিয়ে তিনি ভিডিওটি তৈরি করেছিলেন। ওয়ার্দা বলেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে হবে, নাচের মাধ্যমে সেটাই তুলে ধরেছি। মণিপুরি নৃত্য আঙ্গিক অনেক নৃত্যশিল্পীরাও বুঝবে না। কিন্তু আমি এটাকে করেছি খুব সহজ করে, যাতে সাধারণ মানুষও বুঝতে পারে।’ সাধারণ দর্শকের পাশাপাশি ওয়ার্দার এ ভিডিও শেয়ার করছে গুরুত্বপূর্ণ সব দেশি-বিদেশি সংস্থা। ৬ এপ্রিল ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
‘আকাশভরা সূর্য–তারা’ গানে নেচেছেন র‌্যাচেল‘আকাশভরা সূর্য–তারা’ গানে নেচেছেন র‌্যাচেলর‌্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস
ঘরে থাকার বিষয়টি কঠোর হয়ে ওঠার আগেই গত ২৬ মার্চ যন্ত্রসংগীতের সঙ্গে একটি নাচ করে ফেসবুকে প্রকাশ করেছিলেন গৌড়ীয় নৃত্যশিল্পী র‌্যাচেল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস। ভীষণ প্রশংসা কুড়ায় সেটি।
সেই ভিডিওতে রয়েছে র‌্যাচেলের গুরু মহুয়া মুখোপাধ্যায়ের ছেলে অয়ন মুখোপাধ্যায়ের সেতারবাদন। সেতারে তুলেছিলেন ‘আকাশ ভরা সূর্য-তারা’ গানটির সুর। র‌্যাচেল বলেন, ‘শিগগির আবার আমরা আকাশ ভরা সূর্য-তারা দেখব, সেই প্রত্যয়ে বাড়িতে থাকার আহ্বান জানাতে আমি এ নাচটি করেছি। পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকি না কেন, ঘরে বসেও যে অনেক কিছু করা যায়, সেটাও বোঝাতে চেয়েছি।’ র‌্যাচেলের নাচের আলোর ব্যবস্থাপনা ও ভিডিও করেছেন তাঁর বর নির্মাতা আরিক আনাম খান।

দেশে প্রতি ১০ লাখে ৮০ জনের করোনা পরীক্ষা

সামছুর রহমান, ঢাকা

AD BANNAR