Thursday, 16 April 2020

অনুদান বন্ধের ঘোষণা দুঃখজনক, সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে: "হু" মহাপরিচালক

তেদরোস আধানোম গেব্রিয়াসুসবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থায়ন বন্ধের ঘোষণাকে দুঃখজনক বলে অভিহিত করেছেন সংস্থাটির মহাপরিচালক তেদরোস আধানোম গেব্রিয়াসুসের। করোনাভাইরাসের মহামারি মোকাবিলায় বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। ডব্লিউএইচওর মহাপরিচালক বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দীর্ঘদিনের অকৃত্রিম বন্ধু। আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই সম্পর্ক চলমান থাকবে।’ সংবাদ সম্মেলনে তিনি করোনা মোকাবিলায় বিশ্বকে এক হতে বলেন।

তেদরোস আধানম বলেন, তাঁর সংস্থা এখন পর্যন্ত অংশীজনদের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো খুঁত আছে কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে, সম্পর্কের গলদগুলো সঠিকভাবে পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে। তবে এখন এসব নিয়ে কথা বলার সময় নয়। এখন সময় বিশ্ববাসীকে এক হয়ে করোনা মহামারির বিরুদ্ধে সংগ্রাম করা। তিনি এ ভাইরাসকে ভয়ংকর শক্র বলে অভিহিত করেন।


এর আগে বুধবারই বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় (ডব্লিউএইচও) যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়ে দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। করোনাভাইরাস মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকায় ক্ষুব্ধ ছিলেন ট্রাম্প। জাতিসংঘের এই সংস্থাটিকে অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দেবেন বলে তিনি আগেই হুমকি দিয়েছিলেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের অন্যতম প্রাদুর্ভাব কেন্দ্র এখন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে আক্রান্ত ব্যক্তি ও মৃত্যুর হার সবাইকে টপকে গেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। করোনার মুখে দেশটির অবস্থা অনেকটা হযবরল। এমন প্রেক্ষাপটে ট্রাম্প বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে ‘লক্ষ্যবস্তু’ করেন। ট্রাম্পের অভিযোগ, করোনা পরিস্থিতিতে ডব্লিউএইচও তার মৌলিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি এই সংস্থার বিরুদ্ধে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে অব্যবস্থাপনা ও লুকোচুরির অভিযোগ আনেন। এ জন্য ডব্লিউএইচওকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে বলে ট্রাম্প তাঁর ঘোষণায় বলেন।
হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভূমিকা যাচাই করে দেখার নির্দেশ দিয়েছি। তার আগ পর্যন্ত সংস্থাটিতে তহবিল বন্ধ করার নির্দেশ প্রশাসনকে দিয়েছি।’ এর আগে গত সপ্তাহে ট্রাম্প অভিযোগ করেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি অর্থ দেয় ডব্লিউএইচওকে। কিন্তু কোনো কারণে ডব্লিউএইচও খুব চীনকেন্দ্রিক।
ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদরোস আধানোম গেব্রিয়াসুসেরও ওপর চটে আছে ট্রাম্প প্রশাসন। ইতিমধ্যে তাঁকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
তবে ট্রাম্পের সমালোচকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট তাঁর নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে ডব্লিউএইচওকে বলির পাঁঠা বানাচ্ছেন। এটা সত্য, ডব্লিউএইচওর সবচেয়ে বড় একক তহবিলদাতা যুক্তরাষ্ট্র। গত বছর ৪০ কোটি ডলার দিয়েছে দেশটি। যা সংস্থাটির মোট বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ।
ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তহবিলে চীনের নির্ধারিত অবদান ৭ কোটি ৬০ লাখ ডলার। এ ছাড়া স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ছিল ১ কোটি ডলার। গত মার্চে এই মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ৬৭ কোটি ৫০ লাখ ডলারের একটি তহবিল গঠনের কাজ শুরু করে ডব্লিউএইচও। এ ছাড়া ১ বিলিয়ন ডলারের একটি নতুন আবেদন করার পরিকল্পনা আছে সংস্থাটির।

বিশ্বে করোনা শনাক্ত রোগী ২০ লাখ ছাড়িয়েছে, শেষ ১৩ দিনে শনাক্ত ১০ লাখ

বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে শনাক্ত লোকের সংখ্যা ২০ লাখ ছাড়াল। এর মধ্যে প্রথম তিন মাসে হয়েছে ১০ লাখ। আর গত ১৩ দিনে হয়েছে বাকি ১০ লাখ। এ সময়ে গড়ে প্রতিদিন শনাক্ত হয়েছে প্রায় ৭৭ হাজার। ৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ এক লাখের বেশি লোকের করোনা শনাক্ত হয়েছে। আর সর্বশেষ ১০ এপ্রিল শনাক্ত হয় ৯৬ হাজারের বেশি। এরপর থেকে গত কয়েক দিন আগের চেয়ে করোনা শনাক্তের সংখ্যা কমেছে।
ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীন থেকে শুরু হলেও জানুয়ারির শেষে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়তে থাকে মহামারি করোনাভাইরাস। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। তিন মাসের মাথায় ২ এপ্রিল ১০ লাখ ছাড়ায় করোনা শনাক্ত। এরপর ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে করোনা শনাক্তের সংখ্যা। এ সময় সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত পাওয়া যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের কয়েকটি দেশে।
আজ বুধবার সাড়ে আটটা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ১৮৫টি দেশ ও অঞ্চলে করোনা সংক্রমিত হয়েছে। এতে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৯৮৪। আর বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১ লাখ ২৮ হাজার ৭১ জন।

বিশ্বজুড়ে করোনা শনাক্তের গতিবিধি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, শুরুতে করোনা শনাক্তে চীন এগিয়ে থাকলেও ধীরে ধীরে প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্রে চলে আসে ইউরোপ। ইতালি, স্পেন, জার্মানি, যুক্তরাজ্যের মতো দেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে করোনা মোকাবিলায়। তবে এপ্রিলে সব ছাপিয়ে শীর্ষে চলে আসে উত্তর আমেরিকার শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এখন এ দেশটিতেই করোনা শনাক্ত ও আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রে বুধবার পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ৬ লাখ ৯ হাজার ৬৯৬ জনের। আর দেশটিতে করোনায় প্রাণহানি ২৬ হাজার ছাড়িয়েছে।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের পর করোনা শনাক্ত হওয়া শীর্ষ পাঁচটি দেশ ইউরোপের। এর মধ্যে স্পেনে শনাক্ত ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৩ জন ও মৃত্যু ১৮ হাজার ৫৭৯ জন, ইতালিতে শনাক্ত ১ লাখ ৬২ হাজার ৪৮৮ ও মৃত্যু ২১ হাজার ৬৭ জন, জার্মানিতে শনাক্ত ১ লাখ ৩২ হাজার ৩২১ ও মৃত্যু ৩ হাজার ৫০২ জন, ফ্রান্সে শনাক্ত ১ লাখ ৩১ হাজার ৩৬২ ও মৃত্যু ১৫ হাজার ৭৫০ জন, যুক্তরাজ্যে শনাক্ত ৯৪ হাজার ৮৫২ ও মৃত্যু ১২ হাজার ১৩১ জন।
এর পরের তিনটি দেশ এশিয়ার চীন, ইরান ও তুরস্ক। এর মধ্যে চীনে নতুন শনাক্তের হার এখন অনেক কম। ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত চীনে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৮৩ হাজার ৩৫৫ জনের ও মারা গেছে ৩ হাজার ৩৪৬ জন। দেশটিতে ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে গেছে ৭৮ হাজারের বেশি করোনা রোগী। আর ইরান ও তুরস্কে এখনো বাড়ছে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা। এখন পর্যন্ত ইরানে শনাক্ত হয়েছে ৭৬ হাজার ৩৮৯ ও মারা গেছে ৪ হাজার ৭৭৭ জন এবং তুরস্কে শনাক্ত ৬৫ হাজার ১১১ ও মারা গেছে ১ হাজার ৪০৩ জন।
সুস্থ হওয়ার সংখ্যায় সবার ওপরে রয়েছে চীন। বিশ্বজুড়ে ৫ লাখ ১ হাজার ২০৬ জন সুস্থ হয়েছে। এর মধ্যে চীনে সুস্থ হয়ে উঠেছে ৭৮ হাজার ৩০৭ জন। এরপর সবচেয়ে বেশি সুস্থ হয়েছে জার্মানিতে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনা থেকে সেরে উঠেছে ৭২ হাজার ৬০০ জন। আর যুক্তরাষ্ট্রে সুস্থ হয়েছে ৪৯ হাজার ৯৩৩ জন, স্পেনে ৭০ হাজার ৮৫৩ জন, ইতালিতে ৩৭ হাজার ১৩০ জন, ফ্রান্সে ২৯ হাজার ১২১ জন।
সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) তথ্য বলছে, চার দিন ধরে টানা করোনা শনাক্ত বাড়ছে বাংলাদেশে। এ সময়ে পরীক্ষার সংখ্যাও আগের চেয়ে বেড়েছে। বুধবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়া ব্যক্তির সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৩১ জন। এর মধ্যে আজ সর্বোচ্চ ২১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দেওয়া হয়। ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত দেশে ৫০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। আর সুস্থ হয়েছে ৪৯ জন।

Monday, 30 March 2020

BD Business Group Beside govt



করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারকে সহযোগিতা
করতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্থিক সহায়তার চেক তুলে
দিয়েছে বাংলাদেশ আর্মি, বাংলাদেশ নেভি, বাংলাদেশ
এয়ার ফোর্স, বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস
অ্যাসোসিয়েশন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবি,
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী, বসুন্ধরা গ্রুপ,
ওরিয়ন গ্রুপ, নাভানা গ্রুপ, কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স,
আবুল খায়ের গ্রুপ, সামিট পাওয়ার লিমিটেড,
কনফিডেন্স পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, দ্য ওয়েস্টিন
হোটেল, সিএমসি চায়না,লা মেরিডিয়ান, প্রিমিয়ার গ্রুপ,
ওয়ালটন গ্রুপ 

AD BANNAR